ঢাকা ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জিয়াউল করিম সুপ্রিম কোর্ট (৬) শুধুমাত্র ঊর্ধ্বতন আইনের লোক শুধু এই ক্ষমতা খাটিয়ে দীর্ঘ নয় বছর থেকে চালাচ্ছে এই অবৈধ দেহ ব্যবসা এবং মাদক বাণিজ! Logo মাগুরার মহম্মদপুরে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি আদায়ের লক্ষ্যে চলমান আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে Logo গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে ফায়ার সার্ভিসের গণসংযোগ ও প্রশিক্ষণ কার্য়ক্রম অনুষ্ঠিত Logo আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় জামগড়া আর্মি ক্যাম্প সেনাবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র সহ ৫ জন গ্রেফতার।* Logo চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক (দক্ষিণ) অফিস পরিদর্শন করেন সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার* সুরা বাকারার প্রথম ১১ আয়াত পনত কি ব্যাখ্যা দিছে আল্লাহ বলেন Logo সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদে ট্রেড লাইসেন্স করতে গুনতে হচ্ছে কয়েকগুণ টাকা। ঘুষ ছাড়া সেবা পাচ্ছেন না জনগণ। ইউনিয়নবাসীর যেন ভোগান্তির শেষ নেই Logo পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার উত্তর সারুটিয়া আলী মার্কেটে ৩ দোকানে চুরি অনমানিক চারটা বিশ মিনিটে Logo পিআর আমি নিজেই বুঝিনা, জনগণ বুঝবে কি ? ইস্যু তৈরী করে, নির্বাচন পন্ড করে বিভেদ তৈরী করার চেষ্টা চলছে ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম Logo শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে বাদ পড়ল যুক্তরাষ্ট্র Logo আশুলিয়ায় যানজট, মাদক ও সন্ত্রাস নিরসনে সুশীল সমাজের আলোচনা সভা

অশ্লীল কেলেঙ্কারি: চট্টগ্রামে ভাতিজার সাথে চাচির সংসার, ফিরে এলেন আসল স্বামী!

চট্টগ্রাম নগরীর বন্দরটিলা কাঁচাবাজারের পেছনের এক গলিতে ভাড়া বাসায় চলছে এক চাঞ্চল্যকর অবৈধ সংসার। পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার যুবক মোঃ রাজু মোল্লা নিজের চাচি আসমা বেগমকে নিয়ে পালিয়ে এসে টানা পাঁচ মাস ধরে সহবাস করছেন—কোনো বৈধ কাবিন ছাড়াই।

যৌতুক নির্যাতন থেকে শুরুঃ ২০০৮ সালে রাজু প্রথম স্ত্রী সুমি বেগমকে বিয়ে করেন। সংসারে দুই সন্তান জন্ম নিলেও সেখানে ছিল না শান্তি। অভিযোগ—রাজু প্রায়ই যৌতুক দাবি করতেন, না দিলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন। অবশেষে সুমি বেগম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করলে রাজু কারাগারে যান।

জেল থেকে বের হয়ে চরম অন্যায় যেমনঃ-জেল থেকে জামিনে বের হয়ে অনুতপ্ত হওয়ার বদলে রাজু আরও ভয়ঙ্কর অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। ধর্ম-সমাজের তোয়াক্কা না করে তিনি নিজের চাচি আসমা বেগমকে নিয়ে পালিয়ে যান। আসমার স্বামী মোঃ ছিদ্দিক মোল্লা দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। সংসারে একটি সন্তান থাকা সত্ত্বেও আসমা ভাতিজার সঙ্গে অবৈধ সংসার শুরু করেন।

প্রতারণা ও একাধিক বিয়েঃ-রাজুর বিরুদ্ধে রয়েছে গোপনে আরও একটি বিয়ে করার অভিযোগ। স্ত্রীর বড় ভাইয়ের ভাষ্য অনুযায়ী—“রাজু আসমার সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়ানোর আগে গোপনে আরেকটি বিয়ে করেছিল। পরে তালাকের সময় আমাদের পরিবার থেকে ১,০০,০০০ টাকা জরিমানা দিতে হয়েছে। তবুও সে আবারও জঘন্য অপরাধ করেছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।”

