গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সিটি জেনারেল হাসপাতাল ও কনসালটেশন সেন্টারে ভূল অপরাশনে সিজারিয়ান প্রসুতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান জন্ম দিয়েছেন,তবে বেঁচে আছে নবজাতক ছেলে সন্তানটি। ওই সেন্টারের ডা. মশিউর রহমান সাদিক ও গাইনি চিকিৎসক তৌহিদা ইয়াসমিন সমারগ অবহেলা ও তড়িঘড়ি করে অপারেশনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ স্বজনদের। এ ঘটনার পর পরই হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত চিকিৎসকরা। এর আগেও ডাঃ মশিউর রহমান সাদিক বিসমিল্লাহ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়মিত আলট্রাসো রিপোর্ট করতেন। সেখানে তিনি একজন গর্ভবতী নারীর আলট্রাসো করে রিপোর্ট দেন তার গর্ভে জমজ বাচ্চা হবে কিন্তু ঐ গর্ভবতী নারী একটি বাচ্চা জন্ম গ্রহণ করে , এখানে ঐ ডাক্তার ভূল রিপোর্ট দিয়েছিলেন। আর তৌহিদা ইয়াসমিন সমা তিনি মুলত একজন ডিগ্রীধারী ডাক্তার নয়।তার কোন স্বাস্থ্য বিষয়ে কোন অভিজ্ঞতা নেই। এবিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রধান তৌহিদা ইয়াসমিন সমাকে এ উপজেলা থেকে চলে যেতে বলেন, এই মর্মে ঐ ভূয়া ডাঃ তৌহিদা ইয়াসমিন সমা স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রধানের কাছে মোসলেকাত দেন যে সে উপজেলার কোন ক্লিনিক বা হাসপাতালে বসবেন না।কিন্তু গোপনে ঐ ভূয়া ডাঃ সিটি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে চিকিৎসা দিয়ে যেতেন। তাদের এ অদক্ষতার কারণে এভাবে অনেক মায়ের বা মানুষের তাজা প্রাণ অকালে ঝরে পড়ছে।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ পৌর এলাকার হাসপাতাল মোড়ে অবস্থিত সিটি জেনারেল হাসপাতাল ও কনসালটেশন সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। মৃত্যু প্রসূতির নাম তানিয়া বেগম (১৯)। তিনি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাবাড়ি ইউনিয়নের পলুপাড়া (বাগদা) গ্রামের মাহাবুর রহমানের স্ত্রী।

স্বজনরা জানায়, সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে প্রসূতি তানিয়া বেগমকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে দ্রুত তার সিজারিয়ান করার পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এরপর দুপুর পৌনে ২টায় তানিয়া বেগমকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুক্ষন পর তার একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। এসময় রোগীর অবস্থা অবনতির কথায় জানায় চিকিৎসকরা। এক পর্যায়ে অপারেশন থিয়েটারে মৃত্যু হয় তানিয়া বেগমের। এ খবরে স্বজন ও উত্তেজিত হয়ে উঠলে হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যায় ডা. মশিউর রহমান সাদিক ও গাইনি চিকিৎসক তৌহিদা ইয়াসমিন সমা।

স্বজনদের অভিযোগ, তড়িঘড়ি করে সিজারিয়ান অপারেশন ও চিকিৎসকের অবহেলার কারণে মৃত্যু হয়েছে তানিয়া বেগমের। এ ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. মশিউর রহমান সাদিক ও গাইনি চিকিৎসক তৌহিদা ইয়াসমিন সমার শাস্তির দাবি জানান স্বজনরা।

এরআগেও এই হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার কারণে আরও তিন প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তাই সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত হাসপাতালটি বন্ধের দাবি এলাকাবাসীর।এছাড়াও

এদিকে, প্রসুতির মুত্যুর ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখাসহ লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সি-সার্কেল) উদয় কুমার।

অপরদিকে, ঘটনাটি তদন্ত করতে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার সামিয়া খাতুন।

তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে মুঠফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি ডা. মশিউর রহমান সাদিক ও গাইনি চিকিৎসক তৌহিদা ইয়াসমিন সমাকে।