ঢাকা ০৯:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
মধ্যপ্রাচ্যে বড় ‘জুয়া’ খেলছেন ট্রাম্প? কালিয়াকৈরে বিএনপি’র নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন ফরম বিতরণ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বাজেট অনুমোদন মেধাহীন করে জাতিকে শাসন করতেই মেধাপাচার: র সালাহউদ্দিন আহমেদ ওআইসি সম্মেলনে ইসলামাবাদের বক্তব্য ইসরাইলি আগ্রাসনে ইরানের আত্মরক্ষার অধিকারকে পূর্ণ সমর্থন পাকিস্তানের গাজীপুরের আদালতে সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক, নতুন মামলায় গ্রেপ্তার ইসরাইলজুড়ে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আহত ১১ শ্রীপুর ছাত্রলীগ নেতা এখন ছাত্রদল সভাপতি, পথসভায় ফ্যাসিস্টের মত জানালেন ‘ শুভেচ্ছা’ নির্বাচনে নতুন নেতৃত্ব পেলো মোংলা মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতি বাংলাদেশকে নিয়ে তুর্কি সাংবাদিকের প্রবন্ধ, যা বলল অন্তর্বর্তী সরকার

শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ড নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন উপ-প্রেস সচিব

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৭:০২:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
  • / ৩৩ ১৫০.০০০ বার পাঠক

ছবি: সংগৃহীত

২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে। রাজধানী ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বর এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সমাবেশ করে হেফাজতে ইসলাম। সমাবেশ দমাতে এক পর্যায়ে নিরস্ত্র মানুষের ওপর লাইট নিভিয়ে দিয়ে রাতের অন্ধকারে গুলি চালায় স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এই হত্যাকাণ্ডে কতজন মারা গেছেন তা নিয়ে এখনো জনমনে প্রশ্ন আছে। এবার আলোচিত সেই হত্যাকাণ্ড নিয়েই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলসহ চারদফা দাবিতে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ মহাসমাবেশ করছে হেফাজতে ইসলাম। যা সফল করতে ভোর থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এই সমাবেশে যোগ দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। এই সমাবেশ দেখেই হেফাজতের শাপলা চত্বরের কথা মনে পড়েছে উপ-প্রেস সচিবের।

হেফাজতের শাপলা চত্বরের সমাবেশে চালানো হত্যাকাণ্ড নিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জন্য নিজের করা একটি অনুসন্ধানের কথা তুলে ধরেছেন আজাদ মজুমদার। যেখানে তার প্রতিবেদনে হত্যাকাণ্ডে নিহতের সংখ্যার কথাও জানানো হয়েছে।

উপ-প্রেস সচিব তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘যখনই আমি হেফাজতে ইসলামকে কোনো বড় বিক্ষোভ করতে দেখি, তখনই আমার মনে পড়ে যায় শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ডের ওপর হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জন্য আমার অনুসন্ধানের কথা। যখন গোটা বিশ্ব এই গণহত্যার সংখ্যা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত ছিল, তখন আমি ঢাকায় বিবিসির প্রাক্তন সংবাদদাতা মার্ক ডামেটের সঙ্গে চ্যালেঞ্জিং কাজটি গ্রহণ করি।’

অনুসন্ধানের রিপোর্ট নিয়ে আজাদ মজুমদার বলেন, ‘আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হই যে দুই দিনের সহিংসতায় নিরাপত্তা বাহিনীর সাত সদস্যসহ কমপক্ষে ৫৮ জন নিহত হয়েছেন।’

শাপলা চত্বর নিয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে কতটা ঝুঁকি নিতে হয়েছিল সেই কথা তুলে ধরে আজাদ মজুমদার লেখেন, ‘আপনারা যারা এখন সাংবাদিকতার জগতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, মানবাধিকার রক্ষা করছেন, তারা হয়তো কল্পনাও করতে পারবেন না যে কাজটি কতটা কঠিন ছিল। দুই সপ্তাহ ধরে চলা তদন্তের সময়, রাস্তাঘাট, হাসপাতালের লগবুক খুঁজে, নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে, প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে এবং কবরস্থানের প্রমাণ সংগ্রহ করে, মানুষকে খোলাখুলিভাবে বোঝানোর চেষ্টা করে, আমি সবসময় নিরাপত্তা বাহিনীর নজরে পড়ে যাওয়ার এবং নিখোঁজ হওয়ার ভয়ে থাকতাম।’