বর্তমানে রাজুর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলমান—প্রথম স্ত্রী সুমি বেগমের দায়ের করা নির্যাতনের মামলা,,চাচা ছিদ্দিক মোল্লার করা অভিযোগ মামলা,,আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, যৌতুক নিরোধ আইন ভঙ্গ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন লঙ্ঘন, বৈধ কাবিন ছাড়া সহবাস—সবকিছুই ফৌজদারি অপরাধের মধ্যে পড়ে।

তালাক ও নতুন কেলেঙ্কারি ফাঁসঃ চাচীকে নিয়ে কয়েক মাস থাকার পর ২০২৫ সালের ১০ এপ্রিল আসমা বেগম স্বামী ছিদ্দিককে তালাক দেন। কিন্তু ইদ্দত শেষ হওয়ার পরও মাত্র তিন মাস দশ দিন যেতে না যেতেই তিনি আবারও প্রবাস ফেরত স্বামী ছিদ্দিকের সাথে সংসার শুরু করেন। এতে পুরো এলাকায় চরম ক্ষোভ ও তীব্র বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে।

গ্রামের কিছু প্রবীণদের ভাষ্য—“এমন অশ্লীল সম্পর্ক সমাজের জন্য অভিশাপ। রাজুর মতো চরিত্রহীন মানুষদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মও এ পথে ধাবিত হবে।”

একজন তরুণের ক্ষোভ—“আজ রাজু করেছে, কাল হয়তো অন্য কেউ করবে। পরিবার ভাঙছে, সমাজ ভাঙছে—এমন নোংরা কর্মকাণ্ড থামাতে হলে এখনই কঠোর আইন প্রয়োগ দরকার।”

আইন বিশেষজ্ঞের মতামতঃ অ্যাডভোকেট মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন-“রাজুর বিরুদ্ধে যৌতুক, নির্যাতন, প্রতারণা, অবৈধ সহবাস—সবকিছুর অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিনি একাধিক দণ্ডনীয় অপরাধে অভিযুক্ত হবেন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা চাইলে দ্রুত তাকে শাস্তির আওতায় আনতে পারে।”

সব মিলিয়ে রাজুর কর্মকাণ্ড শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং এটি পুরো সমাজের জন্য লজ্জাজনক ও ঘৃণ্য উদাহরণ। প্রতারণা, নির্যাতন, একাধিক বিয়ে, চাচির সাথে অবৈধ সংসার—সবকিছু মিলে তিনি আজ নৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয়ের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

উল্লেখ্য :ধর্ম কর্মের নীতি-নৈতিকতা আদর্শিকতায় শৃংখলায় হোক প্রতিটি মানুষের জীবন জীবিকা আলোকিত ভবিষ্যৎ। নিরাপদ শান্তি পূর্ণ পরিবার নৈতিক শালীন সভ্য সুন্দর সমাজের সর্বস্তরের মানুষের দাবি অভিযুক্ত তিনি তো ন্যাক্কারজনক কাজে সম্পৃক্ত অপরাধীদের হোক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। যথাযথ দ্রুত আইনের পদক্ষেপে হোক কার্যকর।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জিয়াউল করিম সুপ্রিম কোর্ট (৬) শুধুমাত্র ঊর্ধ্বতন আইনের লোক শুধু এই ক্ষমতা খাটিয়ে দীর্ঘ নয় বছর থেকে চালাচ্ছে এই অবৈধ দেহ ব্যবসা এবং মাদক বাণিজ!

অশ্লীল কেলেঙ্কারি: চট্টগ্রামে ভাতিজার সাথে চাচির সংসার, ফিরে এলেন আসল স্বামী!

আপডেট সময় ০৬:৫৪:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

চট্টগ্রাম নগরীর বন্দরটিলা কাঁচাবাজারের পেছনের এক গলিতে ভাড়া বাসায় চলছে এক চাঞ্চল্যকর অবৈধ সংসার। পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার যুবক মোঃ রাজু মোল্লা নিজের চাচি আসমা বেগমকে নিয়ে পালিয়ে এসে টানা পাঁচ মাস ধরে সহবাস করছেন—কোনো বৈধ কাবিন ছাড়াই।

যৌতুক নির্যাতন থেকে শুরুঃ ২০০৮ সালে রাজু প্রথম স্ত্রী সুমি বেগমকে বিয়ে করেন। সংসারে দুই সন্তান জন্ম নিলেও সেখানে ছিল না শান্তি। অভিযোগ—রাজু প্রায়ই যৌতুক দাবি করতেন, না দিলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন। অবশেষে সুমি বেগম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করলে রাজু কারাগারে যান।

