ঢাকা ০৭:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধান নাজিরের বদলী নিয়ে চরম অসন্তোষ Logo মহম্মদপুরে বিএনপি’র নির্বাচনী পথ সভা অনুষ্ঠিত Logo পীরগঞ্জে বিএনপির উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo দেশের ধন্যাঢ্য ব্যক্তিরাও প্রতারণার শিকার অনিক ও সোহেলের ভুয়া “প্রাচীন পিলার ও কয়েন” চক্র Logo দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই প্রায় অর্ধশত বদলি বানিজ্য পিএইচডি জালিয়াতি-বদলি বানিজ্য-ঠিকাদারি সিন্ডিকেটের মূলহোতা খালেকুজ্জামান চৌধুরী Logo কাচিঘাটা রেঞ্জে গাছকাটা সিন্ডিকেটের তাণ্ডব রাতে চার–পাঁচশ গাছ উজাড়—বন রক্ষাকারীরাই অভিযুক্ত!** স্থানীয়দের অভিযোগ: “৫ আগস্টের পর এলাকা একেবারে মগের মুল্লুক—বন কেটে লুটে খাচ্ছে সবাই Logo চীনে ট্রেন দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত Logo ১২ ঘণ্টায় দ্বিতীয়বার ভূমিকম্পে কাঁপল ইন্দোনেশিয়া Logo প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলা জয় ও পুতুলের ৫ বছরের কারাদণ্ড Logo তিন মামলায় হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ড

শীঘ্রই আসছে ব্যারিস্টার আরমানের বই ‘আয়নাঘরে অবরুদ্ধ জীবন’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় ০১:২৪:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
  • ২২৭ ১৮৪৪.০০০ বার পড়া হয়েছে

পরিবারের অভিভাবক যিনি, তিনি আগে থেকেই বন্দি সাজানো এক জীঘাংসার মামলায়; শুধু বন্দিই নন, ফাঁসির দণ্ডাদেশ নিয়ে অপেক্ষা করছেন যেকোনো দিন পৃথিবীকে বিদায় জানানোর। পিতার অনুপস্থিতিতে পরিবারের হাল ধরেছেন যুবক ছেলে। শত অশ্রুকে বুকের ভেতর সুপ্ত রেখে মা, বোন, স্ত্রী, কন্যাদের আগলে রেখেছেন যুবক।

একদিন তাকেও তুলে নেওয়া হলো মায়ের সামনে থেকে, স্ত্রীর বাহুডোর থেকে, শিশুকন্যাদের নিদারুণ আকুতিকে পেছনে ফেলে। হারিয়ে গেলেন তিনি। কোথায়? কেউ জানে না! কেউ না!

তারপর শুধুই অন্ধকার। যেখানে এক চিলতে আলোও নেই। জীবনমৃত্যুর মাঝামাঝি এক অদ্ভুত ভয়ংকর জীবন। প্রতিক্ষণ মৃত্যুর অপেক্ষা। প্রতিক্ষণ যন্ত্রণাকাতর। প্রতিটি মুহূর্ত অনিশ্চিত একরাশ তীব্র কষ্টে জড়ানো।

বাবাকে কি ফাঁসি দিয়ে ফেলা হয়েছে? মা, জায়া ও মেয়েরা কি বেঁচে আছে? তারা মুক্ত নাকি বন্দি? আমি এখানে আছি, তারা কি জানে? আমি কি এখানে মারা যাব? মেরে ফেলা হবে? নাকি কোনোদিন বের হতে পারব? সেই দিনটি কখন? কত দিন ও রাত পেরোলে? অথবা সপ্তাহ মাস বছর? উত্তর দেওয়ার কেউ নেই; চারদিকে চারটি নির্বাক জানালাহীন দেয়াল ছাড়া!

