ঢাকা ০৩:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ফরিদপুরে চেয়ারম্যানের শেল্টারে চায়না দুয়ারি জালের কারখানার রমরমা ব্যবসা, প্রশাসনের অভিযানে নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থা Logo রয়টার্সের প্রতিবেদন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সালিশের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে আদানি গ্রুপ Logo টানা কমছে দেশের রপ্তানি আয়, সামনে আরও কমার আশঙ্কা Logo বিএনপির ফাঁকা রাখা ৬৩ আসনে অগ্রাধিকার পাবেন যারা Logo আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারি জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে Logo আশুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ৬ দলিল লেখক বরখাস্ত Logo সাভারে ট্রলি ভ্যানের ব্রেক ফেল আয়ারল্যান্ডের ওপরে এসে গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ Logo তৌহিদুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ Logo ৪৮ তম বিসিএস পরীক্ষায় উওীর্ণদের নিয়োগ এর দাবি তে মানববন্ধন Logo বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নেই রুমিন ফারহানার পদত্যাগ করেন

গাজায় ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে লাশ উদ্ধার, নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধি

গাজার অবরুদ্ধ উপত্যকায় চলমান সংঘাতের মাঝে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে একের পর এক লাশ উদ্ধার করা হচ্ছে। সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে তীব্র হামলা ও বিমানবর্ষণের পর নির্দিষ্ট এলাকায় সেনারা সরে যাওয়ায় উদ্ধারকারীরা নিরাপদভাবে উদ্ধার অভিযান শুরু করতে পারছেন।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) গাজার বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে ১৫৫টি লাশ পৌঁছেছে। এর মধ্যে ১৩৫টি মরদেহ ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর এই উদ্ধার অভিযান সম্ভব হয়। বোমাবর্ষণ বন্ধ এবং ইসরায়েলি সেনারা জনবহুল এলাকা থেকে সরে যাওয়ায় উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা লাশ উদ্ধার করতে সমর্থ হন।

ওয়াফা নিউজের তথ্য অনুযায়ী, ৪৩টি লাশ গাজা সিটির আল-শিফা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ৬০টি লাশ আল-আহলি আরব হাসপাতালে, ৪টি নুসেইরাতের আল-আওদা হাসপাতালে, ১৬টি দেইর এল-বালার আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে এবং ৩২টি লাশ খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

গতকাল দখলদারদের হামলায় নতুন করে ১৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত অবস্থায় আরও একজন প্রাণ হারিয়েছেন। গাজা সিটির দক্ষিণাঞ্চলে ভোরে ঘাবুন পরিবারের ওপর হামলায় একসঙ্গে ১৬ জন নিহত হয়। এছাড়াও রাদওয়ান এলাকায় একজন, খান ইউনিসে আরও দুজন নিহত হয়েছে।

যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও এই ধরনের হামলার মাধ্যমে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে কি না তা স্পষ্ট নয়। আনুষ্ঠানিকভাবে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুক্রবার দুপুর থেকে কার্যকর হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হামাস ২০ জন জীবিত এবং কিছু মৃত জিম্মির লাশ ফেরত দেবে। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদপুরে চেয়ারম্যানের শেল্টারে চায়না দুয়ারি জালের কারখানার রমরমা ব্যবসা, প্রশাসনের অভিযানে নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থা

গাজায় ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে লাশ উদ্ধার, নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধি

আপডেট সময় ১২:২৪:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

গাজার অবরুদ্ধ উপত্যকায় চলমান সংঘাতের মাঝে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে একের পর এক লাশ উদ্ধার করা হচ্ছে। সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে তীব্র হামলা ও বিমানবর্ষণের পর নির্দিষ্ট এলাকায় সেনারা সরে যাওয়ায় উদ্ধারকারীরা নিরাপদভাবে উদ্ধার অভিযান শুরু করতে পারছেন।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) গাজার বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে ১৫৫টি লাশ পৌঁছেছে। এর মধ্যে ১৩৫টি মরদেহ ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর এই উদ্ধার অভিযান সম্ভব হয়। বোমাবর্ষণ বন্ধ এবং ইসরায়েলি সেনারা জনবহুল এলাকা থেকে সরে যাওয়ায় উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা লাশ উদ্ধার করতে সমর্থ হন।

ওয়াফা নিউজের তথ্য অনুযায়ী, ৪৩টি লাশ গাজা সিটির আল-শিফা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ৬০টি লাশ আল-আহলি আরব হাসপাতালে, ৪টি নুসেইরাতের আল-আওদা হাসপাতালে, ১৬টি দেইর এল-বালার আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে এবং ৩২টি লাশ খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

গতকাল দখলদারদের হামলায় নতুন করে ১৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত অবস্থায় আরও একজন প্রাণ হারিয়েছেন। গাজা সিটির দক্ষিণাঞ্চলে ভোরে ঘাবুন পরিবারের ওপর হামলায় একসঙ্গে ১৬ জন নিহত হয়। এছাড়াও রাদওয়ান এলাকায় একজন, খান ইউনিসে আরও দুজন নিহত হয়েছে।

যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও এই ধরনের হামলার মাধ্যমে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে কি না তা স্পষ্ট নয়। আনুষ্ঠানিকভাবে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুক্রবার দুপুর থেকে কার্যকর হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হামাস ২০ জন জীবিত এবং কিছু মৃত জিম্মির লাশ ফেরত দেবে। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা


প্রিন্ট