জেল থেকে বের হয়ে চরম অন্যায় যেমনঃ-জেল থেকে জামিনে বের হয়ে অনুতপ্ত হওয়ার বদলে রাজু আরও ভয়ঙ্কর অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। ধর্ম-সমাজের তোয়াক্কা না করে তিনি নিজের চাচি আসমা বেগমকে নিয়ে পালিয়ে যান। আসমার স্বামী মোঃ ছিদ্দিক মোল্লা দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। সংসারে একটি সন্তান থাকা সত্ত্বেও আসমা ভাতিজার সঙ্গে অবৈধ সংসার শুরু করেন।

প্রতারণা ও একাধিক বিয়েঃ-রাজুর বিরুদ্ধে রয়েছে গোপনে আরও একটি বিয়ে করার অভিযোগ। স্ত্রীর বড় ভাইয়ের ভাষ্য অনুযায়ী—“রাজু আসমার সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়ানোর আগে গোপনে আরেকটি বিয়ে করেছিল। পরে তালাকের সময় আমাদের পরিবার থেকে ১,০০,০০০ টাকা জরিমানা দিতে হয়েছে। তবুও সে আবারও জঘন্য অপরাধ করেছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।”

বর্তমানে রাজুর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলমান—প্রথম স্ত্রী সুমি বেগমের দায়ের করা নির্যাতনের মামলা,,চাচা ছিদ্দিক মোল্লার করা অভিযোগ মামলা,,আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, যৌতুক নিরোধ আইন ভঙ্গ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন লঙ্ঘন, বৈধ কাবিন ছাড়া সহবাস—সবকিছুই ফৌজদারি অপরাধের মধ্যে পড়ে।

তালাক ও নতুন কেলেঙ্কারি ফাঁসঃ চাচীকে নিয়ে কয়েক মাস থাকার পর ২০২৫ সালের ১০ এপ্রিল আসমা বেগম স্বামী ছিদ্দিককে তালাক দেন। কিন্তু ইদ্দত শেষ হওয়ার পরও মাত্র তিন মাস দশ দিন যেতে না যেতেই তিনি আবারও প্রবাস ফেরত স্বামী ছিদ্দিকের সাথে সংসার শুরু করেন। এতে পুরো এলাকায় চরম ক্ষোভ ও তীব্র বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে।

গ্রামের কিছু প্রবীণদের ভাষ্য—“এমন অশ্লীল সম্পর্ক সমাজের জন্য অভিশাপ। রাজুর মতো চরিত্রহীন মানুষদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মও এ পথে ধাবিত হবে।”

একজন তরুণের ক্ষোভ—“আজ রাজু করেছে, কাল হয়তো অন্য কেউ করবে। পরিবার ভাঙছে, সমাজ ভাঙছে—এমন নোংরা কর্মকাণ্ড থামাতে হলে এখনই কঠোর আইন প্রয়োগ দরকার।”

আইন বিশেষজ্ঞের মতামতঃ অ্যাডভোকেট মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন-“রাজুর বিরুদ্ধে যৌতুক, নির্যাতন, প্রতারণা, অবৈধ সহবাস—সবকিছুর অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিনি একাধিক দণ্ডনীয় অপরাধে অভিযুক্ত হবেন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা চাইলে দ্রুত তাকে শাস্তির আওতায় আনতে পারে।”

সব মিলিয়ে রাজুর কর্মকাণ্ড শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং এটি পুরো সমাজের জন্য লজ্জাজনক ও ঘৃণ্য উদাহরণ। প্রতারণা, নির্যাতন, একাধিক বিয়ে, চাচির সাথে অবৈধ সংসার—সবকিছু মিলে তিনি আজ নৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয়ের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

উল্লেখ্য :ধর্ম কর্মের নীতি-নৈতিকতা আদর্শিকতায় শৃংখলায় হোক প্রতিটি মানুষের জীবন জীবিকা আলোকিত ভবিষ্যৎ। নিরাপদ শান্তি পূর্ণ পরিবার নৈতিক শালীন সভ্য সুন্দর সমাজের সর্বস্তরের মানুষের দাবি অভিযুক্ত তিনি তো ন্যাক্কারজনক কাজে সম্পৃক্ত অপরাধীদের হোক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। যথাযথ দ্রুত আইনের পদক্ষেপে হোক কার্যকর।


প্রিন্ট