ঢাকা ০১:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গুমের মামলায় হাসিনা-কামালসহ ১৭ জনের বিচার শুরুর আদেশ Logo জমিয়তকে যে ৪ আসন দিল বিএনপি Logo ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব Logo আপনারা যদি ভালোভাবে কাজ না করেন, আমার ঘুম হারাম Logo আশুগঞ্জে পুলিশের বড় সাফল্য সাড়ে ৩৪ কেজি গাঁজা ও কাভার্ড ভ্যানসহ আটক ২ মাদক কারবারি Logo চেইন চুরির সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা Logo ভোটের গাড়ির যাত্রা শুরুর উদ্বোধনে ভিডিও বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনে ভয় থাকবে না, থাকবে নির্ভীক মত প্রকাশ Logo যেকোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা Logo এবার এনসিপি নেতাকে প্রকাশ্যে গুলি Logo একের পর হামলা-হত্যাকাণ্ড, প্রশাসন ‘নির্লিপ্ত’ কেন?

অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য চাকুরী হইতে বহিষ্কার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও ফেসবুক পেজের নাম ব্যবহার করে ভুয়া সাংবাদিক পরিচয়ে নানা অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়েছে সাব্বির আহমেদ মেস নামের এই ব্যক্তি। বাদ দেয়নি স্যাটেলাইট টেলিভিশনও

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:০৪:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৪৭ ১৮৪৪.০০০ বার পড়া হয়েছে

কখনো এশিয়ান টেলিভিশন, কখনো আনন্দ টিভি, আবার কখনো দীপ্ত টেলিভিশনসহ বিভিন্ন পেইজের পরিচয় দিয়ে চালিয়ে গেছে প্রতারণা।

অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিন এশিয়ান টেলিভিশনের অনুসন্ধানী অনুষ্ঠান ‘এশিয়ান সার্চ’-এর ক্যামেরা ম্যানের আইডি কার্ড ব্যবহার করে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিলেও প্রকৃতপক্ষে প্রতিষ্ঠানটি তাকে কখনো কোনো আইডি কার্ড দেয়নি। বরং নিজেই ভুয়া আইডি কার্ড বানিয়ে বিভিন্ন স্থানে তা ব্যবহার করেছে। শুধু তাই নয়, নিজের সিভিতে ওই ভুয়া পরিচয়কে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করে আনন্দ টেলিভিশনের এক কর্মীর মাধ্যমে ক্যামেরা ম্যানের আইডি কার্ড সংগ্রহ করে। কিন্তু সেখান থেকেও নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় শেষ পর্যন্ত আনন্দ টেলিভিশনের সেই কর্মীর মাধ্যমেই তাকে বহিষ্কার করা হয়।

জুলাই আন্দোলনের সময় দীপ্ত টেলিভিশনের ক্যামেরা হাতে ছবি তুলে পরে ফেসবুকে বিভিন্নভাবে ছড়িয়ে নিজেকে দীপ্ত টেলিভিশনের ক্যামেরাপার্সন হিসেবে প্রচার করে নতুন করে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করেছে এই ব্যক্তি। প্রকৃতপক্ষে সে কোন কালেই দীপ্ত টেলিভিশন কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত ক্যামেরাম্যান ছিল না। বিভিন্ন সময়ে এশিয়ান, আনন্দ কিংবা দীপ্ত টেলিভিশনের নাম ভাঙিয়ে নানা অনৈতিক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থেকেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়াও জানা গেছে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে মাসিক ভাতা বা মাশহরা আদায় এবং সাংবাদিকসহ পরিচিতজনদের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে তা আর পরিশোধ না করার মতো কর্মকাণ্ডেও লিপ্ত ছিল সে।

বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, বিভিন্ন স্যাটেলাইট টেলিভিশন ও ফেসবুক পেইজের রেফারেন্স ব্যবহার করে তিনি সনামধন্য জাতীয় দৈনিক সময়ের কণ্ঠ পত্রিকার সাথে যুক্ত হয়। তবে সময় কণ্ঠ পত্রিকার কর্তৃপক্ষ স্পষ্টভাবে প্রকাশ করেছেন যে, সকল প্রমাণের ভিত্তিতে সাব্বির আহমেদ বর্তমানে জাতীয় দৈনিক সময়ের কণ্ঠ পত্রিকার সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নয়। ভবিষ্যতে সে যদি সময়ের কণ্ঠ পত্রিকার নাম ব্যবহার করে কিংবা প্রতিষ্ঠানের কার্ড দেখিয়ে কোনো তথ্য সংগ্রহ, অপকর্ম অথবা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়, তবে এর দায়ভার দৈনিক সময়ের কণ্ঠ পত্রিকার কর্তৃপক্ষ বহন করবেন না। সেইক্ষেত্রে তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ করেছেন কর্তৃপক্ষ।

পত্রিকার কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, কেউ যদি জাতীয় দৈনিক সময়ের কণ্ঠ পত্রিকার নাম ব্যবহার করে কোনো অপকর্ম করে বা সহযোগিতা করে, তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গুমের মামলায় হাসিনা-কামালসহ ১৭ জনের বিচার শুরুর আদেশ

অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য চাকুরী হইতে বহিষ্কার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও ফেসবুক পেজের নাম ব্যবহার করে ভুয়া সাংবাদিক পরিচয়ে নানা অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়েছে সাব্বির আহমেদ মেস নামের এই ব্যক্তি। বাদ দেয়নি স্যাটেলাইট টেলিভিশনও

আপডেট সময় ০৭:০৪:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কখনো এশিয়ান টেলিভিশন, কখনো আনন্দ টিভি, আবার কখনো দীপ্ত টেলিভিশনসহ বিভিন্ন পেইজের পরিচয় দিয়ে চালিয়ে গেছে প্রতারণা।

অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিন এশিয়ান টেলিভিশনের অনুসন্ধানী অনুষ্ঠান ‘এশিয়ান সার্চ’-এর ক্যামেরা ম্যানের আইডি কার্ড ব্যবহার করে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিলেও প্রকৃতপক্ষে প্রতিষ্ঠানটি তাকে কখনো কোনো আইডি কার্ড দেয়নি। বরং নিজেই ভুয়া আইডি কার্ড বানিয়ে বিভিন্ন স্থানে তা ব্যবহার করেছে। শুধু তাই নয়, নিজের সিভিতে ওই ভুয়া পরিচয়কে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করে আনন্দ টেলিভিশনের এক কর্মীর মাধ্যমে ক্যামেরা ম্যানের আইডি কার্ড সংগ্রহ করে। কিন্তু সেখান থেকেও নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় শেষ পর্যন্ত আনন্দ টেলিভিশনের সেই কর্মীর মাধ্যমেই তাকে বহিষ্কার করা হয়।

জুলাই আন্দোলনের সময় দীপ্ত টেলিভিশনের ক্যামেরা হাতে ছবি তুলে পরে ফেসবুকে বিভিন্নভাবে ছড়িয়ে নিজেকে দীপ্ত টেলিভিশনের ক্যামেরাপার্সন হিসেবে প্রচার করে নতুন করে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করেছে এই ব্যক্তি। প্রকৃতপক্ষে সে কোন কালেই দীপ্ত টেলিভিশন কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত ক্যামেরাম্যান ছিল না। বিভিন্ন সময়ে এশিয়ান, আনন্দ কিংবা দীপ্ত টেলিভিশনের নাম ভাঙিয়ে নানা অনৈতিক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থেকেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়াও জানা গেছে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে মাসিক ভাতা বা মাশহরা আদায় এবং সাংবাদিকসহ পরিচিতজনদের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে তা আর পরিশোধ না করার মতো কর্মকাণ্ডেও লিপ্ত ছিল সে।

বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, বিভিন্ন স্যাটেলাইট টেলিভিশন ও ফেসবুক পেইজের রেফারেন্স ব্যবহার করে তিনি সনামধন্য জাতীয় দৈনিক সময়ের কণ্ঠ পত্রিকার সাথে যুক্ত হয়। তবে সময় কণ্ঠ পত্রিকার কর্তৃপক্ষ স্পষ্টভাবে প্রকাশ করেছেন যে, সকল প্রমাণের ভিত্তিতে সাব্বির আহমেদ বর্তমানে জাতীয় দৈনিক সময়ের কণ্ঠ পত্রিকার সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নয়। ভবিষ্যতে সে যদি সময়ের কণ্ঠ পত্রিকার নাম ব্যবহার করে কিংবা প্রতিষ্ঠানের কার্ড দেখিয়ে কোনো তথ্য সংগ্রহ, অপকর্ম অথবা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়, তবে এর দায়ভার দৈনিক সময়ের কণ্ঠ পত্রিকার কর্তৃপক্ষ বহন করবেন না। সেইক্ষেত্রে তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ করেছেন কর্তৃপক্ষ।

পত্রিকার কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, কেউ যদি জাতীয় দৈনিক সময়ের কণ্ঠ পত্রিকার নাম ব্যবহার করে কোনো অপকর্ম করে বা সহযোগিতা করে, তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


প্রিন্ট