টংগীবাড়ি থানার পাইকপাড়া এলাকায় রাজিব ব্যাপারি ওরফে নাতি রাজিব গড়ে তুলেছেন মাদক ব্যবসার ভয়ংকর সিন্ডিকেট। তার সিন্ডিকেটের সদস্যরা শাহীন সরদার, শরীফ চোকদার, শুভ ওরফে মাস্টার শুভ, সজীব চোকদার, দিদার ও গোপালসহ আরও অনেকেই। অনুসন্ধানে জানা যায়, রাজিব আগে অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পরে মাদকের মতো অবৈধ কারবারে জড়িয়ে রাতারাতি বনে যান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। পরবর্তীতে টংগীবাড়ি থানার পাইকপাড়া এলাকায় গড়ে তোলেন নিজের একচ্ছত্র আধিপত্য। এলাকাজুড়ে এক আতংকের নাম এখন রাজিব। বর্তমানে টংগীবাড়ি থানার অন্যতম বড় মাদক কারবারি। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, রাজিবের নেতৃত্বে তার সিন্ডিকেটের সদস্যরা বর্তমানে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। রাজিবের ইশারায় মাদক কারবারির পাশাপাশি চুরি, ছিনতাই, দখলবাজি, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে পাইকপাড়া এলাকা। রাজিবের নামে বিভিন্ন থানায় মাদক, অস্ত্র ও ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে। এতকিছুর পরেও বীরদর্পে তার অপরাধ সাম্রাজ্য চালিয়ে গেলেও দেখার কেউ নেই। প্রকাশ্যে মাদক, অস্ত্র কারবার করলেও এখনো ধরতে পারছে না স্থানীয় প্রশাসন। ডাকাতি, মাদক এবং অস্ত্র কেনাবেচা করে কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছেন অল্পদিনে। সেই টাকায় গ্রামে গড়ে তুলেছেন ডুপ্লেক্স বাড়ি। তাছাড়া রাজধানীর সাইনবোর্ড এলাকায় অত্যাধুনিক একাধিক ফ্ল্যাটের মালিকও হয়েছেন তিনি। এসব অবৈধ টাকায় বাড়ির পাশে একাধিক ফসলি জমিও কিনেছেন। এসব অবৈধ ব্যবসার নেপথ্যে কাজ করে চলেছেন স্ত্রী দুলালি। সূত্রে জানা যায়, গত বছরের গণ-অভ্যুত্থানের পর বিভিন্ন থানার অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুটের সাথে জড়িত ছিলেন রাজিব। তার বাড়ির পাশ থেকে গত ২০শে এপ্রিল ৩২৬ রাউন্ড বুলেট জব্দ করা হয়। তার কাছে দুটি অত্যাধুনিক রিভলবার রয়েছে। রাজিবের বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ব্যপারে টংগীবাড়ি থানার ওসি শাহ আলমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, মাদকের বিষয়টি আমরাও জেনেছি। ইতিমধ্যে একটি মিটিংয়ে বিষয়টি উপস্থাপন করেছি। সর্বোপরি আমরা রাজিবের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিব। রাজিবের বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও তার মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি।
প্রিন্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক: 




















