ঢাকা ০৩:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

গাইবান্ধায় সদর হাসপাতালে কর্মচারীর অবহেলায় প্রান গেলো অবুঝ শিশুর

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধ
  • আপডেট টাইম : ১২:৪৮:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩
  • / ২৭৬ ১৫০০০.০ বার পাঠক

গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে মাত্র ১৫ টাকার ভর্তি ফি পরিশোধে ব্যার্থ হওয়ায়, জন্মদাতা পিতার সামনে জীবন দিতে হইলো এক অবুঝ শিশুকে।

ঘটনার সুত্রপাতঃ গাইবান্ধা পুরাতন বাদিয়াখালি রোডে বাচ্চাটি রাস্তা পারাপারের সময় সিএনজির সাথে এক্সিডেন্ট করে গুরুতর আহত হয়। পরবর্তীতে বাচ্চাটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় অটো রিক্সায় করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন বাবা।

বাচ্চাটিকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নেয়া হইলে মারাত্মক শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। বাচ্চার শ্বাসকষ্ট দেখে বাবা হাসপাতালে ছোটাছুটি করেন অক্সিজেন সরবরাহের জন্য। গাইবান্ধা সরকারি হাসপাতালের একজন কর্মচারীকে অক্সিজেন দিতে বললে, সেই কর্মচারী ১৫ টাকার ভর্তি ফি দাবি করে। তাছাড়া অক্সিজেন দেয়া যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়।
পরবর্তীতে বাচ্চার বাবা সেই কর্মচারীকে বলে, আংকেল আমি তো খালি গায়ে আসছি শুধু একটা ট্রাউজার পরে। আমি তো সঙ্গে টাকা নিয়ে আসি নাই। আপনি অক্সিজেন দেন। আমার ভাই টাকা আনতেছে। কিন্তু হাজারো অনুরোধ করার পরেও সেই কর্মচারী কোন মতেই টাকা ছাড়া অক্সিজেন দিতে রাজি হইলো না।

বাচ্চার বাবা এবং সেই কর্মচারীর মধ্যে ১৫ টাকার মূল্য পরিশোধে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়, নিষ্পাপ মাসুম বাচ্চাটি অক্সিজেনের অভাবে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মানবতার কতটা অবনতি হইলে এরকম তরতাজা একটি জীবন সামান্য কয়েক টাকার জন্য ছেড়ে দিতে হয়।

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক এবং সিভিল সার্জন সহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে সচেতনমহল।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গাইবান্ধায় সদর হাসপাতালে কর্মচারীর অবহেলায় প্রান গেলো অবুঝ শিশুর

আপডেট টাইম : ১২:৪৮:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩

গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে মাত্র ১৫ টাকার ভর্তি ফি পরিশোধে ব্যার্থ হওয়ায়, জন্মদাতা পিতার সামনে জীবন দিতে হইলো এক অবুঝ শিশুকে।

ঘটনার সুত্রপাতঃ গাইবান্ধা পুরাতন বাদিয়াখালি রোডে বাচ্চাটি রাস্তা পারাপারের সময় সিএনজির সাথে এক্সিডেন্ট করে গুরুতর আহত হয়। পরবর্তীতে বাচ্চাটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় অটো রিক্সায় করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন বাবা।

বাচ্চাটিকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নেয়া হইলে মারাত্মক শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। বাচ্চার শ্বাসকষ্ট দেখে বাবা হাসপাতালে ছোটাছুটি করেন অক্সিজেন সরবরাহের জন্য। গাইবান্ধা সরকারি হাসপাতালের একজন কর্মচারীকে অক্সিজেন দিতে বললে, সেই কর্মচারী ১৫ টাকার ভর্তি ফি দাবি করে। তাছাড়া অক্সিজেন দেয়া যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়।
পরবর্তীতে বাচ্চার বাবা সেই কর্মচারীকে বলে, আংকেল আমি তো খালি গায়ে আসছি শুধু একটা ট্রাউজার পরে। আমি তো সঙ্গে টাকা নিয়ে আসি নাই। আপনি অক্সিজেন দেন। আমার ভাই টাকা আনতেছে। কিন্তু হাজারো অনুরোধ করার পরেও সেই কর্মচারী কোন মতেই টাকা ছাড়া অক্সিজেন দিতে রাজি হইলো না।

বাচ্চার বাবা এবং সেই কর্মচারীর মধ্যে ১৫ টাকার মূল্য পরিশোধে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়, নিষ্পাপ মাসুম বাচ্চাটি অক্সিজেনের অভাবে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মানবতার কতটা অবনতি হইলে এরকম তরতাজা একটি জীবন সামান্য কয়েক টাকার জন্য ছেড়ে দিতে হয়।

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক এবং সিভিল সার্জন সহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে সচেতনমহল।