আশুলিয়ায় স্ত্রী হত্যার ঘটনায় আসামির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি

- আপডেট টাইম : ০৯:২৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
- / ৩ ১৫০০০.০ বার পাঠক
আশুলিয়া থানায় এক নৃশংস স্ত্রী হত্যার ঘটনায় আসামি মোঃ সোহাগ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। সে তার স্ত্রী রোকসানা বেগম (২০)কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে লাশ গুম করার চেষ্টা চালিয়েছে বলে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছে ।
গত ২০ এপ্রিল ২০২৫ রাত আনুমানিক ১টায় ঢাকার আশুলিয়া থানাধীন টংগাবাড়ী কালাম মাদবরের বাড়ির ভাড়াটিয়া সোহাগ পারিবারিক বিরোধের জেরে তার স্ত্রী রোকসানাকে তাদের ভাড়াবাসার রুমে চৌকির ওপর মারধর করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। এরপর মৃতদেহ গোপন করতে বিছানার চাদর দিয়ে মোড়িয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং দরজা বন্ধ করে পালিয়ে যায় ।
এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় মামলা নং-৪৪/২০-০৪-২০২৫ ধারা ৩০২/২০১ (হত্যা ও গুম) পেনাল কোডে মামলা দায়ের করা হয়।
জানা যায় ঢাকা পুলিশ সুপারের নির্দেশে ও সাভার সার্কেল শাহিনু কবির এর তত্ত্বাবধানে তদন্তকারী কর্মকর্তা শেখ মোঃ মাসুদ আল মামুনের নেতৃত্বে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামিকে প্রথমে সিলেটের হবিগঞ্জ ও পরে গাইবান্ধা থেকে গ্রেফতার করা হয় ।
গ্রেফতারকৃত আসামি সোহাগ আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে তার অপরাধ স্বীকার করেছে।সে জানায়, পারিবারিক কলহের জেরে সে স্ত্রী রোকসানাকে হত্যা করে এবং লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে আগুন ধরিয়ে দেয় ।
ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা অনুযায়ী, এই ধরনের স্বীকারোক্তি ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নেওয়া হয় এবং তা আদালতে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হয় ।
ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা অনুযায়ী, কোনো আসামির স্বীকারোক্তি গ্রহণের সময় ম্যাজিস্ট্রেটকে নিশ্চিত করতে হবে যে আসামি স্বেচ্ছায় ও কোনো প্রকার চাপ ছাড়াই জবানবন্দি দিচ্ছে ।
সাম্প্রতিক সময়ে নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে ভুল স্বীকারোক্তির কয়েকটি ঘটনা প্রকাশ পেলেও আশুলিয়া থানার এই মামলায় তদন্তকারীদের দাবি, প্রমাণ ও স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে আসামির অপরাধ প্রমাণিত ।
উক্ত আসামিকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে এবং মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করা হচ্ছে ।
এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক মাসুদ আল মামুনের এই সাহসী অভিযান দ্রুত তদন্ত করে আসামি গ্রেফতারের বিষয়ে তার দীর্ঘায়ু কামনা করেন।