ছবি: সংগৃহীত
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ জবাই করার স্লোগান দিয়ে বাংলা থেকে বিতাড়িত হয়েছে, ছাত্রদল যদি একই পথ অনুসরণ করতে চায়, তাহলে ছাত্রসমাজ তাদেরও বাংলাছাড়া করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা।
বুধবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটকে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ হুঁশিয়ারি দেন তারা। ‘ছাত্রদলের উগ্র ও সন্ত্রাসী স্লোগান এবং ছাত্র সংসদ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র’র প্রতিবাদে এ কর্মসূচির আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রশিবির।
এর আগে বিকালে মতিঝিল শাপলা চত্বর থেকে দৈনিক বাংলা মোড় হয়ে বায়তুল মোকাররম উত্তর ফটক পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ সিবগা, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মু’তাসিম বিল্লাহ শাহেদী, সাহিত্য সম্পাদক নাজিম তাজওয়ারসহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের অন্য নেতারা।
সমাবেশে সিবগাতুল্লাহ সিবগা বলেন, মাত্র এক বছরের মাথায় আমরা দেখলাম, ধর্ষণকারীদের দলের পরিবর্তন হয়েছে। আগে এই কাজগুলো ছাত্রলীগ করত, এখন ছাত্রদল করছে।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্যানেলে যে চারজন মেয়ে দাঁড়িয়েছেন, তাদের প্রত্যেককে তারা বিভিন্নভাবে অনলাইনে বুলিং করে মনোবল ধ্বংস করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সিবগাতুল্লাহ আরও বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) আমরা দেখলাম, ছাত্রদল স্লোগান দিচ্ছে—‘একটা একটা শিবির ধর, ধরে ধরে জবাই কর’। এটা কি কোনো সভ্য সমাজের স্লোগান হতে পারে? আগামী দিনে বাংলাদেশে যদি কেউ হত্যার শিকার হয়, আমরা ধরে নেব, এই হত্যার সঙ্গে তারা জড়িত। প্রকাশ্যে তারা স্লোগান দেয় ‘জবাই করতে হবে’।
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজ আদালতকে প্রভাবিত করার জন্য ষড়যন্ত্র করে আদালতের সামনে তারা কর্মসূচি দিয়েছিল। আমরা শুনেছি, কেউ কেউ এই নির্বাচন চায় না। আমরা আপনাদের বলতে চাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বলতে চাই, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ যারা করে, তাদের বলতে চাই, সচেতন নাগরিকদের আমরা বলতে চাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নতুন বাংলাদেশের মডেল তৈরি হবে।
আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মু’তাসিম বিল্লাহ শাহেদী বলেন, দুঃখের বিষয় হলেও সত্য, আমরা দেখছি, একটি ছাত্রসংগঠন শিক্ষা ও শিক্ষার্থীবান্ধব ছাত্ররাজনীতি করতে না পেরে ক্যাম্পাসে আবারও ছাত্রলীগের সেই রাজনীতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি, ছাত্রদলের মূলনীতি হয়ে গেছে দায় চাপানোর রাজনীতি, যা শিক্ষা ও শিক্ষার্থীবান্ধব ছাত্ররাজনীতির সহায়ক নয়।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রদল প্রতিটি ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। ছাত্রদলের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি সরাসরি ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছেন। আর আমরা যে সহাবস্থানের স্বপ্ন দেখেছিলাম, এখন দেখছি, ছাত্রদল সেই সহাবস্থানের পরিবেশ নষ্ট করছে। গতকালও খুলনায় আবার ছাত্রশিবিরকে জবাই করার স্লোগান হয়েছে এবং সেই স্লোগানের ভিডিও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের অফিশিয়াল পেজ থেকে আপলোড করা হয়েছে। তাহলে কি কেন্দ্রীয় ছাত্রদল জবাইয়ের রাজনীতিকে সমর্থন দিচ্ছে?
প্রিন্ট