সিবিএ নেতা আসিফ নাঈমকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা: বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে বন্দর এলাকা

- আপডেট টাইম : ১২:১০:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
- / ১ ১৫০.০০০ বার পাঠক
ওমর ফারুক : সোমবার (২৩ জুন ২০২৫) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বন্দর বিপণি মার্কেট এলাকায় প্রকাশ্যে সিবিএ নেতা আসিফ নাঈমকে গুলি করে হত্যা করার চেষ্টা চালায় দুই অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত। গুলিটি তার বাম উরুতে বিদ্ধ হয়ে ভেতর থেকে বেরিয়ে যায়। বর্তমানে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
ঘটনার পরপরই বন্দরজুড়ে নেমে আসে উত্তেজনার ছায়া। আতঙ্কিত শ্রমিক সমাজ মুহূর্তেই জড়ো হয় সিবিএ চত্বরে। দ্রুতই সেখানে আয়োজিত হয় এক প্রতিবাদী বিক্ষোভ সমাবেশ।
সমাবেশে বক্তব্যে উঠে আসে শ্রমিক নেতা মোঃ মতিয়ার রহমান সাকিবের কণ্ঠে রক্তগরম আক্রোশ। তিনি বলেন—
“এই হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এটি একটি সুপরিকল্পিত টার্গেট কিলিং। আসিফ নাঈম শুধু একজন নেতা নন, তিনি ছিলেন বন্দরের দুর্নীতিবিরোধী স্বর। তাকে সরিয়ে দিতে চেয়েছে একটি সংঘবদ্ধ স্বার্থচক্র। আমরা দেখছি, জনপ্রিয় নেতাদের একে একে নিশ্চিহ্ন করার নীলনকশা বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই ঘটনার বিচার না হলে আগামীতে কেউ আর নিরাপদ থাকবে না। আমরা হুঁশিয়ারি দিচ্ছি—হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় তার দায় ভার প্রশাসনকেই নিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “একজন শ্রমিক নেতার রক্তে বন্দরের মাটি রঞ্জিত হয়েছে, এবার সময় এসেছে জবাবদিহি নিশ্চিত করার। যারা মনে করে জনপ্রিয় নেতাদের কণ্ঠস্বর দমন করে স্বার্থসিদ্ধি করবে, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে।”
সমাবেশে উপস্থিত শ্রমিকরা তার কথায় একাত্মতা প্রকাশ করে স্লোগানে স্লোগানে মুখর করে তোলে পুরো সিবিএ এলাকা।
“আসিফ ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না!”
“হত্যার চেষ্টা নয়, এটি ছিল ষড়যন্ত্র!”
“দ্রুত বিচার চাই—অন্যথায় সর্বাত্মক আন্দোলন!”
এই শ্রমিক সমাবেশে নাসির উদ্দিন পাটোয়ারীর সঞ্চালনায় আরো বক্তৃব্য রাখেন, শ্রমিক নেতা নাইম আহম্মেদ, মোঃ শাহানুক্বামান মিন্টু, মোঃ মহসীন হোসেন বাদশা, মোঃ মজিবুর রহমান, জামাল উদ্দিন চৌধুরী জাহিদ প্রমূখ।
এদিকে, ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও হামলাকারীদের শনাক্ত কিংবা গ্রেপ্তার করতে না পারায় শ্রমিক সমাজের মধ্যে ক্ষোভ আরও গভীরতর হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই হামলার মধ্য দিয়ে বোঝা যাচ্ছে—মোংলা বন্দরে এখনও অদৃশ্য সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক সক্রিয় রয়েছে, যা শুধু নেতৃত্ব নয়, পুরো শ্রমিক ঐক্যের জন্য হুমকি।
সবার একটাই দাবি—অপরাধী যেই হোক, যতই শক্তিশালী হোক, তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতেই হবে। তবে এই দাবির বাস্তবায়ন কতটা সম্ভব—তা নিয়ে সন্দেহ আর শঙ্কা দুই-ই ক্রমে বেড়ে চলেছে।