ঢাকা ০৯:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo হবিগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ডা: শাখায়াত হাসান জীবন আজমিরীগঞ্জ বানিয়াচংয়ে উচ্ছ্বাস Logo পটুয়াখালী-২ আসনে এনসিপি-জামায়াতে উচ্ছ্বাস, বিএনপিতে বিষাদ Logo ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন মাগুরা-২ আসনে ধানের শীষের কান্ডারী এ্যাড. নিতাই রায় চৌধুরী Logo ফরিদপুরে চেয়ারম্যানের শেল্টারে চায়না দুয়ারি জালের কারখানার রমরমা ব্যবসা, প্রশাসনের অভিযানে নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থা Logo রয়টার্সের প্রতিবেদন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সালিশের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে আদানি গ্রুপ Logo টানা কমছে দেশের রপ্তানি আয়, সামনে আরও কমার আশঙ্কা Logo বিএনপির ফাঁকা রাখা ৬৩ আসনে অগ্রাধিকার পাবেন যারা Logo আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারি জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে Logo আশুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ৬ দলিল লেখক বরখাস্ত Logo সাভারে ট্রলি ভ্যানের ব্রেক ফেল আয়ারল্যান্ডের ওপরে এসে গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ

নাসিরনগরের যুবকের মৃত্যুর জেরে প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুর-লুটপাট

ঢাকা ব্যাগ কারখানায় বাকবিতণ্ডার জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের দাঁতমন্ডল গ্রামে খুন হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বাড়িতে চলছে অবাধ লুটপাট, ভাংচুর। গ্রেপ্তার এড়াতে এবং পাল্টা হামলার ভয়ে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে পুরো এলাকা। নারী ও শিশুদের নিয়ে গ্রাম ছেড়েছে বহু পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাসিরনগর সদরের দাঁতমন্ডল গ্রামে মহিদ আলীর ছেলে সুজন মিয়া ও লাফিলুদ্দিনর ছেলে শাকিল ঢাকা ব্যাগ কারখানায় বাকবিতণ্ডার জেরে মারধর হয়। ঘটনার পর গতকাল বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) উভয়ের নিজ গ্রামের বাড়িতে সামাজিক ভাবে শেষ করার জন্য সালিস বসে। সালিস চলাকালীন সময় উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষই ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এতে আমির আলী (৪০) নামে এক যুবক আহত হয়। পরে আমির আলীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

এ ঘটনার পর থেকেই পুরো গ্রামে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে শুরু হয় হামলা, ভাঙচুর।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের পথে পথে ছড়িয়ে আছে ভাঙা কাচ, আর লণ্ডভণ্ড আসবাবপত্র। প্রতিপক্ষ লোকজনের দাবি, নিহত ব্যক্তির পরিবারের লোকজনের নেতৃত্বে দফায় দফায় তাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও মালামাল লুটপাট করা হয়েছে। তাদের লোকজন ভয়ে বাড়িতে থাকতে পারছেন না। হত্যাকাণ্ডের পর কয়েক দফায় তাদের ১০টি বাড়ি ও দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে।

দাঁতমন্ডল গ্রামের জালাল উদ্দিনের মেয়ে সুলতানা আক্তার বলেন, ‘আমির আলী নিহত হওয়ার পর তাঁর আত্নীয়দের নেতৃত্বে আমাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর হয়েছে, ৮ টি গরু, ৪ টি ছাগল সহ ২ লক্ষ টাকা নিয়ে গেছে। এখনো হুমকি দিচ্ছে, আমরা আতঙ্কে আছি, বাড়িঘরে থাকতে পারতেছি না।’

ভাঙচুর, লুটপাট ও হুমকির বিষয়ে নিহত আমির আলীর চাচাতো ভাই সুজন বলেন, আমরা লাশ নিয়ে দৌড়াদৌড়িতে ছিলাম। কে বা কারা লুটপাট ভাংচুর করেছে তা আমরা জানি না।

