ঢাকা ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আজমিরীগঞ্জে সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয় সংঘর্ষ। আহত অর্ধ শতাধিক টঙ্গীতে ডেভিল হান্ট এর অভিযানে আ.লীগের নেত্রী ও তার পাঁচ সহযোগীকে ১৭৫১ পিস ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর শহরের উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন মদিনা প্যালেস নামের একটি ভবনের ৫ টি ফ্লাটে দুর্ধর্ষ চুরি সংগঠিত হয়েছে নান্দাইল প্রেসক্লাবের ১৭তম দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সমাপ্ত সভাপতি এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক রঞ্জু দুপুরে ক্রিকেটের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মহারণ, পাকিস্তানের বাঁচা–মরার ম্যাচ পাকিস্তান-বাংলাদেশ সরাসরি বাণিজ্য পুনরায় শুরু, ১৯৭১ সালের পর প্রথম খালেদা জিয়ার খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আবেদনের শুনানি ২ মার্চ রাজধানীর বিভা স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত শহরের প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত ৪৫ বছরের পুরানো এ প্রতিষ্ঠান নাম হলো আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ অথচ কলেজ শাখায় একজন ছাত্র/ছাত্রীও নেই মঠবাড়িয়ায় রাতের আঁধারে বনিক সমিতির ক‌মি‌টি গঠনের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

পটুয়াখালী জেলায় সিসি ক্যামেরা কেনার নামে আ.লীগ নেতার গণচাঁদাবাজির অভিযোগ

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ মে ২০২২
  • / ৩৩০ ৫০০০.০ বার পাঠক

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধ।।

পটুয়াখালীর বাউফলে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপনের নামে সহস্রাধিক ছোট-বড় ব্যবসায়ীর কাছ থেকে গণচাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। টেস্ট রিলিফ (টিআর) প্রকল্পের অর্থায়নে ইতোমধ্যে শতাধিক সিসি ক্যামেরা ক্রয়ের প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, কালিশুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কালিশুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নেছার উদ্দিন জামাল সিকদার স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে গত তিন দিনে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছেন।

চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ কালিশুরীর ব্যবসায়ী কালাম খান, বজলু সিকদার, জসীম খান ও সাহাবুদ্দিন মৃধা চায়ের দোকান থেকে শুরু করে ছোট-বড় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদার টাকা আদায় করেছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালিশুরী বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, চেয়ারম্যানের কথা বলে প্রত্যেক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সিসি ক্যামেরা ক্রয়ের নামে টাকা আদায় করা হয়েছে।

চাঁদা আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করে সাহাবুদ্দিন মৃধা বলেন, আজ আমরা কালিশুরী বাজারের দক্ষিণপট্টির তিন শতাধিক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা আদায় করে চেয়ারম্যানের কাছে জমা দিয়েছি। বাজারের সবার কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের জন্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে মোট তিনটি গ্রুপকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমাদের গ্রুপের টাকা আমরা জমা দিয়েছি। এদিকে মার্চেন্ট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কালিশুরী বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

কালিশুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নেছার উদ্দিন জামাল সিকদার চাঁদা আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি এসবের কিছুই জানি না।

বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল আমিন বলেন, চাঁদা আদায়ের বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পটুয়াখালী জেলায় সিসি ক্যামেরা কেনার নামে আ.লীগ নেতার গণচাঁদাবাজির অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০৬:৩৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ মে ২০২২

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধ।।

পটুয়াখালীর বাউফলে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপনের নামে সহস্রাধিক ছোট-বড় ব্যবসায়ীর কাছ থেকে গণচাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। টেস্ট রিলিফ (টিআর) প্রকল্পের অর্থায়নে ইতোমধ্যে শতাধিক সিসি ক্যামেরা ক্রয়ের প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, কালিশুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কালিশুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নেছার উদ্দিন জামাল সিকদার স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে গত তিন দিনে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছেন।

চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ কালিশুরীর ব্যবসায়ী কালাম খান, বজলু সিকদার, জসীম খান ও সাহাবুদ্দিন মৃধা চায়ের দোকান থেকে শুরু করে ছোট-বড় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদার টাকা আদায় করেছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালিশুরী বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, চেয়ারম্যানের কথা বলে প্রত্যেক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সিসি ক্যামেরা ক্রয়ের নামে টাকা আদায় করা হয়েছে।

চাঁদা আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করে সাহাবুদ্দিন মৃধা বলেন, আজ আমরা কালিশুরী বাজারের দক্ষিণপট্টির তিন শতাধিক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা আদায় করে চেয়ারম্যানের কাছে জমা দিয়েছি। বাজারের সবার কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের জন্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে মোট তিনটি গ্রুপকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমাদের গ্রুপের টাকা আমরা জমা দিয়েছি। এদিকে মার্চেন্ট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কালিশুরী বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

কালিশুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নেছার উদ্দিন জামাল সিকদার চাঁদা আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি এসবের কিছুই জানি না।

বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল আমিন বলেন, চাঁদা আদায়ের বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।