ঢাকার ধামরাই পৌরসভার দক্ষিণ পাড়া এলাকায় শ্বাসরোধে মাকে হত্যার অভিযোগে ছেলে মানিক সরকারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম জোৎস্না রানী সরকার (৬৫)। রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে ধামরাই পৌরশহরের দক্ষিণপাড়া সরকারি কলেজের পশ্চিম পাশের এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জোৎস্না রানী সরকারের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। নিহত জোৎস্না রানী সরকার দক্ষিণপাড়া এলাকার বাসিন্দা বিদু সরকারের স্ত্রী। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে লক্ষ্মী রানী মজুমদার বাদী হয়ে ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি নং–১৫। ভুক্তভোগী পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জোৎস্না রানী সরকার তার ছেলে মানিকের সঙ্গে নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। প্রায়ই ছেলের সঙ্গে তার পারিবারিক কলহ হতো এবং মানিক মায়ের সঙ্গে অসদাচরণ করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। রোববার রাতে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে মানিক মায়ের গলা চেপে ও মুখ চেপে ধরে শ্বাসরোধে হত্যা করেন বলে অভিযোগ উঠে। ঘটনার পর মানিক মায়ের মরদেহের পাশে বসে কান্নাকাটি করতে থাকেন। পরে আশপাশের লোকজন এসে জোৎস্না রানী সরকারকে উদ্ধার করে ধামরাই সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে মানিকের স্ত্রী শেফালী রানী সাংবাদিকদের জানান, “আমার পাঁচ মাস বয়সী একটি শিশু রয়েছে। শিশুকে দেখাশোনার কেউ না থাকায় আমি বাচ্চাকে বাপের বাড়িতে রেখে ধামরাইয়ের ঢুলিভিটা এলাকার স্নোটেক্স গার্মেন্টসে চাকরি করি। বাড়িতে শাশুড়ির সঙ্গে কী ঘটেছে, সে বিষয়ে আমি কিছু জানি না।” ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মানিক সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে মায়ের মুখ চেপে ধরার কথা স্বীকার করেছে। আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।” এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রিন্ট
ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি: মোঃ ওবাইদুল খান 




















