ফেসিষ্ট সরকারের আমলে ২০১৬ ইংরেজি সনের একটি প্রবেশপত্রের আলোকে কামাল হোসেন সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক পদে লিখিত পরীক্ষার জন্য মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সার্বিক ঢাকা বিভাগের স্বাক্ষরিত প্রবেশপত্রের আলোকে পরীক্ষা অংশগ্রহণ করার নোটিশ প্রদান করিলে মোঃ কামাল হোসেন নোটিশ গ্রহণপূর্বক লিখিত পরীক্ষা অংশগ্রহণ করেন।উক্ত পরীক্ষায় কৃতকার্য হওয়ার লক্ষ্যে স্থানীয় সাংসদ নিলুফা জাফরুল্লাহ এমপি ১৩।৮।২০১৬ইং তারিখের একটি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের একটি ডিও নং এমপি / ম-২৫/২০১৬-৩৬৮ এর আলোকে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান গত ০৫।৮।১৬ ইং তাং উল্লিখিত পদে লিখিত পরীক্ষার অনুষ্ঠিত হয়েছে।উক্ত পদে তার রোল নং ৮৪০। এমত অবস্থায় মো: কামাল হোসেনকে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেন যা ছিল সম্পূর্ণ অবৈধ অনিয়ম আইন পরিপন্থী উক্ত সংসদের অভার টেলিফোনে তৎকালীন সময়ে কমিশনার কে কামাল হোসেনের নিয়োগের জন্য বেআইনি অনিয়মভাবে চাপ সৃষ্টি ও বাধ্য করেন।এবং মো: কামাল হোসেন কে চাকরিতে যোগদান করেন মর্মে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে জানা যায়। উল্লেখ্য যে আওয়ামী লীগের সাংসদদের প্রবল চাপ নিয়োগে হস্তক্ষেপ করা কতটুক বিধি বহির্ভূত বৈধতা আছে তা বোধগম্য নহে। বর্তমানে কামাল হোসেন আওয়ামী লীগ ব্যানারে প্রতিনিয়ত সরকারের বিরুদ্ধে আচরণ করছেন তাছাড়া তাহার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় সম্পদ অর্জনের সুস্পষ্ট অভিযোগ ও রয়েছে। চাকরি নিয়েই কার্যালয়ে বিভিন্ন শাখায় পোস্টিং বাগিয়ে নেন কামাল হোসেন। সেখানে তদবির বানিজ্য করে কানুনগো ও সার্ভেয়ার বদলীতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি জড়িয়ে পড়েন মোঃ কামাল হোসেন। ফেসিষ্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর শিক্ষা ও আইসিটি শাখায় থাকাকলীন সময়ে বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার গভর্ণিং বোর্ডের কমিটির সভাপতি নিয়োগের তদবির বানিজ্যে ও ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করেন এক কথায় টাকার জন্য এহেন কোন কাজ নেই যেটা তিনি করেনি। এখন সে নিষিদ্ধ কার্যক্রম আওয়ামীলীগের রোষানল ফেসিষ্ট থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য কখনো এনসিপি, কখনো বিএনপির,লোক বলে দাবী করেন। বতর্মান সে মোটা অংকের টাকা খরচ করে তদবির করে বর্তমানে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের হল্ডিং ট্যাক্স আপিল বিভাগের উত্তর সিটি কর্পোরেশনে দায়িত্বে নিয়োজিত এবং চাকুরীতে কর্মরত আছেন এই শাখায় ও পোষ্টিংও নিয়েছেন তদবিরের মাধ্যমে। তার নিজের কোন যোগ্যতা না থাকলেও তার তদবিরে সংসদ এমপির কারনে কতৃপক্ষ নিরুপায় হয়ে যায়। তাছাড়া বিশেষ সূত্রে জানা যায় তাহার চাকরি করা কালীন সময়ে দুর্নীতির মাধ্যমে নামে বেনামে গড়েছেন কোটি কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ একাধিক ফ্লাট সহ বিভিন্ন নামে বেনামে সম্পদ অর্জন করেছেন।
তাহার দুর্নীতির মাত্রা এতই বেশি যে ফরিদপুরের সংসদ সদস্য এমপির নাম ভাঙ্গাইয়া কামাল হোসেন তদবির বানিজ্য বদলী করে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করেন কর্মরত শাখায় চাকুরি করে নামে বেনামে গড়েছেন অগাধ সম্পদ।।এই বিষয়ে কামালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সহ সচিব বরাবর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে বলে জানা যায়। তাহার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন চেয়ারম্যান সচিব বরাবরে অভিযোগ দাখিল করেছেন উক্ত অভিযোগে তাহার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহিভূত সম্পদের তালিকা ও প্রকাশ করা হয়েছে। ঢাকা সহ তার গ্রামের বাড়িতে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি ক্রয় করেছেন মর্মে জানা যায় উক্ত সম্পত্তির বেশির ভাগই তাহার স্ত্রীর নামে এবং একাধিক ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে অন্তত ১৫ টি। স্হাবর, অস্থাবর সব মিলিয়ে কোটি টাকার অবৈধ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্ত করিলে বেরিয়ে আসবে কামাল হোসেনের দুর্নীতির মানচিত্র। এখানে একটি বিষয় লক্ষ্যনিয় যে বর্তমান সরকারের উপদেষ্টাগণ বিভিন্ন সময় পত্রপত্রিকা সহ ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া মাল্টিমিডিয়াতে বরাবর বলে আসছেন ফ্যাসিস্ট কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দোসরা সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শাখায় নিয়োজিত রয়েছেন যার কারনে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকান্ডের কাজে বাধা প্রাপ্তির স্বীকার হচ্ছেন। তারই মধ্যে ফরিদপুরের মহিলা সংসদ সদস্য নিলুফা জাফরুল্লাহ চোধুরির ডিউ লেটারের মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ও অনিয়মে মো: কামাল হোসেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে চাকুরি দিয়েছেন। এবং বিভিন্ন ভাল শাখায় পোস্টিং বাগিয়ে সেখানে তদবির বানিজ্য করে এবং বদলীতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন। পছন্দ মত শাখায় কর্মরত থাকিয়া ৪/৫ বছরের চাকরি করে গড়ছেন বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক ।এই বিষয়ে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের বিশেষ সূত্রে জানা যায় তাহার এতই দুর্নীতি, দুর্নীতির সার্বিক বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনের মাধ্যমে সঠিকভাবে তদন্ত করিলে তাহার সার্বিক দুর্নীতির বিষয়টি সত্যতা পাওয়া যাবে। এই বিষয়ে প্রতিবেদক কামাল হোসেনকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি যার কারণে তার বক্তব্য গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।
প্রিন্ট
আলমগীর হোসেন আলম। জেলা ব্যুরো 




