নাসিরনগর থানা তদন্তকারী কর্মকর্তা তানভির আহমদ দৈনিক আমার দেশকে বলেন, দাঁতমন্ডল হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষের অতি উৎসাহী কিছু লোকজন প্রতিপক্ষের ঘরবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট করেছে। আমরা ঘটনাস্থলে আসার পর পরিবেশ স্বাভাবিক। ভাংচুর ও লুটপাটের বিষয় অভিযোগ দিলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হবিগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ডা: শাখায়াত হাসান জীবন আজমিরীগঞ্জ বানিয়াচংয়ে উচ্ছ্বাস

নাসিরনগরের যুবকের মৃত্যুর জেরে প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুর-লুটপাট

আপডেট সময় ১০:৪৪:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাকা ব্যাগ কারখানায় বাকবিতণ্ডার জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের দাঁতমন্ডল গ্রামে খুন হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বাড়িতে চলছে অবাধ লুটপাট, ভাংচুর। গ্রেপ্তার এড়াতে এবং পাল্টা হামলার ভয়ে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে পুরো এলাকা। নারী ও শিশুদের নিয়ে গ্রাম ছেড়েছে বহু পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাসিরনগর সদরের দাঁতমন্ডল গ্রামে মহিদ আলীর ছেলে সুজন মিয়া ও লাফিলুদ্দিনর ছেলে শাকিল ঢাকা ব্যাগ কারখানায় বাকবিতণ্ডার জেরে মারধর হয়। ঘটনার পর গতকাল বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) উভয়ের নিজ গ্রামের বাড়িতে সামাজিক ভাবে শেষ করার জন্য সালিস বসে। সালিস চলাকালীন সময় উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষই ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এতে আমির আলী (৪০) নামে এক যুবক আহত হয়। পরে আমির আলীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

এ ঘটনার পর থেকেই পুরো গ্রামে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে শুরু হয় হামলা, ভাঙচুর।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের পথে পথে ছড়িয়ে আছে ভাঙা কাচ, আর লণ্ডভণ্ড আসবাবপত্র। প্রতিপক্ষ লোকজনের দাবি, নিহত ব্যক্তির পরিবারের লোকজনের নেতৃত্বে দফায় দফায় তাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও মালামাল লুটপাট করা হয়েছে। তাদের লোকজন ভয়ে বাড়িতে থাকতে পারছেন না। হত্যাকাণ্ডের পর কয়েক দফায় তাদের ১০টি বাড়ি ও দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে।

দাঁতমন্ডল গ্রামের জালাল উদ্দিনের মেয়ে সুলতানা আক্তার বলেন, ‘আমির আলী নিহত হওয়ার পর তাঁর আত্নীয়দের নেতৃত্বে আমাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর হয়েছে, ৮ টি গরু, ৪ টি ছাগল সহ ২ লক্ষ টাকা নিয়ে গেছে। এখনো হুমকি দিচ্ছে, আমরা আতঙ্কে আছি, বাড়িঘরে থাকতে পারতেছি না।’

ভাঙচুর, লুটপাট ও হুমকির বিষয়ে নিহত আমির আলীর চাচাতো ভাই সুজন বলেন, আমরা লাশ নিয়ে দৌড়াদৌড়িতে ছিলাম। কে বা কারা লুটপাট ভাংচুর করেছে তা আমরা জানি না।

নাসিরনগর থানা তদন্তকারী কর্মকর্তা তানভির আহমদ দৈনিক আমার দেশকে বলেন, দাঁতমন্ডল হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষের অতি উৎসাহী কিছু লোকজন প্রতিপক্ষের ঘরবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট করেছে। আমরা ঘটনাস্থলে আসার পর পরিবেশ স্বাভাবিক। ভাংচুর ও লুটপাটের বিষয় অভিযোগ দিলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।


প্রিন্ট