তিনি তার পোস্টের শেষাংশে লিখেন, ‘নিরাপত্তার কারণে, আমি আগে কখনও আমার কাজের কৃতিত্ব দাবি করতে পারতাম না, কিন্তু যখনই আমি দেখি যে কোনও সহকর্মী সাংবাদিক আমার কাজকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করছেন, তখন তা আমাকে সত্যিই আনন্দ দেয়।’

হেফাজতে ইসলাম শাপলা চত্বর উপ প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ড নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন উপ-প্রেস সচিব

আপডেট টাইম : ০৭:০২:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে। রাজধানী ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বর এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সমাবেশ করে হেফাজতে ইসলাম। সমাবেশ দমাতে এক পর্যায়ে নিরস্ত্র মানুষের ওপর লাইট নিভিয়ে দিয়ে রাতের অন্ধকারে গুলি চালায় স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এই হত্যাকাণ্ডে কতজন মারা গেছেন তা নিয়ে এখনো জনমনে প্রশ্ন আছে। এবার আলোচিত সেই হত্যাকাণ্ড নিয়েই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলসহ চারদফা দাবিতে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ মহাসমাবেশ করছে হেফাজতে ইসলাম। যা সফল করতে ভোর থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এই সমাবেশে যোগ দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। এই সমাবেশ দেখেই হেফাজতের শাপলা চত্বরের কথা মনে পড়েছে উপ-প্রেস সচিবের।

হেফাজতের শাপলা চত্বরের সমাবেশে চালানো হত্যাকাণ্ড নিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জন্য নিজের করা একটি অনুসন্ধানের কথা তুলে ধরেছেন আজাদ মজুমদার। যেখানে তার প্রতিবেদনে হত্যাকাণ্ডে নিহতের সংখ্যার কথাও জানানো হয়েছে।

উপ-প্রেস সচিব তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘যখনই আমি হেফাজতে ইসলামকে কোনো বড় বিক্ষোভ করতে দেখি, তখনই আমার মনে পড়ে যায় শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ডের ওপর হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জন্য আমার অনুসন্ধানের কথা। যখন গোটা বিশ্ব এই গণহত্যার সংখ্যা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত ছিল, তখন আমি ঢাকায় বিবিসির প্রাক্তন সংবাদদাতা মার্ক ডামেটের সঙ্গে চ্যালেঞ্জিং কাজটি গ্রহণ করি।’

অনুসন্ধানের রিপোর্ট নিয়ে আজাদ মজুমদার বলেন, ‘আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হই যে দুই দিনের সহিংসতায় নিরাপত্তা বাহিনীর সাত সদস্যসহ কমপক্ষে ৫৮ জন নিহত হয়েছেন।’

শাপলা চত্বর নিয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে কতটা ঝুঁকি নিতে হয়েছিল সেই কথা তুলে ধরে আজাদ মজুমদার লেখেন, ‘আপনারা যারা এখন সাংবাদিকতার জগতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, মানবাধিকার রক্ষা করছেন, তারা হয়তো কল্পনাও করতে পারবেন না যে কাজটি কতটা কঠিন ছিল। দুই সপ্তাহ ধরে চলা তদন্তের সময়, রাস্তাঘাট, হাসপাতালের লগবুক খুঁজে, নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে, প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে এবং কবরস্থানের প্রমাণ সংগ্রহ করে, মানুষকে খোলাখুলিভাবে বোঝানোর চেষ্টা করে, আমি সবসময় নিরাপত্তা বাহিনীর নজরে পড়ে যাওয়ার এবং নিখোঁজ হওয়ার ভয়ে থাকতাম।’

তিনি তার পোস্টের শেষাংশে লিখেন, ‘নিরাপত্তার কারণে, আমি আগে কখনও আমার কাজের কৃতিত্ব দাবি করতে পারতাম না, কিন্তু যখনই আমি দেখি যে কোনও সহকর্মী সাংবাদিক আমার কাজকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করছেন, তখন তা আমাকে সত্যিই আনন্দ দেয়।’

হেফাজতে ইসলাম শাপলা চত্বর উপ প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার