টাঙ্গাইলের মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তি কাদের সিদ্দিকী আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের দূসর, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান বিরোধী ও আওয়ামী লীগের পুনঃবাসন সংক্রান্ত বক্তব্যের দায়ে মামলার আসামি হওয়ার আশঙ্কায় বাদ পড়তে পারে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও প্রার্থীতা।
বিগত সংসদ নির্বাচনে কাদের সিদ্দিকী ঋণখেলাপীর দায়ে প্রার্থীতা করতে পারেননি।
এছাড়া, টাঙ্গাইল-৮(বাসাইল-সখিপুর) আসনে ইতিপূর্বে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই সময়ে সখিপুর ছিল কাদের সিদ্দিকীর ভোট ব্যাংক। কিন্তু পরবর্তীতে কাদের সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে অন্যের জমি বেদখল ও বেফাস মন্তব্য করায়, তিনি নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল(কোঠার) মারেন।
ঋণখেলাপী কাটিয়ে উঠতে তার কণ্যা কুড়ি সিদ্দিকিকে পরবর্তীতে প্রার্থী দিলেও সুফল মিলেনি।
সম্প্রতি কাদের সিদ্দিকী আওয়ামী লীগের পুন:বাসন সংক্রান্ত বক্তব্য দেয়ার কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ে, টাঙ্গাইল শহরতলীতে তার বাসায় জানালা ও ব্যবহৃত গাড়ির কাচ ভেঙ্গে দেয়ার ঘটনাও ঘটে।
গণহত্যার মাস্টার মাইন্ড সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে একাধিক হত্যা মামলার আসামি থাকা সত্বেও নানা অজুহাতে কাদের সিদ্দিকী প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকেন। ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনাকে।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার না করার আহবানও জানান। পুরো দেশ জুড়ে রয়েছে আওয়ামী লীগ বলে তিনি মন্তব্য করেন ।
কাদের সিদ্দিকী এ বিষয়গুলো নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রল হন রীতিমতো।
টাঙ্গাইল বা দেশের কোনো সংসদীয় আসনে তার তেমন জনসমর্থন পরিলক্ষিত না হলেও নিজেকে হেভিওয়েট প্রার্থীর দাবিদার কাদের সিদ্দিকী।
বিশ্বস্ত সুত্র জানায়, কাদের সিদ্দিকী এবারও প্রার্থীতায় বাদ পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। হতে পারে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গণহত্যা মামলার আসামি। গিরিগিটীর মত রং পাল্টানো কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইলের সখিপুর ও কালিহাতী উপজেলার তার দলীয় প্রোগ্রামে আওয়ামী লীগ পুনঃবাসনের বলিষ্ঠ বক্তব্য প্রদান করেছেন।
নির্লজ্জ ও সুবিধাবাদী হিসেবে ট্রল হওয়া কাদের সিদ্দিকী কখনো আওয়ামী লীগের দালালী, কখনো অন্যান্য রাজনৈতিক দলের পক্ষে তেলবাজিমূলক বক্তব্য প্রদান করতেও দেখা গেছে।
সদ্য কারামুক্ত লতিফ সিদ্দিকী কে সঙ্গে নিয়ে কাদের সিদ্দিকী কালিহাতীতে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসকে নিয়েও তিনি তাচ্ছিল্যপূর্ণ ও সরকার বিরোধী বক্তব্য প্রদান করেন।
বাসাইল-সখিপুর আসনে কাদের সিদ্দিকী ও তার কন্যা কুড়ি সিদ্দিকীর কপাল পোড়েছে বিগত সংসদ নির্বাচন হতে তা অনুধাবন করা যায়।
তবে সখিপুর এর অধিকাংশ জনগণের সাপোর্ট আর মিলছে না, কদর কমছে কাদের সিদ্দিকীর।
তাছাড়া, কালিহাতী আসনে লতিফ সিদ্দিকী গত সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হলেও এবার ভোটের মাঠে বেকায়দা পড়তে পারেন ।
তার কারণ জানতে চাওয়া হলে কালিহাতী আসনের নানা পেশাজীবি ব্যক্তিবর্গ জানান, লতিফ সিদ্দিকীকে আমরা ভোট দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি এবার কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে সঙ্গ দিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে ও ছাত্র জনতার আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেয়ার উপক্রম হয়েছে।
এবার কপালে কি আছে তা নির্বাচন ঘনিয়ে আসলে বোঝা যাবে।
কাদের সিদ্দিকী আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি ছাড়া নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করার দেয়া বক্তব্যর পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হলে রং পাল্টিয়ে আবার বলেন, ‘আমি বক্তব্যটি ওভাবে বলিনি।’
প্রিন্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক: 




















