ঢাকা ০১:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গুমের মামলায় হাসিনা-কামালসহ ১৭ জনের বিচার শুরুর আদেশ Logo জমিয়তকে যে ৪ আসন দিল বিএনপি Logo ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব Logo আপনারা যদি ভালোভাবে কাজ না করেন, আমার ঘুম হারাম Logo আশুগঞ্জে পুলিশের বড় সাফল্য সাড়ে ৩৪ কেজি গাঁজা ও কাভার্ড ভ্যানসহ আটক ২ মাদক কারবারি Logo চেইন চুরির সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা Logo ভোটের গাড়ির যাত্রা শুরুর উদ্বোধনে ভিডিও বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনে ভয় থাকবে না, থাকবে নির্ভীক মত প্রকাশ Logo যেকোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা Logo এবার এনসিপি নেতাকে প্রকাশ্যে গুলি Logo একের পর হামলা-হত্যাকাণ্ড, প্রশাসন ‘নির্লিপ্ত’ কেন?

চকবাজারে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের ছায়া: কিশোর গ্যাং লিডার জাবেদ এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে

  • বিশেষ প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় ০৬:০৬:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১১৩ ১৮৪৪.০০০ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম নগরীর ঘাষিয়াপাড়া ও ফুলতলা মোড় এলাকায় চরম সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির ঘটনায় পুরো এলাকায় ভয় আর আতঙ্কের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, কিশোর গ্যাং লিডার ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী জাবেদ (৪২), পিতা-আলী আহম্মদ, ঘাষিয়াপাড়া, দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দাপট দেখাচ্ছেন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে জাবেদ তার সাঙ্গোপাঙ্গদের নিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে একটি হোটেলে হামলা চালিয়ে নগদ টাকা লুট, অস্ত্রের মুখে জীবননাশের হুমকি দিয়েছেন।

হতাহত হয়েছেন দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে ক্ষুদ্র হোটেল ব্যবসা চালানো অমল মালাকার, যাঁর মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসকরা একাধিক সেলাই দিয়ে জীবন রক্ষা করেন। হামলার সময় হোটেল থেকে লুট হওয়া নগদ অর্থের পরিমাণ ৭ হাজার টাকার বেশি।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, জাবেদ তার কিশোর গ্যাং সদস্য ফরিদ (১৮), পিতা-হোসেন; নাজমুল (২০), পিতা-রফিক ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনকে নিয়ে হামলা চালিয়েছে। এছাড়া, তিনি প্রতিদিন ও মাসিক ভিত্তিতে ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছেন। প্রায়ই রাজনৈতিক প্রভাব খোঁজার জন্য বিএনপির সিনিয়র নেতাদের নাম ভাঙিয়ে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগও উঠেছে।

স্থানীয়দের বক্তব্য, কিছু অসাধু পুলিশ সদস্য দীর্ঘদিন ধরে জাবেদকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ও মামলা থাকা সত্ত্বেও থানার পক্ষ থেকে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারা প্রশ্ন তুলেছেন—মামলা রুজু হওয়ার পর কেন জাবেদকে দ্রুত গ্রেফতার করা হলো না?

স্থানীয়রা প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, এই ধরনের কিশোর গ্যাং ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার না করলে চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাবে।

চকবাজার থানায় আহত অমল মালাকার ও স্থানীয়দের সহায়তায় জাবেদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনও পুলিশ
আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। এলাকাবাসী আশা করছেন, প্রশাসন অবিলম্বে অভিযান চালিয়ে এই সন্ত্রাসী চক্রকে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা নেবে।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গুমের মামলায় হাসিনা-কামালসহ ১৭ জনের বিচার শুরুর আদেশ

চকবাজারে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের ছায়া: কিশোর গ্যাং লিডার জাবেদ এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে

আপডেট সময় ০৬:০৬:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রাম নগরীর ঘাষিয়াপাড়া ও ফুলতলা মোড় এলাকায় চরম সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির ঘটনায় পুরো এলাকায় ভয় আর আতঙ্কের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, কিশোর গ্যাং লিডার ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী জাবেদ (৪২), পিতা-আলী আহম্মদ, ঘাষিয়াপাড়া, দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দাপট দেখাচ্ছেন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে জাবেদ তার সাঙ্গোপাঙ্গদের নিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে একটি হোটেলে হামলা চালিয়ে নগদ টাকা লুট, অস্ত্রের মুখে জীবননাশের হুমকি দিয়েছেন।

হতাহত হয়েছেন দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে ক্ষুদ্র হোটেল ব্যবসা চালানো অমল মালাকার, যাঁর মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসকরা একাধিক সেলাই দিয়ে জীবন রক্ষা করেন। হামলার সময় হোটেল থেকে লুট হওয়া নগদ অর্থের পরিমাণ ৭ হাজার টাকার বেশি।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, জাবেদ তার কিশোর গ্যাং সদস্য ফরিদ (১৮), পিতা-হোসেন; নাজমুল (২০), পিতা-রফিক ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনকে নিয়ে হামলা চালিয়েছে। এছাড়া, তিনি প্রতিদিন ও মাসিক ভিত্তিতে ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছেন। প্রায়ই রাজনৈতিক প্রভাব খোঁজার জন্য বিএনপির সিনিয়র নেতাদের নাম ভাঙিয়ে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগও উঠেছে।

স্থানীয়দের বক্তব্য, কিছু অসাধু পুলিশ সদস্য দীর্ঘদিন ধরে জাবেদকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ও মামলা থাকা সত্ত্বেও থানার পক্ষ থেকে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারা প্রশ্ন তুলেছেন—মামলা রুজু হওয়ার পর কেন জাবেদকে দ্রুত গ্রেফতার করা হলো না?

স্থানীয়রা প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, এই ধরনের কিশোর গ্যাং ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার না করলে চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাবে।

চকবাজার থানায় আহত অমল মালাকার ও স্থানীয়দের সহায়তায় জাবেদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনও পুলিশ
আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। এলাকাবাসী আশা করছেন, প্রশাসন অবিলম্বে অভিযান চালিয়ে এই সন্ত্রাসী চক্রকে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা নেবে।


প্রিন্ট