ঢাকা ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo টঙ্গীতে সাব-রেজিস্ট্রার মোস্তফা কামালকে দলিল লেখকদের ভালোবাসায় বিদায় Logo জুলাইয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সারা দেশে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) Logo সেনা-পুলিশ পাহারায় গোপালগঞ্জ ছাড়লেন নাহিদ-হাসনাতরা Logo গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে হামলা-সংঘর্ষ, নিহত৩ Logo পল্লী বিদ্যুতের চোরাই তারের ব্যবসা করতেন যুবদলের নেতা সোহাগ’ Logo পারমাণবিক অস্ত্রের সম্ভাবনা কম থাকলেও ‘ডার্টি বোমা’ বানাতে পারে ইউক্রেন Logo পলাতক ৮ আসামিকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ Logo ইসির প্রতীকে যুক্ত হচ্ছে দাঁড়িপাল্লা Logo গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র, ১৪৪ ধারা জারি Logo চট্টগ্রামের গর্ব: দেশসেরা নিবিড় কর্মকারকে জেলা পুলিশ সুপারের সংবর্ধনা

সেনা-পুলিশ পাহারায় গোপালগঞ্জ ছাড়লেন নাহিদ-হাসনাতরা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:২৫:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
  • ২ ১০.০০০ বার পড়া হয়েছে

গোপালগঞ্জে সমাবেশ শেষে অবরুদ্ধ হয়ে পড়া জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা গোপলগঞ্জ ছেড়ে গেছেন। সেনাবাহিনী ও পুলিশের পাহারায় তারা গোপালগঞ্জ ছাড়েন।

এ তথ্য নিশ্চিত করে এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহিন জানিয়েছেন, তারা বিকাল ৫টার দিকে গোপালগঞ্জ ছেড়ে বের হয়ে যান।

জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া পাহাড়ায় তাদের গাড়িবহর বেরিয়ে যায়। গাড়িতে এনসিপি নেতাদের মধ্যে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, আখতার হোসেন, হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলমসহ শীর্ষ নেতারা রয়েছেন।

বুধবার দুপুর ১টা ৩৫ মনিটের দিকে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় এনসিপির সমাবেশের মঞ্চে হামলা চালায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ। সমাবেশের মঞ্চে থাকা সাউন্ডবক্স, মাইক, চেয়ার ভাঙচুরসহ উপস্থিত এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়। হামলা-ভাঙচুরের মধ্যেই সমাবেশমঞ্চে উপস্থিত হন এনিসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা।

দুপুর ২টার আগেই দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে ওঠেন। ২টা থেকে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। সেখানে প্রথমে মাইক হাতে কথা বলেন দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। এরপর মাইক হাতে নিয়ে টানা স্লোগান দিয়ে সমাবেশস্থল মুখর করে রাখেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

তার স্লোগানে সভামঞ্চসহ পুরো সমাবেশস্থল যেন নতুন করে প্রাণ পায়। এসময় সভামঞ্চে উপস্থিত থাকা এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, সারোয়ার তুষারসহ সবাই হাসনাতের সঙ্গে সুর মিলিয়ে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।

এর কিছুক্ষণ পর নাহিদ ইসলাম বক্তব্য দিয়ে সভা শেষ করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়ে সমাবেশস্থল ত্যাগের ঘোষণা দেন সারজিস আলম।

গোপালগঞ্জ সভা শেষে ফেরার পথেও এনসিপির গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা এ হামলা চালায়। এতে গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গুলি চালায়। এসময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটে।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

টঙ্গীতে সাব-রেজিস্ট্রার মোস্তফা কামালকে দলিল লেখকদের ভালোবাসায় বিদায়

সেনা-পুলিশ পাহারায় গোপালগঞ্জ ছাড়লেন নাহিদ-হাসনাতরা

আপডেট সময় ০৮:২৫:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

গোপালগঞ্জে সমাবেশ শেষে অবরুদ্ধ হয়ে পড়া জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা গোপলগঞ্জ ছেড়ে গেছেন। সেনাবাহিনী ও পুলিশের পাহারায় তারা গোপালগঞ্জ ছাড়েন।

এ তথ্য নিশ্চিত করে এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহিন জানিয়েছেন, তারা বিকাল ৫টার দিকে গোপালগঞ্জ ছেড়ে বের হয়ে যান।

জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া পাহাড়ায় তাদের গাড়িবহর বেরিয়ে যায়। গাড়িতে এনসিপি নেতাদের মধ্যে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, আখতার হোসেন, হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলমসহ শীর্ষ নেতারা রয়েছেন।

বুধবার দুপুর ১টা ৩৫ মনিটের দিকে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় এনসিপির সমাবেশের মঞ্চে হামলা চালায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ। সমাবেশের মঞ্চে থাকা সাউন্ডবক্স, মাইক, চেয়ার ভাঙচুরসহ উপস্থিত এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়। হামলা-ভাঙচুরের মধ্যেই সমাবেশমঞ্চে উপস্থিত হন এনিসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা।

দুপুর ২টার আগেই দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে ওঠেন। ২টা থেকে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। সেখানে প্রথমে মাইক হাতে কথা বলেন দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। এরপর মাইক হাতে নিয়ে টানা স্লোগান দিয়ে সমাবেশস্থল মুখর করে রাখেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

তার স্লোগানে সভামঞ্চসহ পুরো সমাবেশস্থল যেন নতুন করে প্রাণ পায়। এসময় সভামঞ্চে উপস্থিত থাকা এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, সারোয়ার তুষারসহ সবাই হাসনাতের সঙ্গে সুর মিলিয়ে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।

এর কিছুক্ষণ পর নাহিদ ইসলাম বক্তব্য দিয়ে সভা শেষ করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়ে সমাবেশস্থল ত্যাগের ঘোষণা দেন সারজিস আলম।

গোপালগঞ্জ সভা শেষে ফেরার পথেও এনসিপির গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা এ হামলা চালায়। এতে গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গুলি চালায়। এসময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটে।


প্রিন্ট