ঢাকা ১১:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গাজীপুরে র‌্যাব সদস্যদের অবরুদ্ধ: অস্ত্র ও সরকারি কাজে বাধা মামলায় গ্রেপ্তার ১৪ Logo শ্বৈরাচার ফিরে আসার পরিস্থিতি তৈরি হলে সেটি কোন অবস্থাতেই ভালো হবেনা// দেশ পুনর্গঠন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন চলমান থাকবে Logo পুলিশের ৫৯ কর্মকর্তা হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার Logo মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হাসিনার বিরুদ্ধে ৩৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ Logo রাজস্ব আয়, অবকাঠামো উন্নয়ন ও মেরিটাইম সেক্টরের সাফল্য তুলে ধরলেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা Logo ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে আম্পায়ারিং করবেন মাসুদুর, বাংলাদেশের ম্যাচে কারা Logo নুরকে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার প্রস্তুতি সাইদ শাহীন Logo নেপালে জেন জি আন্দোলনে নিহত ১৪ Logo ডাকসু নির্বাচনে সংশ্লিষ্টতা নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলো সেনাবাহিনী Logo জয়পুরহাটে বগি লাইনচ্যুত, উত্তরবঙ্গে ট্রেন চলাচল বন্ধ

নুরকে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার প্রস্তুতি সাইদ শাহীন

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:৪৫:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৪ ১০.০০০ বার পড়া হয়েছে

নুরকে প্রথম দিনই জরুরি বিভাগ থেকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
নুরকে প্রথম দিনই জরুরি বিভাগ থেকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেবার প্রস্তুতি চলছে। দেশের বাইরে তার চিকিৎসার বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সহযোগিতার আশ্বাসও রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় নুরের পরিবারের কয়েকজন সদস্যদের পাসপোর্ট করা হচ্ছে। অর্থের সংস্থানও করা হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে বিদেশে চিকিৎসা নিতে আগ্রহ দেখাননি নুরুল হক নুর।

গণঅধিকার পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে নুরুল হক নুরের পরিবার সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে সরকারের কাছে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ওই হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে অগ্রিম পেমেন্ট করতে হবে। সেটিও সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু নুরুল হক নুর এখনো সম্মতি দেননি। ফলে বিদেশে যাবার বিষয়টি শ্লথ হয়ে পড়েছে।

দলের নেতা কর্মীরা বলছেন, একজন জাতীয় রাজনীতিবিদ হিসেবে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতি আস্থা রাখতেই বিদেশে যাত্রায় অনাগ্রহ নুরুল হক নুরের। তাছাড়া সামনে নির্বাচন তফসিল ঘোষণা হতে পারে। বিদেশে গেলে কত দিনে আসতে পারবেন সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। দেশে চিকিৎসাধীন থাকলে তিনি সার্বক্ষণিক নেতা কর্মীদের পরামর্শ দিতে পারবেন। কিন্তু বিদেশ থাকলে নির্বাচনকালীন পরামর্শ থেকে বঞ্চিত হতে পারে দল। এছাড়া তিনি এখন শঙ্কামুক্ত রয়েছেন। ফলে বিদেশ যাওয়ার প্রয়োজনীয়তাও কম। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পরিবার থেকে নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ও উচ্চতর পরিষদের সদস্য শাকিল উজ্জামান ইত্তেফাক ডিজিটালকে জানিয়েছেন, আমারা সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে আমাদের নেতার সুচিকিৎসার বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। পরবর্তীতে তার চিকিৎসা কোথায় হবে, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে তার পরিবার। আমরা যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত আছি।

নুরুল হক নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর ও তাকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে কথা বলছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। এছাড়া সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ঢামেক প্রশাসনিক কার্যালয়ে এক সংবাদ করে নুরুল হক নুরের চিকিৎসার বিষয়ে সর্বশেষ অবস্থা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, নুরুল হক নুরের শর্ট মেমোরি লস হয়নি। এ ধরনের আঘাতে মেমোরি লস হওয়ার সম্ভাবনা নেই। শুরুতে যে বিষয়টি নিয়ে চিকিৎসকরা উদ্বিগ্ন ছিলেন, তা হলো মাথায় আঘাত। তবে আইসিইউতে থাকা অবস্থায় আরেকটি সিটি স্ক্যান করা হলে দেখা যায়, যে রক্তক্ষরণ ছিল, তা মোটামুটি ঠিক হয়ে গেছে। ফলে নুরের অবস্থা এখন স্থিতিশীল এবং ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে।

গতকাল রাত থেকে নুরের জ্বর ও সর্দি-কাশির উপসর্গ দেখা দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ কারণে মেডিসিন বিভাগের প্রধান তাকে দেখেছেন এবং কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছেন। পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন হলে পরবর্তী পরিস্থিতি বোঝা যাবে।

বিদেশ চিকিৎসার বিষয়ে ঢামেক পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, নুরের পরিবার চাইলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে নিয়ে যেতে পারে।

ঢামেক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নুরকে প্রথম দিনই জরুরি বিভাগ থেকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তীতে তাকে আইসিইউতে রাখা হয় এবং সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসকদের গঠিত ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে। বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা কার্যক্রম চালানো হয়। ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাকে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি মোটামুটি স্থিতিশীল আছেন এবং তার শারীরিক অবস্থা ক্রমান্বয়ে উন্নতি হচ্ছে।

