ঢাকা ০৭:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধান নাজিরের বদলী নিয়ে চরম অসন্তোষ Logo মহম্মদপুরে বিএনপি’র নির্বাচনী পথ সভা অনুষ্ঠিত Logo পীরগঞ্জে বিএনপির উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo দেশের ধন্যাঢ্য ব্যক্তিরাও প্রতারণার শিকার অনিক ও সোহেলের ভুয়া “প্রাচীন পিলার ও কয়েন” চক্র Logo দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই প্রায় অর্ধশত বদলি বানিজ্য পিএইচডি জালিয়াতি-বদলি বানিজ্য-ঠিকাদারি সিন্ডিকেটের মূলহোতা খালেকুজ্জামান চৌধুরী Logo কাচিঘাটা রেঞ্জে গাছকাটা সিন্ডিকেটের তাণ্ডব রাতে চার–পাঁচশ গাছ উজাড়—বন রক্ষাকারীরাই অভিযুক্ত!** স্থানীয়দের অভিযোগ: “৫ আগস্টের পর এলাকা একেবারে মগের মুল্লুক—বন কেটে লুটে খাচ্ছে সবাই Logo চীনে ট্রেন দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত Logo ১২ ঘণ্টায় দ্বিতীয়বার ভূমিকম্পে কাঁপল ইন্দোনেশিয়া Logo প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলা জয় ও পুতুলের ৫ বছরের কারাদণ্ড Logo তিন মামলায় হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ড

দুর্নীতি এখনও উড়ছে এই দেশের আকাশে, আর সেই দুর্নীতির ভার বইছে এই প্রজন্মের সাহসীরা

  • প্রবাসী সাংবাদিক
  • আপডেট সময় ০৮:২৮:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
  • ১৬৫ ১৮৪৪.০০০ বার পড়া হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের মর্মান্তিক ঘটনায় শহীদ হয়েছেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকিরসহ আরও কয়েকজন। তবে এই ঘটনায় তৌকিরের আত্মত্যাগ ঘিরে দেশজুড়ে শোকের পাশাপাশি উঠছে তীব্র প্রশ্ন—কেন এখনো আকাশে উড়ছে সত্তরের দশকের বাতিল যুদ্ধবিমান?

প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “একটা বোতাম চাপলেই ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ফিরে যেতে পারতেন পরিবারে, জীবনের কাছে। নিজেকে বাঁচানোর সুযোগ ছিল তাঁর হাতে। জরুরি পরিস্থিতিতে বিমানের নিয়ন্ত্রণ সিট ত্যাগ করে প্যারাসুট নিয়ে প্রাণ রক্ষার সুযোগ থাকলেও, তিনি তা করেননি। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ফাঁকা জায়গায় বিমানটি নামানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি।”

তৌকিরের চালানো যুদ্ধবিমানটি ছিল একটি পুরনো মডেলের F-7—যার জায়গা আধুনিক ২০২৫ সালের আকাশে থাকার কথা নয়। ইলিয়াসের ভাষায়, “তবু সেটিই উড়ছিল, কারণ দুর্নীতি এখনও উড়ছে এই দেশের আকাশে। সেই দুর্নীতির ভার বইছে এই প্রজন্মের সাহসীরা।”

তিনি আরও বলেন, “তৌকির আকাশে মারা যাননি। তিনি মরে গিয়েছিলেন অনেক আগেই— যেদিন বাজেট চুরি হয়েছিল, যেদিন সিদ্ধান্ত হয়েছিল ১৯৭৬ সালের বাতিল বিমান দিয়েই চলবে আধুনিক যুগের প্রশিক্ষণ। এই সিস্টেম তাঁর জন্য কিছুই রাখেনি— না কোনো নিরাপত্তা, না কোনো বিকল্প। রেখে গেছে কেবল ঝুঁকি, মরচে ধরা লোহা, আর এক তরুণ অফিসারের নিশ্চিত মৃত্যু।”

এই দুর্ঘটনায় নিহত সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন ইলিয়াস হোসেন। আহতদের দ্রুত আরোগ্যও কামনা করেন তিনি।

শেষে তার হৃদয়বিদারক আবেদন—”আর যেন কোনো তরুণ তৌকিরকে, একটা মরচে ধরা বিমানের সঙ্গে জীবন বিসর্জন দিতে না হয়।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধান নাজিরের বদলী নিয়ে চরম অসন্তোষ

দুর্নীতি এখনও উড়ছে এই দেশের আকাশে, আর সেই দুর্নীতির ভার বইছে এই প্রজন্মের সাহসীরা

আপডেট সময় ০৮:২৮:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের মর্মান্তিক ঘটনায় শহীদ হয়েছেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকিরসহ আরও কয়েকজন। তবে এই ঘটনায় তৌকিরের আত্মত্যাগ ঘিরে দেশজুড়ে শোকের পাশাপাশি উঠছে তীব্র প্রশ্ন—কেন এখনো আকাশে উড়ছে সত্তরের দশকের বাতিল যুদ্ধবিমান?

প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “একটা বোতাম চাপলেই ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ফিরে যেতে পারতেন পরিবারে, জীবনের কাছে। নিজেকে বাঁচানোর সুযোগ ছিল তাঁর হাতে। জরুরি পরিস্থিতিতে বিমানের নিয়ন্ত্রণ সিট ত্যাগ করে প্যারাসুট নিয়ে প্রাণ রক্ষার সুযোগ থাকলেও, তিনি তা করেননি। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ফাঁকা জায়গায় বিমানটি নামানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি।”

তৌকিরের চালানো যুদ্ধবিমানটি ছিল একটি পুরনো মডেলের F-7—যার জায়গা আধুনিক ২০২৫ সালের আকাশে থাকার কথা নয়। ইলিয়াসের ভাষায়, “তবু সেটিই উড়ছিল, কারণ দুর্নীতি এখনও উড়ছে এই দেশের আকাশে। সেই দুর্নীতির ভার বইছে এই প্রজন্মের সাহসীরা।”

তিনি আরও বলেন, “তৌকির আকাশে মারা যাননি। তিনি মরে গিয়েছিলেন অনেক আগেই— যেদিন বাজেট চুরি হয়েছিল, যেদিন সিদ্ধান্ত হয়েছিল ১৯৭৬ সালের বাতিল বিমান দিয়েই চলবে আধুনিক যুগের প্রশিক্ষণ। এই সিস্টেম তাঁর জন্য কিছুই রাখেনি— না কোনো নিরাপত্তা, না কোনো বিকল্প। রেখে গেছে কেবল ঝুঁকি, মরচে ধরা লোহা, আর এক তরুণ অফিসারের নিশ্চিত মৃত্যু।”

এই দুর্ঘটনায় নিহত সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন ইলিয়াস হোসেন। আহতদের দ্রুত আরোগ্যও কামনা করেন তিনি।

শেষে তার হৃদয়বিদারক আবেদন—”আর যেন কোনো তরুণ তৌকিরকে, একটা মরচে ধরা বিমানের সঙ্গে জীবন বিসর্জন দিতে না হয়।


প্রিন্ট