ঢাকা ০১:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নওগাঁর নিয়ামতপুরে সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা সভাপতি ও বিএনপির সাবেক এমপি ডাঃ ছালেক চৌধুরীর মতবিনিময় সভা Logo নাসিরনগরে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে পল্লী বিদুৎ কর্মকর্তা-কর্মচারী Logo হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৪৫ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ Logo ঢাবি ভিসির সঙ্গে ছাত্রদল নেতাদের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় Logo আসন পুনর্বিন্যাস বাতিলের দাবিতে উত্তাল মোংলা Logo উত্তরা ইপিজেডে পরিস্থিতি পুরো শান্ত চলছে স্বাভাবিক কর্মতৎপরতা বাম চক্রান্তে ফের অশান্তির শংকা Logo ডাকসু নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকের মৃত্যু Logo সাংবাদিক নির্যাতনের অভিযোগে কারাগারে থাকা সাবেক ডিসি সুলতানাকে হাইকোর্টের জামিন Logo মৌসুমী-ঋতুপর্ণাকে নিয়ে প্রকাশ্যে এলেন ফেরদৌস Logo দৌলতদিয়ার ২টি ফেরি ঘাটে কচ্ছপের গতিতে যানবাহন পারাপার, ৭নং ফেরি ঘাট বন্ধ: ভোগান্তি চরমে

উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে বিমান দুর্ঘটনার পর ভবিষ্যতে রোগ ঝুঁকি: এখনই সচেতন হই, বাঁচাই প্রাণ”!

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:২৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫
  • ৮০ ১০.০০০ বার পড়া হয়েছে

সম্প্রতি উত্তরার মাইলস্টোন কলেজ এলাকায় একটি ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় বহু শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্থানীয় জনগণ মানসিক ও শারীরিকভাবে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে প্রচণ্ড শব্দ, আগুন, বিষাক্ত ধোঁয়া ও জ্বালানির বিস্ফোরণ শুধু ভয়াবহতা সৃষ্টি করেনি, বরং ভবিষ্যতে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরির আশঙ্কাও রেখে গেছে।

☠️ কী ঘটেছিল – এবং কী ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে?

🎯 প্রধান ঝুঁকির উৎস:

বিমান জ্বালানির (Jet Fuel) বিস্ফোরণ।

প্লাস্টিক, কেমিক্যাল, রঙ, রাবার, ইলেকট্রনিক্স পোড়ার ধোঁয়া।

ভবনের ধ্বংসাবশেষে থাকা অ্যাসবেস্টস, সিসা, টক্সিক ফাইবার।

বিষাক্ত গ্যাস (Benzene, Dioxin) বাতাসে ছড়িয়ে পড়া।

⚠️ সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ রোগসমূহ:

Jet Fuel ধোঁয়া—ফুসফুসের রোগ, অ্যাজমা, লাং ক্যান্সার।
পোড়া প্লাস্টিক ও রঙ—চর্মরোগ, চোখে জ্বালা, নার্ভ দুর্বলতা।
অ্যাসবেস্টস ও সিসা— Mesothelioma (ফুসফুসের ক্যান্সার), স্নায়ু ক্ষতি।
Benzene ও ডিওক্সিন— রক্তের ক্যান্সার (Leukemia), হরমোন ভারসাম্যহীনতা।
বিষাক্ত ধূলিকণা—দীর্ঘমেয়াদি কাশি, ফুসফুস দুর্বলতা ইত্যাদি।

📢 এখনই যা করা উচিত:

✅ জরুরি পদক্ষেপ:

পরিবেশ বিশ্লেষণ – বাতাস, পানি ও মাটির নমুনা পরীক্ষা।

স্বাস্থ্য স্ক্রিনিং ক্যাম্প – ব্লাড টেস্ট, ফুসফুস পরীক্ষা, ত্বক/চোখ পরীক্ষা।

মানসিক সহায়তা সেশন – ট্রমা রিলিজ, ভয় দূর করার সেশন।

বিশেষ শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন – ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্রদের তালিকা করে নজরদারি।

🩺 কীভাবে ও কতদিন চিকিৎসা ও সতর্কতা বজায় রাখতে হবে?

সময় কাল অনুযায়ী করণীয় —

প্রথম ৭ দিন– চোখ, গলা, ত্বক, শ্বাসকষ্ট হলে চিকিৎসা নেয়া জরুরি।
প্রথম ৩ মাস– প্রতিমাসে ১ বার করে ফুসফুস/রক্ত পরীক্ষা।
৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত — মনো-সাপোর্ট, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, দূষণ, পরীক্ষার রিপোর্ট, ফলোআপ।

🤝 যে সংস্থাগুলো এগিয়ে আসতে পারে:

🏛️ সরকারি:

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (DGHS)

শিক্ষা মন্ত্রণালয়

জেলা প্রশাসন

পরিবেশ অধিদপ্তর

🧬 বেসরকারি/NGO/CSR:

BRAC Health

Red Crescent Society

UNICEF / Save the Children

Beximco / ACI / Dutch-Bangla CSR

ICDDR,B বা BCSIR

📣 আমাদের আহ্বান:

আমরা চাই, সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা এখনই একসঙ্গে এগিয়ে এসে—

স্কুল ক্যাম্পাস পরীক্ষা করুক,

স্বাস্থ্য ক্যাম্প আয়োজন করুক ও

ছাত্রদের দীর্ঘমেয়াদী মানসিক ও শারীরিক সহায়তা দিক।

✋ আমাদের করণীয় (অভিভাবক/শিক্ষক/স্থানীয় জনগণ):