তারা আরও জানায়, নুরের নাকের হাড় ভাঙার কারণে মাঝে মাঝে রক্তপাত হচ্ছে। এ ধরনের ব্লিডিং কয়েক দিন চলতে পারে, তবে এ নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। তার নাকে তিনটি আঘাত রয়েছে, কিন্তু হাড়গুলো ডিসপ্লেস হয়নি, অর্থাৎ পজিশনে আছে। সাধারণত এ ধরনের ইনজুরি সম্পূর্ণ সেরে উঠতে চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগে। তার চোখে আঘাত থাকলেও সেখানে রক্তক্ষরণ হয়নি এবং চোখও ভালো আছে।

এর আগে রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাতে আল রাজী টাওয়ারের সামনে হামলায় আহত হন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। এরপর থেকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) এ চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুরে র‌্যাব সদস্যদের অবরুদ্ধ: অস্ত্র ও সরকারি কাজে বাধা মামলায় গ্রেপ্তার ১৪

নুরকে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার প্রস্তুতি সাইদ শাহীন

আপডেট সময় ০৬:৪৫:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নুরকে প্রথম দিনই জরুরি বিভাগ থেকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
নুরকে প্রথম দিনই জরুরি বিভাগ থেকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেবার প্রস্তুতি চলছে। দেশের বাইরে তার চিকিৎসার বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সহযোগিতার আশ্বাসও রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় নুরের পরিবারের কয়েকজন সদস্যদের পাসপোর্ট করা হচ্ছে। অর্থের সংস্থানও করা হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে বিদেশে চিকিৎসা নিতে আগ্রহ দেখাননি নুরুল হক নুর।

গণঅধিকার পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে নুরুল হক নুরের পরিবার সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে সরকারের কাছে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ওই হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে অগ্রিম পেমেন্ট করতে হবে। সেটিও সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু নুরুল হক নুর এখনো সম্মতি দেননি। ফলে বিদেশে যাবার বিষয়টি শ্লথ হয়ে পড়েছে।

দলের নেতা কর্মীরা বলছেন, একজন জাতীয় রাজনীতিবিদ হিসেবে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতি আস্থা রাখতেই বিদেশে যাত্রায় অনাগ্রহ নুরুল হক নুরের। তাছাড়া সামনে নির্বাচন তফসিল ঘোষণা হতে পারে। বিদেশে গেলে কত দিনে আসতে পারবেন সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। দেশে চিকিৎসাধীন থাকলে তিনি সার্বক্ষণিক নেতা কর্মীদের পরামর্শ দিতে পারবেন। কিন্তু বিদেশ থাকলে নির্বাচনকালীন পরামর্শ থেকে বঞ্চিত হতে পারে দল। এছাড়া তিনি এখন শঙ্কামুক্ত রয়েছেন। ফলে বিদেশ যাওয়ার প্রয়োজনীয়তাও কম। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পরিবার থেকে নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ও উচ্চতর পরিষদের সদস্য শাকিল উজ্জামান ইত্তেফাক ডিজিটালকে জানিয়েছেন, আমারা সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে আমাদের নেতার সুচিকিৎসার বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। পরবর্তীতে তার চিকিৎসা কোথায় হবে, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে তার পরিবার। আমরা যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত আছি।

নুরুল হক নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর ও তাকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে কথা বলছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। এছাড়া সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ঢামেক প্রশাসনিক কার্যালয়ে এক সংবাদ করে নুরুল হক নুরের চিকিৎসার বিষয়ে সর্বশেষ অবস্থা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, নুরুল হক নুরের শর্ট মেমোরি লস হয়নি। এ ধরনের আঘাতে মেমোরি লস হওয়ার সম্ভাবনা নেই। শুরুতে যে বিষয়টি নিয়ে চিকিৎসকরা উদ্বিগ্ন ছিলেন, তা হলো মাথায় আঘাত। তবে আইসিইউতে থাকা অবস্থায় আরেকটি সিটি স্ক্যান করা হলে দেখা যায়, যে রক্তক্ষরণ ছিল, তা মোটামুটি ঠিক হয়ে গেছে। ফলে নুরের অবস্থা এখন স্থিতিশীল এবং ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে।

গতকাল রাত থেকে নুরের জ্বর ও সর্দি-কাশির উপসর্গ দেখা দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ কারণে মেডিসিন বিভাগের প্রধান তাকে দেখেছেন এবং কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছেন। পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন হলে পরবর্তী পরিস্থিতি বোঝা যাবে।

বিদেশ চিকিৎসার বিষয়ে ঢামেক পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, নুরের পরিবার চাইলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে নিয়ে যেতে পারে।

ঢামেক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নুরকে প্রথম দিনই জরুরি বিভাগ থেকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তীতে তাকে আইসিইউতে রাখা হয় এবং সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসকদের গঠিত ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে। বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা কার্যক্রম চালানো হয়। ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাকে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি মোটামুটি স্থিতিশীল আছেন এবং তার শারীরিক অবস্থা ক্রমান্বয়ে উন্নতি হচ্ছে।

তারা আরও জানায়, নুরের নাকের হাড় ভাঙার কারণে মাঝে মাঝে রক্তপাত হচ্ছে। এ ধরনের ব্লিডিং কয়েক দিন চলতে পারে, তবে এ নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। তার নাকে তিনটি আঘাত রয়েছে, কিন্তু হাড়গুলো ডিসপ্লেস হয়নি, অর্থাৎ পজিশনে আছে। সাধারণত এ ধরনের ইনজুরি সম্পূর্ণ সেরে উঠতে চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগে। তার চোখে আঘাত থাকলেও সেখানে রক্তক্ষরণ হয়নি এবং চোখও ভালো আছে।

এর আগে রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাতে আল রাজী টাওয়ারের সামনে হামলায় আহত হন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। এরপর থেকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) এ চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।


প্রিন্ট