ঢাকা ০৩:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০১ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
১১ জেলায় সন্ধ্যার মধ্যে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস ইতিহাস গড়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চ্যাম্পিয়ন পিএসজি জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলের জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য ‘বড় গেম খেলতে’ দেশে আনা হয় সুব্রত বাইনকে সুড়ঙ্গ তৈরি করে নেপালের কারাগার থেকে পালানোর গল্প * সব তথ্য যাচাই করা হচ্ছে-গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিবন্ধন ফিরে ‘পেল’ জামায়াত নাসিরনগর উপজেলা ওলামা দলের কর্মী সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন কমল জ্বালানি তেলের দাম জ্বালানি তেলের দাম দেশের বাজারে আরও এক দফা কমল গুমের সাথে জড়িতদের বিচার ও ৫ দফা দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে অধিকার এর মানববন্ধন জনগনের ভোটাধিকার নিশ্চিত নাহলে আরেকটি গনঅভ্যুত্থান হতে পারে- কৃষিবিদ শামীম গাজীপুরে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি’র বাড়িতে ডাকতি! মঠবাড়ীয়া যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত

চট্টগ্রামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ২৮ টি ঘর হস্তান্তর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

মোঃ শহিদুল ইসলাম বিশেষ প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : ০৪:২৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫
  • / ৩৯ ১৫০.০০০ বার পাঠক

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর উদ্যোগে চট্টগ্রাম জেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক  নির্মিত ২৮ টি গৃহ হস্তান্তর করা হয়।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার পেশকারহাটের কদল চৌধুরীবাড়ি গ্রামে এই গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

জানা যায়, গত ২০২৪ সালের দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে সৃষ্ট বন্যায় চট্টগ্রাম জেলার ৩ টি উপজেলা মীরসরাই, হাটহাজারী ও ফটিকছড়ির শতাধিক ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ  হয়। অধিক ক্ষতিগ্রস্থ জেলা হিসেবে অগ্রাধিকারভিত্তিতে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলায় ক্ষতিগ্রস্থ ঘর পুন:নির্মাণ এর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একই সাথে আর্থিক সংগতিহীন পরিবারের নিজ বসতভিটায় সরকারিভাবে টেকসই ঘর নির্মাণের জন্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

পরবর্তীতে উপযুক্ত উপকারভোগী বাছাইয়ের মাধ্যমে হাটহাজারী উপজেলার ১০টি, মীরসরাই উপজেলার ১০টি এবং ফটিকছড়ি উপজেলার ১০টিসহ সর্বমোট ৩০ টি পরিবারের তালিকা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়।

আরো জানা যায়, উক্ত তিন উপজেলার মধ্যে ফটিকছড়ি উপজেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড, মীরসরাই উপজেলায় ৮ সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন এবং হাটহাজারী উপজেলায় ১৫ আইএএস কর্তৃক ৩০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। তার মধ্যে ২৮ টি বাসস্থান হস্থান্তর করা হয়।

নির্মিত প্রতিটি ঘর ২টি মূল কক্ষসহ কমন স্পেস, টয়লেট, রান্না ঘর প্রভৃতি রয়েছে। সেমিপাকা ঘর হিসাবে উপকাভোগীর নিজ বসতভিটার স্থানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ২টি ডিজাইনের ৪৯২ বর্গফুট ও ৫০০ বর্গফুট আয়তনের এ ঘরসমূহ নির্মাণ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মাননীয়  প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা সত্যিই আনন্দিত।” ভবিষ্যতে দুর্যোগের সময় তাদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি নতুন ঘর পাওয়া সবাইকে অভিনন্দন জানান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে উপকারভোগীদের হাতে ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন চট্টগ্রাম জেলার জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কালাম রানা, খাগড়াছড়ির লক্ষীছড়ি জোন অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সাদি উর রহিম জাদিদ, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবিএম মশিউজ্জামান এবং হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তাসহ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চট্টগ্রামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ২৮ টি ঘর হস্তান্তর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

আপডেট টাইম : ০৪:২৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর উদ্যোগে চট্টগ্রাম জেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক  নির্মিত ২৮ টি গৃহ হস্তান্তর করা হয়।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার পেশকারহাটের কদল চৌধুরীবাড়ি গ্রামে এই গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

জানা যায়, গত ২০২৪ সালের দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে সৃষ্ট বন্যায় চট্টগ্রাম জেলার ৩ টি উপজেলা মীরসরাই, হাটহাজারী ও ফটিকছড়ির শতাধিক ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ  হয়। অধিক ক্ষতিগ্রস্থ জেলা হিসেবে অগ্রাধিকারভিত্তিতে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলায় ক্ষতিগ্রস্থ ঘর পুন:নির্মাণ এর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একই সাথে আর্থিক সংগতিহীন পরিবারের নিজ বসতভিটায় সরকারিভাবে টেকসই ঘর নির্মাণের জন্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

পরবর্তীতে উপযুক্ত উপকারভোগী বাছাইয়ের মাধ্যমে হাটহাজারী উপজেলার ১০টি, মীরসরাই উপজেলার ১০টি এবং ফটিকছড়ি উপজেলার ১০টিসহ সর্বমোট ৩০ টি পরিবারের তালিকা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়।

আরো জানা যায়, উক্ত তিন উপজেলার মধ্যে ফটিকছড়ি উপজেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড, মীরসরাই উপজেলায় ৮ সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন এবং হাটহাজারী উপজেলায় ১৫ আইএএস কর্তৃক ৩০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। তার মধ্যে ২৮ টি বাসস্থান হস্থান্তর করা হয়।

নির্মিত প্রতিটি ঘর ২টি মূল কক্ষসহ কমন স্পেস, টয়লেট, রান্না ঘর প্রভৃতি রয়েছে। সেমিপাকা ঘর হিসাবে উপকাভোগীর নিজ বসতভিটার স্থানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ২টি ডিজাইনের ৪৯২ বর্গফুট ও ৫০০ বর্গফুট আয়তনের এ ঘরসমূহ নির্মাণ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মাননীয়  প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা সত্যিই আনন্দিত।” ভবিষ্যতে দুর্যোগের সময় তাদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি নতুন ঘর পাওয়া সবাইকে অভিনন্দন জানান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে উপকারভোগীদের হাতে ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন চট্টগ্রাম জেলার জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কালাম রানা, খাগড়াছড়ির লক্ষীছড়ি জোন অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সাদি উর রহিম জাদিদ, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবিএম মশিউজ্জামান এবং হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তাসহ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।