ঢাকা ০৮:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধান নাজিরের বদলী নিয়ে চরম অসন্তোষ Logo মহম্মদপুরে বিএনপি’র নির্বাচনী পথ সভা অনুষ্ঠিত Logo পীরগঞ্জে বিএনপির উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo দেশের ধন্যাঢ্য ব্যক্তিরাও প্রতারণার শিকার অনিক ও সোহেলের ভুয়া “প্রাচীন পিলার ও কয়েন” চক্র Logo দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই প্রায় অর্ধশত বদলি বানিজ্য পিএইচডি জালিয়াতি-বদলি বানিজ্য-ঠিকাদারি সিন্ডিকেটের মূলহোতা খালেকুজ্জামান চৌধুরী Logo কাচিঘাটা রেঞ্জে গাছকাটা সিন্ডিকেটের তাণ্ডব রাতে চার–পাঁচশ গাছ উজাড়—বন রক্ষাকারীরাই অভিযুক্ত!** স্থানীয়দের অভিযোগ: “৫ আগস্টের পর এলাকা একেবারে মগের মুল্লুক—বন কেটে লুটে খাচ্ছে সবাই Logo চীনে ট্রেন দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত Logo ১২ ঘণ্টায় দ্বিতীয়বার ভূমিকম্পে কাঁপল ইন্দোনেশিয়া Logo প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলা জয় ও পুতুলের ৫ বছরের কারাদণ্ড Logo তিন মামলায় হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ড

গুপ্তরাজনীতি’র অবসান ও নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি ছাত্রদলের

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:০৮:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৭৯ ১৮৪৪.০০০ বার পড়া হয়েছে

সাইবার বুলিং ও নারী নিপীড়নের প্রতিবাদে এবং নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নারী নেতা–কর্মীরা মানববন্ধন করেছেন। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান ফটকের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে ছাত্রদল নেতারা অভিযোগ করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী ছাত্রশিবির দীর্ঘদিন ধরে ‘গুপ্তরাজনীতি’ চালিয়ে আসছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পৃষ্ঠপোষকতায় টিকে আছে। তারা বলেন, পরিচয় গোপন রেখে শিবিরকর্মীরা নারী শিক্ষার্থীদের সাইবার বুলিং করছে, এমনকি গণধর্ষণের হুমকি পর্যন্ত দিচ্ছে।

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম বলেন, “শিবির সাড়ে ১৫ বছর ছাত্রলীগের পতাকাতলে থেকে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের ওপর হামলা চালিয়েছে। এখনো তারা গোপনে রাজনীতি করছে। ক্যাম্পাসে যেখানে গুপ্তরাজনীতি চলবে, আমরা প্রতিহত করব।” তিনি শিবিরের নেতাদের উদ্দেশে কটাক্ষ করে বলেন, “সাহস থাকলে প্রকাশ্যে রাজনীতি করুন, না হলে বোরকা পরে, চুড়ি পরে রাজনীতি করুন।”

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন বলেন, “আমাদের এক সহযোদ্ধা বোনকে ডাকসু নির্বাচনের রিট করার কারণে গণধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এটি ভয়াবহ ঘটনা। বিশ্ববিদ্যালয়ে গুপ্তরাজনীতি না থাকলে এমন পরিস্থিতি হতো না।” তিনি নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনে শিক্ষার্থীরা যেন শিবিরপন্থী কোনো প্রার্থীকে ভোট না দেন।”

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নারী নেত্রী রুপন্তী রত্না বলেন, “আমরা রাজনীতিতে সক্রিয় হতে চাই, কিন্তু প্রতিদিন ভয়ভীতি আর সাইবার বুলিং আমাদের পিছু টেনে ধরে। এখন সময় এসেছে গুপ্তরাজনীতি বন্ধ করার।” ছাত্রদলের সহসভাপতি রেহানা আক্তার শিরিন বলেন, “৭১-এর পরাজিত শক্তি আর ’২৪-এর পরাজিত শক্তি এক হয়ে নারীদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। সাইবার বুলিং ও ধর্ষণের হুমকি দেওয়া ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির শিক্ষার্থী সাদিয়া সুলতানা। তিনি বলেন, “নারীদের সাইবার বুলিং হলেও কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয় না। অপরাধীরা পার পেয়ে যায়। তাই দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।”

ছাত্রদল নেতারা ঘোষণা দেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে গুপ্তরাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে। একইসঙ্গে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং সাইবার বুলিংয়ে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধান নাজিরের বদলী নিয়ে চরম অসন্তোষ

গুপ্তরাজনীতি’র অবসান ও নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি ছাত্রদলের

আপডেট সময় ০৭:০৮:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সাইবার বুলিং ও নারী নিপীড়নের প্রতিবাদে এবং নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নারী নেতা–কর্মীরা মানববন্ধন করেছেন। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান ফটকের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে ছাত্রদল নেতারা অভিযোগ করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী ছাত্রশিবির দীর্ঘদিন ধরে ‘গুপ্তরাজনীতি’ চালিয়ে আসছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পৃষ্ঠপোষকতায় টিকে আছে। তারা বলেন, পরিচয় গোপন রেখে শিবিরকর্মীরা নারী শিক্ষার্থীদের সাইবার বুলিং করছে, এমনকি গণধর্ষণের হুমকি পর্যন্ত দিচ্ছে।

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম বলেন, “শিবির সাড়ে ১৫ বছর ছাত্রলীগের পতাকাতলে থেকে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের ওপর হামলা চালিয়েছে। এখনো তারা গোপনে রাজনীতি করছে। ক্যাম্পাসে যেখানে গুপ্তরাজনীতি চলবে, আমরা প্রতিহত করব।” তিনি শিবিরের নেতাদের উদ্দেশে কটাক্ষ করে বলেন, “সাহস থাকলে প্রকাশ্যে রাজনীতি করুন, না হলে বোরকা পরে, চুড়ি পরে রাজনীতি করুন।”

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন বলেন, “আমাদের এক সহযোদ্ধা বোনকে ডাকসু নির্বাচনের রিট করার কারণে গণধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এটি ভয়াবহ ঘটনা। বিশ্ববিদ্যালয়ে গুপ্তরাজনীতি না থাকলে এমন পরিস্থিতি হতো না।” তিনি নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনে শিক্ষার্থীরা যেন শিবিরপন্থী কোনো প্রার্থীকে ভোট না দেন।”

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নারী নেত্রী রুপন্তী রত্না বলেন, “আমরা রাজনীতিতে সক্রিয় হতে চাই, কিন্তু প্রতিদিন ভয়ভীতি আর সাইবার বুলিং আমাদের পিছু টেনে ধরে। এখন সময় এসেছে গুপ্তরাজনীতি বন্ধ করার।” ছাত্রদলের সহসভাপতি রেহানা আক্তার শিরিন বলেন, “৭১-এর পরাজিত শক্তি আর ’২৪-এর পরাজিত শক্তি এক হয়ে নারীদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। সাইবার বুলিং ও ধর্ষণের হুমকি দেওয়া ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির শিক্ষার্থী সাদিয়া সুলতানা। তিনি বলেন, “নারীদের সাইবার বুলিং হলেও কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয় না। অপরাধীরা পার পেয়ে যায়। তাই দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।”

ছাত্রদল নেতারা ঘোষণা দেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে গুপ্তরাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে। একইসঙ্গে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং সাইবার বুলিংয়ে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।


প্রিন্ট