ঢাকা ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ৪৮ তম বিসিএস পরীক্ষায় উওীর্ণদের নিয়োগ এর দাবি তে মানববন্ধন Logo বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নেই রুমিন ফারহানার পদত্যাগ করেন Logo ঝিনাইদহে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০ Logo নিয়োগ বানিজ্যে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সার্ভিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ Logo তেলেঙ্গানায় বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১৯ Logo গণভোট নিয়ে দলগুলো ‘ঐকমত্যে’ পৌঁছাতে না পারলে সিদ্ধান্ত দেবে সরকার Logo নাসিরনগরে জিয়া সাইবার ফোর্সের উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন Logo ভাঙ্গুড়া পৌরসভার ড্রেন পরিষ্কার কাজে অচল ‘Amkador’ মেশিন — পরিকল্পনার ঘাটতিতে নষ্ট হচ্ছে সরকারি অর্থ Logo অন্তর্বর্তী কালীন সরকারের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের দেশব্যাপী নাশকতার পরিকল্পনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে তানজিদুর রহমান তানজিল নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ Logo কালিয়াকৈরে জোরপূর্বক অবৈধ ভাবে সাইনবোর্ড দিয়ে সেনা সদস্যের জমি দখলের অপচেষ্টার অভিযোগ: পুলিশের সহায়তায় জমি উদ্ধার

দিয়ানতুল্লাহ মোল্লা ওয়াকফ এস্টেটে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত পরিচালিত

পাবনার চাটমোহর উপজেলার ভেংড়ি গ্রামে অবস্থিত দিয়ানতুল্লাহ মোল্লা ওয়াকফ এস্টেট-এ অযোগ্য মোতওয়াল্লী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত পরিচালিত হয়েছে।

গত ১১ অক্টোবর সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে মসজিদ প্রাঙ্গণে এ তদন্ত পরিচালনা করেন সহকারী ওয়াকফ প্রশাসক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। তার সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় ইনস্পেক্টর আলহাম আব্দুল্লাহ, হেড অফিসের কর্মকর্তা মোঃ নুর হাসান, ওয়ারিশ ও গ্রামবাসীর প্রতিনিধি এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

অভিযোগকারীরা জানান, বর্তমান মোতওয়াল্লী মোঃ রফিকুল ইসলাম এস্টেট পরিচালনায় অযোগ্য। তিনি তার ভাই আব্দুল লতিফ ও মোঃ সাজেদুল-এর সহযোগিতায় গোপনে কমিটি গঠন করে বিভিন্ন আর্থিক অনিয়ম করছেন। তারা দাবি করেন, ওয়ারিশদের ন্যায্য ভাতা দেওয়া হচ্ছে না এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানের নামে অর্থ আত্মসাৎ করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, ওয়ারিশদের পক্ষের প্রতিনিধি মোঃ শামস তাসবীর সজীব বলেন, “ওয়াকফ এস্টেটের সব লেনদেন সোনালী ব্যাংকের নামীয় অ্যাকাউন্টে হয়। মোতওয়াল্লী ছাড়া অন্য কারও অর্থ লেনদেনের সুযোগ নেই।

রেকর্ডভুক্ত মোতওয়াল্লী ও সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ আকবর আলী বলেন, “বর্তমান মোতওয়াল্লীর অযোগ্যতার কারণে এস্টেটের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তাই দ্রুত নতুন কমিটি গঠন প্রয়োজন।”

লিজ গ্রহিতা মিলন হোসেন অভিযোগ করেন, “মোতওয়াল্লীর অব্যবস্থাপনার কারণে পুকুরে গ্যাস নির্গমনে প্রায় ৪০ লাখ টাকার মাছ মারা গেছে।”

গ্রামবাসীর পক্ষে মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, “বছরের পর বছর এই মসজিদ ও এস্টেটের দ্বন্দ্ব চলছে। প্রশাসনের উচিত একটি সুষ্ঠু ও যোগ্য পরিচালনা কমিটি গঠন করা।”

তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “সব পক্ষের বক্তব্য, লিখিত কাগজপত্র ও সাক্ষ্য আমরা গ্রহণ করেছি। বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল ও দীর্ঘদিনের জটিলতা জড়িত। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রস্তুত করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। রিপোর্টের ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

৪৮ তম বিসিএস পরীক্ষায় উওীর্ণদের নিয়োগ এর দাবি তে মানববন্ধন

দিয়ানতুল্লাহ মোল্লা ওয়াকফ এস্টেটে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত পরিচালিত

আপডেট সময় ০১:০৩:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

পাবনার চাটমোহর উপজেলার ভেংড়ি গ্রামে অবস্থিত দিয়ানতুল্লাহ মোল্লা ওয়াকফ এস্টেট-এ অযোগ্য মোতওয়াল্লী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত পরিচালিত হয়েছে।

গত ১১ অক্টোবর সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে মসজিদ প্রাঙ্গণে এ তদন্ত পরিচালনা করেন সহকারী ওয়াকফ প্রশাসক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। তার সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় ইনস্পেক্টর আলহাম আব্দুল্লাহ, হেড অফিসের কর্মকর্তা মোঃ নুর হাসান, ওয়ারিশ ও গ্রামবাসীর প্রতিনিধি এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

অভিযোগকারীরা জানান, বর্তমান মোতওয়াল্লী মোঃ রফিকুল ইসলাম এস্টেট পরিচালনায় অযোগ্য। তিনি তার ভাই আব্দুল লতিফ ও মোঃ সাজেদুল-এর সহযোগিতায় গোপনে কমিটি গঠন করে বিভিন্ন আর্থিক অনিয়ম করছেন। তারা দাবি করেন, ওয়ারিশদের ন্যায্য ভাতা দেওয়া হচ্ছে না এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানের নামে অর্থ আত্মসাৎ করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, ওয়ারিশদের পক্ষের প্রতিনিধি মোঃ শামস তাসবীর সজীব বলেন, “ওয়াকফ এস্টেটের সব লেনদেন সোনালী ব্যাংকের নামীয় অ্যাকাউন্টে হয়। মোতওয়াল্লী ছাড়া অন্য কারও অর্থ লেনদেনের সুযোগ নেই।

রেকর্ডভুক্ত মোতওয়াল্লী ও সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ আকবর আলী বলেন, “বর্তমান মোতওয়াল্লীর অযোগ্যতার কারণে এস্টেটের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তাই দ্রুত নতুন কমিটি গঠন প্রয়োজন।”

লিজ গ্রহিতা মিলন হোসেন অভিযোগ করেন, “মোতওয়াল্লীর অব্যবস্থাপনার কারণে পুকুরে গ্যাস নির্গমনে প্রায় ৪০ লাখ টাকার মাছ মারা গেছে।”

গ্রামবাসীর পক্ষে মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, “বছরের পর বছর এই মসজিদ ও এস্টেটের দ্বন্দ্ব চলছে। প্রশাসনের উচিত একটি সুষ্ঠু ও যোগ্য পরিচালনা কমিটি গঠন করা।”

তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “সব পক্ষের বক্তব্য, লিখিত কাগজপত্র ও সাক্ষ্য আমরা গ্রহণ করেছি। বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল ও দীর্ঘদিনের জটিলতা জড়িত। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রস্তুত করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। রিপোর্টের ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট