ঢাকা/গোপালগঞ্জ/খুলনা: সম্প্রতি “আম জনতার দল” নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের মাধ্যমে আলোচনায় আসা দুই ব্যক্তি, মিয়া মশিউজ্জামান এবং তাঁর আম তারেক, ওরফে আম তারেক মশিউজ্জামান-এর বিরুদ্ধে গুরুতর প্রতারণা, চাঁদাবাজি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং পারিবারিক সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। তাদের ঘনিষ্ঠজন ও পরিবারের সদস্যরা এই অভিযোগগুলো উত্থাপন করেছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মশিউজ্জামান নিজেকে “কর্নেল” পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রভাব খাটিয়ে আসছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগটি এসেছে তাঁর নিজের পরিবারের পক্ষ থেকে। পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, মশিউজ্জামান তাঁর “কর্নেল” পদবি ও প্রভাব ব্যবহার করে ভাই-বোনদের সম্পত্তি ও অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়াও, তিনি চাকরির অবসরের পর ধীরে ধীরে নিজের ও পরিবারের সকল সম্পত্তি বিক্রি করে ফেলেছেন বলেও জানা গেছে।
অভিযোগকারী সূত্র অনুযায়ী, প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর মশিউজ্জামান গার্মেন্টসে কর্মরত এক শানাজ লিপি নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। শানাজ লিপি চাকরির পাশাপাশি গৃহ কর্মির কাজ করতেন এই সুবাদে কাজের মেয়ের সাথে “আকাম কুকাম” করে পরে তাকে বিয়ে করতে বাধ্য হন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, আম তারেক “জুলাই যোদ্ধা” হিসেবে নিজেকে দাবি করে থাকেন প্রশ্ন হল সে কি এই জুলাই সংগ্রামে একাই অংশ নিয়েছে ? তাঁর মূল কাজ হল যে কোন ইস্যু নিয়ে আলচনায় আসা তাঁর যোগ্যতা নিয়ে রয়েছে নানা বিতর্ক আছে আম ব্যবসায় প্রতারনার বুহু অভিযোগ তাঁর অনলাইন আম বিক্রির ফেসবুক কমেন্টে দেখতে পাওয়া যায় ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আম তারেকের ফেসবুক পোস্টগুলোর বানান এবং ভাষা অত্যন্ত দুর্বল। সে কর্নেল ও বিএনপির নেতাদের প্রভাব খাটিয়ে এসব করেছে বলে জানা যায় । আম তারেকের ব্যক্তিগত জীবনও বিতর্কমুক্ত নয়। খুলনায় তাঁর শ্বশুরবাড়ির এলাকার ঘনিষ্ঠজনেরা জানান, আম তারেক তাঁর জলহস্তির মতো স্ত্রীকে শুধুমাত্র তাঁর বাবার অর্থ-সম্পদের লোভে প্রতারণা করে বিয়ে করেছেন এই মেয়ের পরিবারের কাছ থেকে ব্যবসার নামে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে । প্রথম দিকে মেয়ের পরিবার রাজি না হলেও পরে এই প্রতারকের কাছে বাধ্য হয়ে আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে।
মশিউজ্জামান গোপালগঞ্জের হওয়ায় শেখ হাসিনার শাসনামলে কোনো ঝামেলা ছাড়াই দালালি ও প্রতারণার মাধ্যমে দিন কাটিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। মশিউজ্জামান গোপালগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে প্রতারণা করে নিরবে “মামলা বাণিজ্যের” নামে টাকা হাতিয়ে নিতেন এবং অনেককে শেল্টার দেওয়ার মতো গুরুতর অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে তাঁর নিজের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন। নারী আসক্ত এই মশিউজ্জামান তাঁর সকল সম্পদ বিক্রি করে খেয়েছে ।
এই দুজনের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ, তারা যা কিছু করেন, তা অত্যন্ত কৌশলে সম্পাদন করেন যাতে মিডিয়াতে সহজে প্রকাশ না পায়।
সম্পত্তি ও অর্থ শেষ হওয়ার পর এই দুইজন প্রথমে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের মালিকানা দাবি করে ব্যর্থ হন। এরপর নিজেদের জানান দেওয়ার চেষ্টা হিসেবে “আম জনতার দল” নামে একটি ভুঁইফোড় রাজনৈতিক দল গঠন করেন। অভিযোগকারীদের মতে, দল গঠনের মূল উদ্দেশ্য হলো এটিকে প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করে চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা হাতিয়ে নেওয়া।
বর্তমানে তাদের কোনো বৈধ আয়ের উৎস না থাকায়, দলের নামে বিকাশ নম্বর দিয়ে চাঁদা তুলে পরিবারের খরচ যোগাচ্ছেন বলে তাদের ঘনিষ্ঠ মহল দাবি করেছে।
তাঁদের এই ভুঁইফোড় দলের নিবন্ধনের জন্য এই দুই প্রতারক সর্বশেষ আলোচনায় এসেছেন। জানা যায় বিএনপির পক্ষ থেকে দীর্ঘ দিনের দালালী ও পদলেহন করে কোন আসনে বিএনপি নাম ঘোষণা না করায় পরের দিন অনশনে বসে যায় এই ধান্দাবাজ যদিও এক পর্যায়ে বিএনপি নেতার অনুরোধে তাঁর বিতর্কিত অনশন ভঙ্গ করেন এবং কোন সুবিধা করতে না পেরে সরকার প্রধান ড. ইউনূসসহ বিভিন্ন সম্মানিত রাজনীতিবিদ ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে অসম্মানজনক গালাগালি ও খারাপ ভাষা ব্যবহার করে সেখান থেকে বিদায় নেয় এই আম তারেক ও তাঁর সাথে থাকা অনশনরত কুকুর বিড়াল ।
অথচ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ৯০ ক ধারা অনুযায়ী নিবন্ধনের জন্য যে কঠোর শর্তাবলী রয়েছে, এই দল তার কোনোটিই পূরণ করেনি বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।
অনুসন্ধান আরও বলছে, উপজেলা অফিস তো দূরের কথা, এই দুই প্রতারক যেটি কেন্দ্রীয় অফিস হিসেবে দেখিয়েছেন, সেটিও মশিউজ্জামান “কর্নেল” এর প্রভাব খাটিয়ে নিজের দখলে রেখেছেন কোন ভাড়া পরিশোধ করেনা সে ডেভ্লপার কোম্পানির নিকট টাকা পাওনা বলে জোর করে অন্যের বাসা দখল করে আছে অথচ তাঁর বিক্রয়ের দলিল স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে । এমনকি এই অফিসের নিচে পার্কিং এলাকা থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর বিস্তারিত ভিডিও সহ খুব শীঘ্রই প্রকাশিত হবে ।চলবে
প্রিন্ট
অনুসন্ধান রিপোর্ট 




















