আন্তীয়তার সুবাদে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থেকে রিংকু দাস, ডলি দাস ও বিসকা দাস ঝিনাইদহে লাপাত্তা হয়ে আত্নগোপনে রয়েছে।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সুত্র জানায়,টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার পোস্টকামারী গ্রামের কমলা বেগমের কাছ থেকে ১লাখ ১১হাজার টাকা,
মহাদের এর স্ত্রী আলো তাম্বুলির কাছ থেকে ৬০হাজার ও পোস্ট কামারী পালপাড়া গ্রামের রাম কৃষ্ণ শ্যাম পালের কাছ থেকে ৬লাখ টাকা, পোস্ট কামারী গ্রামের গোপাল তাম্বুলির পুত্র বাবুল তাম্বুলির কাছ থেকে তিন ভরি স্বর্ণ, ৮০হাজার টাকা, বাড়ির দলিল নিয়ে লাপাত্তা লিংকু দাস। ইতিপূর্বে ৬লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় রিংকু দাস নিরীহ বাবলু তাম্বুলির কাছ থেকে। বাবলু তাম্বুলি, তুলসি তাম্বুলি ও গোপাল তাম্বুলিকে জড়িয়ে মানবাধিকার সংস্থায় একটি মিথ্যা অভিযোগ করিয়ে এই সিন্ডিকেটটি নিরীহ তাম্বুলি পরিবারকে জিম্মি করে উক্ত ৬লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
এখন তারা দুজনে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বড়গ্রাম চুনাতিপাড়া গ্রামে দুখী রাম দাস এর বাড়িতে অবস্থান করছে।
আত্মসাৎকৃত অর্থ দিয়ে দুখী রামের বাড়িতে ভবন নির্মাণ করতেছে। ইদানীং আমাদের টাকা না দিয়ে আরো মোবাইলে কল দিয়ে টাকা চাচ্ছে, তা না হলে এই
০১৯৭৯৮৭৬৪০১ নাম্বার থেকে কল দিয়ে ভুয়া সিআইডি পরিচয়ে হত্যা মামলায় আসামি হিসেবে ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। এমনকি কল করে মোবাইলে বলে যে, আমি রিংকু দাস, জানিস আদালতের পেশকার ও জজ আমার পরিচিত। পুলিশ আমার কথায় উঠে বসে।
এছাড়া, রিংকু দাস, ডলি দাস ও বিসকা দাস এর বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল আদালতে দায়েরকৃত একটি মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হয়েছে। মামলা নং টাঙ্গাইল ‘খ’ অঞ্চল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পি: মো: নং ৯৬৩/২০২৫।
এই মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট আবুল কাসেম ও তার সহযোগী বায়েজিদ রিংকু গং আসামির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট প্রসেস দিতে কালক্ষেপণ করছে।
বাদী পক্ষের অভিযোগ, এডভোকেট কাসেম ও তার সহযোগী বায়েজিদ আসামি রিংকুদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে সুবিধা হাতিয়ে নিচ্ছে। এজন্য ওয়ারেন্ট প্রসেস এর স্মারক নং চাওয়া হলে তিনি তা দেননি।
প্রতক্ষদর্শীরা জানান, রিংকু দাস পরকীয়া করতো। হাতে নাতে ধরার পর পালিয়ে ঝিনাইদহে লাপাত্তা হয়েছেন।
প্রিন্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক 



















