ঢাকা ০১:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে বাদ পড়ল যুক্তরাষ্ট্র Logo আশুলিয়ায় যানজট, মাদক ও সন্ত্রাস নিরসনে সুশীল সমাজের আলোচনা সভা Logo মিরপুর অগ্নিকাণ্ডে এখনো নিখোঁজ ১৩ জন Logo চাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু Logo ইসরায়েলকে সহায়তার অভিযোগে ৩৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করলো হামাস Logo ভালবাসার বন্ধনের বিরুদ্ধে মিথ্যে অপহরণ মামলা ছেলের বাবা কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে আবেদন Logo কালিয়াকৈরে জমির পাওয়ার অফ এ্যাটর্নি দলিল জাল জালিয়াতির অভিযোগ Logo ভৈরব জেলা বাস্তবায়নের দাবীতে মানব বন্ধন Logo আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ-আল্লামা মামুনুল হক। Logo ভাঙ্গুড়ায় তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার প্রদর্শনী, নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস

চকবাজারে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের ছায়া: কিশোর গ্যাং লিডার জাবেদ এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে

  • বিশেষ প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় ০৬:০৬:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৪৯ ১০.০০০ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম নগরীর ঘাষিয়াপাড়া ও ফুলতলা মোড় এলাকায় চরম সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির ঘটনায় পুরো এলাকায় ভয় আর আতঙ্কের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, কিশোর গ্যাং লিডার ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী জাবেদ (৪২), পিতা-আলী আহম্মদ, ঘাষিয়াপাড়া, দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দাপট দেখাচ্ছেন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে জাবেদ তার সাঙ্গোপাঙ্গদের নিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে একটি হোটেলে হামলা চালিয়ে নগদ টাকা লুট, অস্ত্রের মুখে জীবননাশের হুমকি দিয়েছেন।

হতাহত হয়েছেন দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে ক্ষুদ্র হোটেল ব্যবসা চালানো অমল মালাকার, যাঁর মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসকরা একাধিক সেলাই দিয়ে জীবন রক্ষা করেন। হামলার সময় হোটেল থেকে লুট হওয়া নগদ অর্থের পরিমাণ ৭ হাজার টাকার বেশি।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, জাবেদ তার কিশোর গ্যাং সদস্য ফরিদ (১৮), পিতা-হোসেন; নাজমুল (২০), পিতা-রফিক ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনকে নিয়ে হামলা চালিয়েছে। এছাড়া, তিনি প্রতিদিন ও মাসিক ভিত্তিতে ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছেন। প্রায়ই রাজনৈতিক প্রভাব খোঁজার জন্য বিএনপির সিনিয়র নেতাদের নাম ভাঙিয়ে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগও উঠেছে।

স্থানীয়দের বক্তব্য, কিছু অসাধু পুলিশ সদস্য দীর্ঘদিন ধরে জাবেদকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ও মামলা থাকা সত্ত্বেও থানার পক্ষ থেকে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারা প্রশ্ন তুলেছেন—মামলা রুজু হওয়ার পর কেন জাবেদকে দ্রুত গ্রেফতার করা হলো না?

স্থানীয়রা প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, এই ধরনের কিশোর গ্যাং ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার না করলে চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাবে।

চকবাজার থানায় আহত অমল মালাকার ও স্থানীয়দের সহায়তায় জাবেদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনও পুলিশ
আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। এলাকাবাসী আশা করছেন, প্রশাসন অবিলম্বে অভিযান চালিয়ে এই সন্ত্রাসী চক্রকে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা নেবে।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে বাদ পড়ল যুক্তরাষ্ট্র

চকবাজারে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের ছায়া: কিশোর গ্যাং লিডার জাবেদ এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে

আপডেট সময় ০৬:০৬:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রাম নগরীর ঘাষিয়াপাড়া ও ফুলতলা মোড় এলাকায় চরম সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির ঘটনায় পুরো এলাকায় ভয় আর আতঙ্কের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, কিশোর গ্যাং লিডার ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী জাবেদ (৪২), পিতা-আলী আহম্মদ, ঘাষিয়াপাড়া, দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দাপট দেখাচ্ছেন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে জাবেদ তার সাঙ্গোপাঙ্গদের নিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে একটি হোটেলে হামলা চালিয়ে নগদ টাকা লুট, অস্ত্রের মুখে জীবননাশের হুমকি দিয়েছেন।

হতাহত হয়েছেন দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে ক্ষুদ্র হোটেল ব্যবসা চালানো অমল মালাকার, যাঁর মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসকরা একাধিক সেলাই দিয়ে জীবন রক্ষা করেন। হামলার সময় হোটেল থেকে লুট হওয়া নগদ অর্থের পরিমাণ ৭ হাজার টাকার বেশি।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, জাবেদ তার কিশোর গ্যাং সদস্য ফরিদ (১৮), পিতা-হোসেন; নাজমুল (২০), পিতা-রফিক ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনকে নিয়ে হামলা চালিয়েছে। এছাড়া, তিনি প্রতিদিন ও মাসিক ভিত্তিতে ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছেন। প্রায়ই রাজনৈতিক প্রভাব খোঁজার জন্য বিএনপির সিনিয়র নেতাদের নাম ভাঙিয়ে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগও উঠেছে।

স্থানীয়দের বক্তব্য, কিছু অসাধু পুলিশ সদস্য দীর্ঘদিন ধরে জাবেদকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ও মামলা থাকা সত্ত্বেও থানার পক্ষ থেকে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারা প্রশ্ন তুলেছেন—মামলা রুজু হওয়ার পর কেন জাবেদকে দ্রুত গ্রেফতার করা হলো না?

স্থানীয়রা প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, এই ধরনের কিশোর গ্যাং ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার না করলে চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাবে।

চকবাজার থানায় আহত অমল মালাকার ও স্থানীয়দের সহায়তায় জাবেদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনও পুলিশ
আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। এলাকাবাসী আশা করছেন, প্রশাসন অবিলম্বে অভিযান চালিয়ে এই সন্ত্রাসী চক্রকে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা নেবে।


প্রিন্ট