সন্তানদের মাঝে কোন শারীরিক বা মানসিক অস্বাভাবিকতা দেখলে গুরুত্ব দিন।

স্কুল প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ রাখুন।

শিশুদের নিরাপত্তা ও আত্মবিশ্বাস ফেরাতে বিভিন্ন থেরাপি ও সহানুভূতির চর্চা করুন।

✍️ প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী:
মো: শোয়েব হোসেন
গবেষক – (সাউন্ড ও মিউজিক থেরাপি)
মানবাধিকার কর্মী ও চিন্তাবিদ।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নওগাঁর নিয়ামতপুরে সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা সভাপতি ও বিএনপির সাবেক এমপি ডাঃ ছালেক চৌধুরীর মতবিনিময় সভা

উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে বিমান দুর্ঘটনার পর ভবিষ্যতে রোগ ঝুঁকি: এখনই সচেতন হই, বাঁচাই প্রাণ”!

আপডেট সময় ১১:২৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫

সম্প্রতি উত্তরার মাইলস্টোন কলেজ এলাকায় একটি ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় বহু শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্থানীয় জনগণ মানসিক ও শারীরিকভাবে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে প্রচণ্ড শব্দ, আগুন, বিষাক্ত ধোঁয়া ও জ্বালানির বিস্ফোরণ শুধু ভয়াবহতা সৃষ্টি করেনি, বরং ভবিষ্যতে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরির আশঙ্কাও রেখে গেছে।

☠️ কী ঘটেছিল – এবং কী ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে?

🎯 প্রধান ঝুঁকির উৎস:

বিমান জ্বালানির (Jet Fuel) বিস্ফোরণ।

প্লাস্টিক, কেমিক্যাল, রঙ, রাবার, ইলেকট্রনিক্স পোড়ার ধোঁয়া।

ভবনের ধ্বংসাবশেষে থাকা অ্যাসবেস্টস, সিসা, টক্সিক ফাইবার।

বিষাক্ত গ্যাস (Benzene, Dioxin) বাতাসে ছড়িয়ে পড়া।

⚠️ সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ রোগসমূহ:

Jet Fuel ধোঁয়া—ফুসফুসের রোগ, অ্যাজমা, লাং ক্যান্সার।
পোড়া প্লাস্টিক ও রঙ—চর্মরোগ, চোখে জ্বালা, নার্ভ দুর্বলতা।
অ্যাসবেস্টস ও সিসা— Mesothelioma (ফুসফুসের ক্যান্সার), স্নায়ু ক্ষতি।
Benzene ও ডিওক্সিন— রক্তের ক্যান্সার (Leukemia), হরমোন ভারসাম্যহীনতা।
বিষাক্ত ধূলিকণা—দীর্ঘমেয়াদি কাশি, ফুসফুস দুর্বলতা ইত্যাদি।

📢 এখনই যা করা উচিত:

✅ জরুরি পদক্ষেপ:

পরিবেশ বিশ্লেষণ – বাতাস, পানি ও মাটির নমুনা পরীক্ষা।

স্বাস্থ্য স্ক্রিনিং ক্যাম্প – ব্লাড টেস্ট, ফুসফুস পরীক্ষা, ত্বক/চোখ পরীক্ষা।

মানসিক সহায়তা সেশন – ট্রমা রিলিজ, ভয় দূর করার সেশন।

বিশেষ শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন – ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্রদের তালিকা করে নজরদারি।

🩺 কীভাবে ও কতদিন চিকিৎসা ও সতর্কতা বজায় রাখতে হবে?

সময় কাল অনুযায়ী করণীয় —

প্রথম ৭ দিন– চোখ, গলা, ত্বক, শ্বাসকষ্ট হলে চিকিৎসা নেয়া জরুরি।
প্রথম ৩ মাস– প্রতিমাসে ১ বার করে ফুসফুস/রক্ত পরীক্ষা।
৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত — মনো-সাপোর্ট, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, দূষণ, পরীক্ষার রিপোর্ট, ফলোআপ।

🤝 যে সংস্থাগুলো এগিয়ে আসতে পারে:

🏛️ সরকারি:

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (DGHS)

শিক্ষা মন্ত্রণালয়

জেলা প্রশাসন

পরিবেশ অধিদপ্তর

🧬 বেসরকারি/NGO/CSR:

BRAC Health

Red Crescent Society

UNICEF / Save the Children

Beximco / ACI / Dutch-Bangla CSR

ICDDR,B বা BCSIR

📣 আমাদের আহ্বান:

আমরা চাই, সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা এখনই একসঙ্গে এগিয়ে এসে—

স্কুল ক্যাম্পাস পরীক্ষা করুক,

স্বাস্থ্য ক্যাম্প আয়োজন করুক ও

ছাত্রদের দীর্ঘমেয়াদী মানসিক ও শারীরিক সহায়তা দিক।

✋ আমাদের করণীয় (অভিভাবক/শিক্ষক/স্থানীয় জনগণ):

সন্তানদের মাঝে কোন শারীরিক বা মানসিক অস্বাভাবিকতা দেখলে গুরুত্ব দিন।

স্কুল প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ রাখুন।

শিশুদের নিরাপত্তা ও আত্মবিশ্বাস ফেরাতে বিভিন্ন থেরাপি ও সহানুভূতির চর্চা করুন।

✍️ প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী:
মো: শোয়েব হোসেন
গবেষক – (সাউন্ড ও মিউজিক থেরাপি)
মানবাধিকার কর্মী ও চিন্তাবিদ।


প্রিন্ট