গত বছরের জুলাই আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে হত্যা চেষ্টা মামলার আসামিদের তালিকা থেকে নাম বাদ দিতে আওয়ামী লীগ নেতাদের পক্ষে হলফনামা দেওয়া সহ মামলা বাণিজ্যের অবৈধ কার্যকলাপের জন্য নাসিরনগর উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব শাহ আলম পাঠানকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
গতকাল ৬ জুলাই (রোববার) রাত ৯ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক আবু শামীম মো. আরিফ (ভিপি শামীম) ও সদস্য সচিব জিল্লুর রহমানের যৌথ বিবৃতিতে এবং জেলা কৃষক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক (দপ্তর দায়িত্বে) আল আমিন-এর স্বাক্ষরে ওই নেতাকে বহিষ্কার করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়,দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকার অভিযোগে নাসিরনগর উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব শাহ আলম পাঠানকে বহিষ্কার করা হলো। এর আগে গত ১৩ জুন তাকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য শোকজ করা হয়।
জানা যায়, জুলাই- আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় গত বছর ১ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে মো. শাহ আলম পাঠান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ১১৮ জনকে আসামি করা হয়। ঐ মামলা থেকে ৫ জন আসামিকে বাদ দেওয়ার জন্য গত ৪ জুন ২০২৫ তারিখে শাহ আলম পাঠান কোর্টের মাধ্যমে হলফনামা দেন। যার কারণে এলাকার মধ্যে ব্যাপক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আবু শামীম মো. আরিফ (ভিপি শামীম) বলেন, জুলাই- আগস্টে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার হত্যা চেষ্টা মামলার বাদী শাহ আলম পাঠান সে সেই মামলা থেকে আসামি বাদ দিতে আওয়ামীলীগ নেতাদের পক্ষে হলফনামা দিয়েছে সে জন্য তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কারের বিষয় নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ হান্নান আমার দেশ কে বলেন, শাহ আলম পাঠান এর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলো সত্য প্রমাণিত হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষক দল যে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছে তাকে আমি স্বাগত জানাই।
প্রসঙ্গত, শাহ আলম পাঠানের বাড়ি নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের গুজিয়াখাইল গ্রামে। তার বাবা ইলিয়াছ পাঠান চাতলপাড় ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
প্রিন্ট