ঢাকা ০৮:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo টাঙ্গাইলে এসআইয়ের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ Logo টাঙ্গাইলে চাঁদা না পেয়ে হোটেল ভাংচুর ও অর্থ লুটের অভিযোগে মামলা Logo মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার জামাতা জারেড কুশনার Logo জুলাই সনদ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলের মাইলফলক: ইইউ রাষ্ট্রদূত Logo বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে Logo সাংবাদিকদের সঙ্গে মনোনয়ন প্রত্যাশী শফিকুল ইসলামের মতবিনিময় Logo জুলাই সনদকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে সংঘর্ষে চার মামলা, আসামি ৯০০ জন Logo প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন ছাড়াই গভর্নরসহ ৬ পদে নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি Logo জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করলেই ১৯ অক্টোবর থেকে সাইট ব্লক Logo যে কারণে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যায়নি এসসিপি, জানালেন আখতার

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার জামাতা জারেড কুশনার

গত সেপ্টেম্বরে হামাসের শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েলি হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুঝতে পারেন যে তারা কিছুটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। তারা যা করছে তা দেখেই ট্রাম্পের এমন ধারণা হয়।

ট্রাম্প আরও মনে করেন থেকে তাদেরকে এখনই শক্ত হাতে থামাতে হবে। তার মতে, (ইসরায়েলিদের) এখনি না থামালে তা ভবিষ্যতে তা তাদের জন্যই ক্ষতিকর হবে। কথাগুলো বলেছেন, ট্রাম্পের জামাতা জারেড কুশনার।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) মার্কিন গণমাধ্যম সিবিএস নিউজের সিক্সটি মিনিট টেলিভিশন অনুষ্ঠানের এক্স অ্যাকাউন্টে এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, চলতি মাসের শুরুতে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সইয়ের বিষয়ে মূল ভূমিকা পালনকারী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও জামাতা জারেড কুশনার এই চুক্তি নিয়ে তাদের ভাবনা সিবিএস নিউজের কাছে তুলে ধরেছেন। অনুষ্ঠানের এই পর্বটি আগামীকাল রোববার প্রচারিত হবে।

গত মাসে কাতারে যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যে হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলের হামলার পর উইটকফ বলেছিলেন, তিনি ও কুশনার ‘প্রতারিত’ বোধ করেছিলেন। অর্থাৎ, তারা বুঝতে পেরেছিলেন ইসরায়েলের নেতারা তাদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন।

কাতারে ইসরায়েলি হামলা সম্পর্কে উইটকফের মন্তব্য ছিল: এই হামলার মাধ্যমে সংঘাত পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়বে। কেননা, কাতারিরা যুদ্ধ বন্ধের মধ্যস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা চালন করছেন। মিশরীয় ও তুর্কিরাও এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কাতারিদের আস্থা হারিয়েছি। এর ফলে হামাস আত্মগোপনে চলে যায়। আলোচনার টেবিলে তাদের পাওয়া খুব খুব কঠিন হয়ে পড়েছিল।

হামাসের সঙ্গে কাতারের মধ্যস্থতা নিয়ে তিনি বলেন, দোহায় ইসরায়েলি হামলার পর যুদ্ধবিরতি খুবই ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হয়ে উঠে।

সিবিএস নিউজের সিক্সটি মিনিট এক্স বার্তায় বলা হয়, উইটকফ ও কুশনার যুদ্ধবিরতির পেছনের ঘটনাগুলো গণমাধ্যমটির কাছে তুলে ধরেছেন। দোহায় ইসরায়েলি হামলার পর যখন আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল সেই চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময় চুক্তি সই করার পেছনের গল্পগুলো তারা জানিয়েছেন।

মিত্র কাতারে ইসরায়েলের সেই হামলায় সেসময় ট্রাম্প ‘চরম নাখোশ’ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছিলেন।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

টাঙ্গাইলে এসআইয়ের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার জামাতা জারেড কুশনার

আপডেট সময় ০৫:৪২:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

গত সেপ্টেম্বরে হামাসের শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েলি হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুঝতে পারেন যে তারা কিছুটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। তারা যা করছে তা দেখেই ট্রাম্পের এমন ধারণা হয়।

ট্রাম্প আরও মনে করেন থেকে তাদেরকে এখনই শক্ত হাতে থামাতে হবে। তার মতে, (ইসরায়েলিদের) এখনি না থামালে তা ভবিষ্যতে তা তাদের জন্যই ক্ষতিকর হবে। কথাগুলো বলেছেন, ট্রাম্পের জামাতা জারেড কুশনার।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) মার্কিন গণমাধ্যম সিবিএস নিউজের সিক্সটি মিনিট টেলিভিশন অনুষ্ঠানের এক্স অ্যাকাউন্টে এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, চলতি মাসের শুরুতে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সইয়ের বিষয়ে মূল ভূমিকা পালনকারী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও জামাতা জারেড কুশনার এই চুক্তি নিয়ে তাদের ভাবনা সিবিএস নিউজের কাছে তুলে ধরেছেন। অনুষ্ঠানের এই পর্বটি আগামীকাল রোববার প্রচারিত হবে।

গত মাসে কাতারে যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যে হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলের হামলার পর উইটকফ বলেছিলেন, তিনি ও কুশনার ‘প্রতারিত’ বোধ করেছিলেন। অর্থাৎ, তারা বুঝতে পেরেছিলেন ইসরায়েলের নেতারা তাদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন।

কাতারে ইসরায়েলি হামলা সম্পর্কে উইটকফের মন্তব্য ছিল: এই হামলার মাধ্যমে সংঘাত পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়বে। কেননা, কাতারিরা যুদ্ধ বন্ধের মধ্যস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা চালন করছেন। মিশরীয় ও তুর্কিরাও এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কাতারিদের আস্থা হারিয়েছি। এর ফলে হামাস আত্মগোপনে চলে যায়। আলোচনার টেবিলে তাদের পাওয়া খুব খুব কঠিন হয়ে পড়েছিল।

হামাসের সঙ্গে কাতারের মধ্যস্থতা নিয়ে তিনি বলেন, দোহায় ইসরায়েলি হামলার পর যুদ্ধবিরতি খুবই ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হয়ে উঠে।

সিবিএস নিউজের সিক্সটি মিনিট এক্স বার্তায় বলা হয়, উইটকফ ও কুশনার যুদ্ধবিরতির পেছনের ঘটনাগুলো গণমাধ্যমটির কাছে তুলে ধরেছেন। দোহায় ইসরায়েলি হামলার পর যখন আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল সেই চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময় চুক্তি সই করার পেছনের গল্পগুলো তারা জানিয়েছেন।

মিত্র কাতারে ইসরায়েলের সেই হামলায় সেসময় ট্রাম্প ‘চরম নাখোশ’ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছিলেন।


প্রিন্ট