কাঠালিয়া গার্ডার ব্রিজ রাতে ঢালাই রাতে ডেবে যায়

- আপডেট টাইম : ০৫:১০:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
- / ৩ ১৫০.০০০ বার পাঠক
ঝালকাঠি জেলা কাঠালী উপজেলায় ৫ নং শৌজলিয়া ইউনিয়নে সোনার বাংলা বাজার সংলগ্ন, তাল গছিয়া গ্রামের খালে প্রায় ৪ কোটি ২২ লক্ষ টাকা, নির্মাণাধীন গার্ডার ব্রিজ ২২ জুন রাতে ঢালাই রাতে ডেবে গেলেন এনি এলাকায় চঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে, স্থানীয় খায়রুল ইসলাম জানান, সাবেক শিল্প মন্ত্রী ১৪ দলের মুখো পএ আল্লাহ্ আমির হোসেন আমু এর পাল্লুক ছেলে ও কাঠালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম বুলবুল ঠিকাদার মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে
এলজিইডি প্রকৌশলী অফিস ম্যানেজ করে ঢালাই দেন রাতে ঐ রাতে গাডার ব্রিজ ডেবে যাই।
জানাযায় এলজিইডি অফিসের উপ প্রকৌশলী জিউয়ার রহমান নিজে থেকেই ঠিকাদারের পালিত লোক সেজে নিম্নমানের খোয়া সিমেন্ট বালু রট কম দিয়ে ঢালাই দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা আরো বলেন তোয়াক্কা না করে আওয়ামী লীগের দোসর জিয়া কে লোকেরা বাধা দিলে দিনে ঢালাই না দিয়ে রাতের আঁধারে ঢালাই দেন কিন্তু রাষ্ট্রীয় সম্পদ মনে না করে এভাবেই উপজেলায় বিভিন্ন ঠিকাদারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে নিম্নমানের কাজের সহযোগিতা করে যাচ্ছে বলে জানা যায়। এ বিষয়ে দিপুল কুমার বিশ্বাস
উপজেলা প্রকৌশলী এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোন কিছু না বলেই ফোনটি কেটে দেন এছাড়াও উপজেলা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক এর কাজে নিম্নমানের কাজ করায় বিষয়ে জানতে চাইলে সে এড়িয়ে যায় আমি জানিনা। এ বিষয়ে ঠিকাদার তরিকুল ইসলাম বুলবুলের কাছে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায় তাই সাক্ষাৎকার নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কাঠালিয়া উপজেলা এলজিইডির উপ সহকারী প্রকৌশলী জিয়াউর রহমান দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ঘুস ছাড়া কোনো কাজ অনুমোদন করছেন না। টেন্ডার অনুমোদন করা – সহ নানা দুনীতি অভিযোগ উঠেছে,এদিকে উপজেলা প্রকৌশলী নীরব ভূমিকা পালন করছে,
কাঠালিয়া সোনারবাংলা বাজার সংলগ্ন গাডার ব্রিজ স্লাব ঢালাই হয়,সেখানে নির্মাণসামগ্রী দিয়ে ঢালাই করার জন্য রাতেই ব্রিজটি ডেবে যায়, উক্ত কাজের তদারকির দায়িত্বে ছিলেন কাঠালিয়া উপসহকারী প্রকৌশলী জিয়াউর রহমান। সংবাদকর্মীরা তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,সাংবাদিকদের এই সব বিষয়ে জেনে কাজ নেই” বলে ফোন কেটে দেন।
এভাবেই দিনের পর দিন জিয়াউর রহমান সরকারি টাকার নয়ছয় করে যাচ্ছে, দেখার কেউ নেয়।
বিল প্রদান প্রক্রিয়ায় ইচ্ছাকৃত বিলম্ব, অজুহাতে কাজ আটকে রাখা এবং আর্থিক সুবিধা ছাড়া কার্যক্রম শুরু করতে না দেওয়া এখন নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। তিনি এ পদে আসতে মোটা অংকের টাকা খরচ করেছেন। তা পুনরুদ্ধার করতেই ঘুস বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন।
সাধারণ জনগণের দাবি, একজন অসৎ ও বিতর্কিত কর্মকর্তার নেতৃত্বে কাঠালিয়া উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। তারা অবিলম্বে জিয়াউর রহমান অপসারণ এবং একজন সৎ, নীতিবান প্রকৌশলীর নিয়োগ দাবি করেন। অভিযোগ অনুসারে, তিনি নানা কৌশলে রাজাপুর থেকে কাঠালিয়া অবস্থান করে আসছেন এবং তার বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।এলজিইডির বিভিন্ন ভুয়া বিল ও ভাউচার তৈরি করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে জানা গেছে। অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি নিজ নামে এবং বেনামে সম্পদ অর্জন করেছেন, যার মধ্যে ব্যাংক ব্যালান্সের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং অন্যান্য মূল্যবান সম্পত্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মচারী জানান, জিয়াউর রহমান প্রায় বছর ধরে কাঠালিয়া কর্মরত রয়েছেন। রাজাপুর থেকে দুনীতির কারনে বদলি হলেও, অল্প সময়ের মধ্যে তিনি কাঠালিয়া দুনীতি টিকে থাকার রহস্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।অনুসন্ধানে জানা গেছে, তিনি স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সহায়তায় নানা কৌশল অবলম্বন করে টিকে থাকেন ও আওয়ামী লীগের দোসর পর্স্রাই দিয়ে। একবার সাংবাদিকরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললে, তিনি বিভিন্ন আওয়ামী লীগ নেতা এবং বড় সাংবাদিকদের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে তাদের ভয় দেখান এবং বতমানে বিএনপির ভয় দেখিয়ে সাংবাদিকদের নীরব রাখার চেষ্টা করেন।দুর্নীতিতে বেপরোয়া এই কর্মকর্তা – আওয়ামী লীগের ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে কাজ করেন।কাঠালিয়াবাসী তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। তাদের অভিযোগ, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঠিক তদারকির অভাবে তিনি এভাবে রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাৎ করতে সক্ষম হয়েছেন। জনগণ বলছেন, যতক্ষণ না তিনি তার অপকর্মের জন্য শাস্তি পাচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা নিশ্চিন্ত হবেন না। এলজিইডি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাঠালিয়াবাসীর এই আন্দোলন জাতীয় পর্যায়ে আলোচিত হতে পারে, এবং তা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে।