ঢাকা ০৯:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চট্টগ্রামে রোহিঙ্গা যুবকের ইয়াবা বহন ব্যর্থ, সৌদিয়া বাসে ২ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার Logo জুলাই বিপ্লব কারো একক সম্পত্তি নয়, এটা সার্বজনীন – মোহাম্মদ তমিজ উদ্দিন Logo সাভার ও আশুলিয়ার মহাসড়ক এখন বর্জ্যের ভাগাড়, ভোগান্তির শিকার Logo সবুজে স্বপ্ন,পরিচ্ছন্নতায় প্রতিজ্ঞা:কদম মোবারক স্কুলে পরিবেশযাত্রা Logo টিভি ভবনে হামলা, ক্যামেরার সামনেই দৌড়ে পালালেন উপস্থাপিকা Logo দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাক ও পুলিশ ভ্যানে বাসের ধাক্কায় নিহত ২, আহত ৭ Logo একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা তারেক রহমান-বাবরের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু Logo আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর দুটি ম্যাচ খেলবেন রাসেল Logo গোপালগঞ্জে চলছে কারফিউ, আটক ১৪ Logo ১৭ জুলাই: ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা

সেনা-পুলিশ পাহারায় গোপালগঞ্জ ছাড়লেন নাহিদ-হাসনাতরা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:২৫:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
  • ৪ ১০.০০০ বার পড়া হয়েছে

গোপালগঞ্জে সমাবেশ শেষে অবরুদ্ধ হয়ে পড়া জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা গোপলগঞ্জ ছেড়ে গেছেন। সেনাবাহিনী ও পুলিশের পাহারায় তারা গোপালগঞ্জ ছাড়েন।

এ তথ্য নিশ্চিত করে এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহিন জানিয়েছেন, তারা বিকাল ৫টার দিকে গোপালগঞ্জ ছেড়ে বের হয়ে যান।

জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া পাহাড়ায় তাদের গাড়িবহর বেরিয়ে যায়। গাড়িতে এনসিপি নেতাদের মধ্যে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, আখতার হোসেন, হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলমসহ শীর্ষ নেতারা রয়েছেন।

বুধবার দুপুর ১টা ৩৫ মনিটের দিকে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় এনসিপির সমাবেশের মঞ্চে হামলা চালায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ। সমাবেশের মঞ্চে থাকা সাউন্ডবক্স, মাইক, চেয়ার ভাঙচুরসহ উপস্থিত এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়। হামলা-ভাঙচুরের মধ্যেই সমাবেশমঞ্চে উপস্থিত হন এনিসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা।

দুপুর ২টার আগেই দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে ওঠেন। ২টা থেকে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। সেখানে প্রথমে মাইক হাতে কথা বলেন দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। এরপর মাইক হাতে নিয়ে টানা স্লোগান দিয়ে সমাবেশস্থল মুখর করে রাখেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

তার স্লোগানে সভামঞ্চসহ পুরো সমাবেশস্থল যেন নতুন করে প্রাণ পায়। এসময় সভামঞ্চে উপস্থিত থাকা এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, সারোয়ার তুষারসহ সবাই হাসনাতের সঙ্গে সুর মিলিয়ে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।

এর কিছুক্ষণ পর নাহিদ ইসলাম বক্তব্য দিয়ে সভা শেষ করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়ে সমাবেশস্থল ত্যাগের ঘোষণা দেন সারজিস আলম।

গোপালগঞ্জ সভা শেষে ফেরার পথেও এনসিপির গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা এ হামলা চালায়। এতে গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গুলি চালায়। এসময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটে।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামে রোহিঙ্গা যুবকের ইয়াবা বহন ব্যর্থ, সৌদিয়া বাসে ২ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার

সেনা-পুলিশ পাহারায় গোপালগঞ্জ ছাড়লেন নাহিদ-হাসনাতরা

আপডেট সময় ০৮:২৫:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

গোপালগঞ্জে সমাবেশ শেষে অবরুদ্ধ হয়ে পড়া জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা গোপলগঞ্জ ছেড়ে গেছেন। সেনাবাহিনী ও পুলিশের পাহারায় তারা গোপালগঞ্জ ছাড়েন।

এ তথ্য নিশ্চিত করে এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহিন জানিয়েছেন, তারা বিকাল ৫টার দিকে গোপালগঞ্জ ছেড়ে বের হয়ে যান।

জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া পাহাড়ায় তাদের গাড়িবহর বেরিয়ে যায়। গাড়িতে এনসিপি নেতাদের মধ্যে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, আখতার হোসেন, হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলমসহ শীর্ষ নেতারা রয়েছেন।

বুধবার দুপুর ১টা ৩৫ মনিটের দিকে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় এনসিপির সমাবেশের মঞ্চে হামলা চালায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ। সমাবেশের মঞ্চে থাকা সাউন্ডবক্স, মাইক, চেয়ার ভাঙচুরসহ উপস্থিত এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়। হামলা-ভাঙচুরের মধ্যেই সমাবেশমঞ্চে উপস্থিত হন এনিসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা।

দুপুর ২টার আগেই দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে ওঠেন। ২টা থেকে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। সেখানে প্রথমে মাইক হাতে কথা বলেন দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। এরপর মাইক হাতে নিয়ে টানা স্লোগান দিয়ে সমাবেশস্থল মুখর করে রাখেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

তার স্লোগানে সভামঞ্চসহ পুরো সমাবেশস্থল যেন নতুন করে প্রাণ পায়। এসময় সভামঞ্চে উপস্থিত থাকা এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, সারোয়ার তুষারসহ সবাই হাসনাতের সঙ্গে সুর মিলিয়ে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।

এর কিছুক্ষণ পর নাহিদ ইসলাম বক্তব্য দিয়ে সভা শেষ করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়ে সমাবেশস্থল ত্যাগের ঘোষণা দেন সারজিস আলম।

গোপালগঞ্জ সভা শেষে ফেরার পথেও এনসিপির গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা এ হামলা চালায়। এতে গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গুলি চালায়। এসময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটে।


প্রিন্ট