গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের আওতাধীন কৌচাকুড়ি মৌজার রতনপুর লাদেন মার্কেট (টেকপাড়া) এলাকায় একাধিক সেনা সদস্যের নামে কালিয়াকৈর সাফ রেজিষ্ট্রার অফিসে রেজিস্ট্রেকৃত একাধিক সাফ কবলা দলিলে ক্রয়কৃত মালিকানা জমিতে ভুয়া মালিক হয়ে সাইনবোর্ড দিয়ে দখলের অপচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য মোঃ লিয়াকত আলী সহ মোট পাঁচজন বিগত ২১/১০/২০২৫ইং তারিখে ১০২৩৬, ১০২৩৪, ১০২৩৮, ১০২৩৩ ও ১০২৪১ নং দলিলে- এস এ ৭২০ ও আর এস ১২২৫ নং দাগ হতে ২৪.৬৬ (চব্বিশ শতাংশ ছিষট্টি অযুতাংশ) জমি ক্রয় করে ভোগদখল করে আসছেন। শনিবার (১ নভেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে ওই এলাকায় বসবাসকারী (১) এমারত হোসেন, (২) আছিয়া বেগম, স্বামী- এমারত হোসেন, (৩) মোঃ হাবিব, পিতা- এমারত হোসেন সহ আরও ৪/৫ জন মিলে সেনা সদস্য লিয়াকত আলী সহ অন্যান্যদের সাফ কবলা দলিলে ক্রয়কৃত জমিতে বায়না সূত্রে মালিক লিখে অবৈধ ভাবে একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে।
খবর পেয়ে ওই জমির মালিকদের মধ্যে একজন লিয়াকত আলী কালিয়াকৈর থানায় ঐদিনই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে কালিয়াকৈর থানায় কর্মরত এস আই ইসমাইল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং আশেপাশের একাধিক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসা করলে শাহালম ও এশাক সহ অন্যান্যরা বলেন, আমরা যতটুকু জেনেছি এই জমির মালিকের কাছ থেকে সেনা সদস্যরা ক্রয় করেছেন। কিন্তু এমারত ও তার স্ত্রী আছিয়া এবং ছেলে হাবিব সহ আরো অনেকেই পায়তারা করে আসছে জমি থেকে মালিকদের বেদখল দেয়ার জন্য। এসব তথ্য অনুযায়ী ওই জমিতে জোর করে সাইনবোর্ড দিয়ে দখলের অপচেষ্টার মূল হোতাদের (এমারত, আছিয়া ও হাবিব) ঘটনাস্থলে গিয়ে এস আই ইসমাইল হোসেন জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, আমরা বন বিভাগের জায়গায় বহু বছর ধরে রয়েছি, আমাদের বাড়ির সামনের জমি অন্য কেউ কিনে নিয়ে যাবে এটা আমরা সহ্য না করতে পেরে আমাদের ভাগিনা রফিকের নির্দেশে সাইনবোর্ড দিয়েছি। যাহোক আমরা ভুল করেছি বলে ওই জমির ক্রয়কৃত মালিক লিয়াকতের কাছে ফোন দিয়ে ক্ষমা চায় এবং ওই জমিতে জোর করে লাগানো সাইনবোর্ড তুলে নিয়ে আসেন জবরদখলের অপচেষ্টার মূল হোতাদের মধ্যে একজন আছিয়া বেগম। যাহার ভিডিও ধারণ করা আছে।
কালিয়াকৈর থানার এস আই ইসমাইল হোসেন বলেন, বিবাদী এমারত, আছিয়া ও হাবিব ওনারা ভুল করে ওই জমিতে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে বলে স্বীকার করেছেন এবং তারা স্ব-ইচ্ছায় তাদের দেয়া সাইনবোর্ড সরিয়ে নিয়েছে। তারা এইও অস্বীকারোক্তি দিয়েছেন, জুলহাস নামের এক দালালকে বেশ কিছু টাকা দিয়েছি, কিন্তু সেই দালাল ওনাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গিয়েছে। ওই জমিতে আর সাইনবোর্ডসহ অন্য কোন রকম ঝামেলা সৃষ্টি করবে না বলে তারা স্বীকার করেছেন।
ওই জমির মালিকদের মধ্যে একজন মোঃ লিয়াকত আলী বলেন, আমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত একজন সদস্য। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে স্থানীয় থানায় অভিযোগ করলে কালিয়াকৈর থানার অফিসার ইনচার্জ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে ঘটনাস্থলে একাধিক পুলিশ পরিদর্শক পাঠিয়ে আমার জমি উদ্ধার করে দেওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রিন্ট
হাসান আলী নিজস্ব প্রতিনিধি 



















