ঢাকা ০৮:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo হবিগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ডা: শাখায়াত হাসান জীবন আজমিরীগঞ্জ বানিয়াচংয়ে উচ্ছ্বাস Logo পটুয়াখালী-২ আসনে এনসিপি-জামায়াতে উচ্ছ্বাস, বিএনপিতে বিষাদ Logo ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন মাগুরা-২ আসনে ধানের শীষের কান্ডারী এ্যাড. নিতাই রায় চৌধুরী Logo ফরিদপুরে চেয়ারম্যানের শেল্টারে চায়না দুয়ারি জালের কারখানার রমরমা ব্যবসা, প্রশাসনের অভিযানে নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থা Logo রয়টার্সের প্রতিবেদন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সালিশের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে আদানি গ্রুপ Logo টানা কমছে দেশের রপ্তানি আয়, সামনে আরও কমার আশঙ্কা Logo বিএনপির ফাঁকা রাখা ৬৩ আসনে অগ্রাধিকার পাবেন যারা Logo আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারি জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে Logo আশুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ৬ দলিল লেখক বরখাস্ত Logo সাভারে ট্রলি ভ্যানের ব্রেক ফেল আয়ারল্যান্ডের ওপরে এসে গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ

দুর্নীতি এখনও উড়ছে এই দেশের আকাশে, আর সেই দুর্নীতির ভার বইছে এই প্রজন্মের সাহসীরা

ছবি: সংগৃহীত

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের মর্মান্তিক ঘটনায় শহীদ হয়েছেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকিরসহ আরও কয়েকজন। তবে এই ঘটনায় তৌকিরের আত্মত্যাগ ঘিরে দেশজুড়ে শোকের পাশাপাশি উঠছে তীব্র প্রশ্ন—কেন এখনো আকাশে উড়ছে সত্তরের দশকের বাতিল যুদ্ধবিমান?

প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “একটা বোতাম চাপলেই ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ফিরে যেতে পারতেন পরিবারে, জীবনের কাছে। নিজেকে বাঁচানোর সুযোগ ছিল তাঁর হাতে। জরুরি পরিস্থিতিতে বিমানের নিয়ন্ত্রণ সিট ত্যাগ করে প্যারাসুট নিয়ে প্রাণ রক্ষার সুযোগ থাকলেও, তিনি তা করেননি। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ফাঁকা জায়গায় বিমানটি নামানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি।”

তৌকিরের চালানো যুদ্ধবিমানটি ছিল একটি পুরনো মডেলের F-7—যার জায়গা আধুনিক ২০২৫ সালের আকাশে থাকার কথা নয়। ইলিয়াসের ভাষায়, “তবু সেটিই উড়ছিল, কারণ দুর্নীতি এখনও উড়ছে এই দেশের আকাশে। সেই দুর্নীতির ভার বইছে এই প্রজন্মের সাহসীরা।”

তিনি আরও বলেন, “তৌকির আকাশে মারা যাননি। তিনি মরে গিয়েছিলেন অনেক আগেই— যেদিন বাজেট চুরি হয়েছিল, যেদিন সিদ্ধান্ত হয়েছিল ১৯৭৬ সালের বাতিল বিমান দিয়েই চলবে আধুনিক যুগের প্রশিক্ষণ। এই সিস্টেম তাঁর জন্য কিছুই রাখেনি— না কোনো নিরাপত্তা, না কোনো বিকল্প। রেখে গেছে কেবল ঝুঁকি, মরচে ধরা লোহা, আর এক তরুণ অফিসারের নিশ্চিত মৃত্যু।”

এই দুর্ঘটনায় নিহত সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন ইলিয়াস হোসেন। আহতদের দ্রুত আরোগ্যও কামনা করেন তিনি।

শেষে তার হৃদয়বিদারক আবেদন—”আর যেন কোনো তরুণ তৌকিরকে, একটা মরচে ধরা বিমানের সঙ্গে জীবন বিসর্জন দিতে না হয়।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হবিগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ডা: শাখায়াত হাসান জীবন আজমিরীগঞ্জ বানিয়াচংয়ে উচ্ছ্বাস

দুর্নীতি এখনও উড়ছে এই দেশের আকাশে, আর সেই দুর্নীতির ভার বইছে এই প্রজন্মের সাহসীরা

আপডেট সময় ০৮:২৮:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের মর্মান্তিক ঘটনায় শহীদ হয়েছেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকিরসহ আরও কয়েকজন। তবে এই ঘটনায় তৌকিরের আত্মত্যাগ ঘিরে দেশজুড়ে শোকের পাশাপাশি উঠছে তীব্র প্রশ্ন—কেন এখনো আকাশে উড়ছে সত্তরের দশকের বাতিল যুদ্ধবিমান?

প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “একটা বোতাম চাপলেই ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ফিরে যেতে পারতেন পরিবারে, জীবনের কাছে। নিজেকে বাঁচানোর সুযোগ ছিল তাঁর হাতে। জরুরি পরিস্থিতিতে বিমানের নিয়ন্ত্রণ সিট ত্যাগ করে প্যারাসুট নিয়ে প্রাণ রক্ষার সুযোগ থাকলেও, তিনি তা করেননি। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ফাঁকা জায়গায় বিমানটি নামানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি।”

তৌকিরের চালানো যুদ্ধবিমানটি ছিল একটি পুরনো মডেলের F-7—যার জায়গা আধুনিক ২০২৫ সালের আকাশে থাকার কথা নয়। ইলিয়াসের ভাষায়, “তবু সেটিই উড়ছিল, কারণ দুর্নীতি এখনও উড়ছে এই দেশের আকাশে। সেই দুর্নীতির ভার বইছে এই প্রজন্মের সাহসীরা।”

তিনি আরও বলেন, “তৌকির আকাশে মারা যাননি। তিনি মরে গিয়েছিলেন অনেক আগেই— যেদিন বাজেট চুরি হয়েছিল, যেদিন সিদ্ধান্ত হয়েছিল ১৯৭৬ সালের বাতিল বিমান দিয়েই চলবে আধুনিক যুগের প্রশিক্ষণ। এই সিস্টেম তাঁর জন্য কিছুই রাখেনি— না কোনো নিরাপত্তা, না কোনো বিকল্প। রেখে গেছে কেবল ঝুঁকি, মরচে ধরা লোহা, আর এক তরুণ অফিসারের নিশ্চিত মৃত্যু।”

এই দুর্ঘটনায় নিহত সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন ইলিয়াস হোসেন। আহতদের দ্রুত আরোগ্যও কামনা করেন তিনি।

শেষে তার হৃদয়বিদারক আবেদন—”আর যেন কোনো তরুণ তৌকিরকে, একটা মরচে ধরা বিমানের সঙ্গে জীবন বিসর্জন দিতে না হয়।


প্রিন্ট