এভাবে কেটে যায় ৮টি বছর। আটবার বসন্ত। কিন্তু আট বছরে কোনো ফুল ফোটেনি বন্দি মানুষটির জন্য। অথবা তার পরিবারের জন্যও। বরং অবিরত অশ্রুর বর্ষাই ছিল তাদের ঋতু। মজলুমের অশ্রুমুখর চোখের জোয়ার একদিন সত্যি সত্যি বর্ষা নিয়ে এলো এ দেশের বুকে। হলো বর্ষাবিপ্লব!

অনিশ্চিত আলোছায়ায় অবরুদ্ধ জীবনের ওপার থেকে ফিরলেন সে যুবক। কিন্তু প্রায়বৃদ্ধ হয়ে। জীবনের সোনালি সময়কে হারিয়ে। দুঃসহ বন্দিজীবনের নির্বাক বেদনার স্মৃতি নিয়ে…

সেই নির্বাক বেদনাকে বহন করতে রাজি হলো কিছু সাদাকালো পৃষ্ঠা। আসছে আয়নাঘরের বন্দিজীবনের উপাখ্যান নিয়ে মীর আহমাদ বিন কাসেম আরমানের বই…

আয়নাঘরে অবরুদ্ধ জীবন।।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধান নাজিরের বদলী নিয়ে চরম অসন্তোষ

শীঘ্রই আসছে ব্যারিস্টার আরমানের বই ‘আয়নাঘরে অবরুদ্ধ জীবন’

আপডেট সময় ০১:২৪:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

পরিবারের অভিভাবক যিনি, তিনি আগে থেকেই বন্দি সাজানো এক জীঘাংসার মামলায়; শুধু বন্দিই নন, ফাঁসির দণ্ডাদেশ নিয়ে অপেক্ষা করছেন যেকোনো দিন পৃথিবীকে বিদায় জানানোর। পিতার অনুপস্থিতিতে পরিবারের হাল ধরেছেন যুবক ছেলে। শত অশ্রুকে বুকের ভেতর সুপ্ত রেখে মা, বোন, স্ত্রী, কন্যাদের আগলে রেখেছেন যুবক।

একদিন তাকেও তুলে নেওয়া হলো মায়ের সামনে থেকে, স্ত্রীর বাহুডোর থেকে, শিশুকন্যাদের নিদারুণ আকুতিকে পেছনে ফেলে। হারিয়ে গেলেন তিনি। কোথায়? কেউ জানে না! কেউ না!

তারপর শুধুই অন্ধকার। যেখানে এক চিলতে আলোও নেই। জীবনমৃত্যুর মাঝামাঝি এক অদ্ভুত ভয়ংকর জীবন। প্রতিক্ষণ মৃত্যুর অপেক্ষা। প্রতিক্ষণ যন্ত্রণাকাতর। প্রতিটি মুহূর্ত অনিশ্চিত একরাশ তীব্র কষ্টে জড়ানো।

বাবাকে কি ফাঁসি দিয়ে ফেলা হয়েছে? মা, জায়া ও মেয়েরা কি বেঁচে আছে? তারা মুক্ত নাকি বন্দি? আমি এখানে আছি, তারা কি জানে? আমি কি এখানে মারা যাব? মেরে ফেলা হবে? নাকি কোনোদিন বের হতে পারব? সেই দিনটি কখন? কত দিন ও রাত পেরোলে? অথবা সপ্তাহ মাস বছর? উত্তর দেওয়ার কেউ নেই; চারদিকে চারটি নির্বাক জানালাহীন দেয়াল ছাড়া!

এভাবে কেটে যায় ৮টি বছর। আটবার বসন্ত। কিন্তু আট বছরে কোনো ফুল ফোটেনি বন্দি মানুষটির জন্য। অথবা তার পরিবারের জন্যও। বরং অবিরত অশ্রুর বর্ষাই ছিল তাদের ঋতু। মজলুমের অশ্রুমুখর চোখের জোয়ার একদিন সত্যি সত্যি বর্ষা নিয়ে এলো এ দেশের বুকে। হলো বর্ষাবিপ্লব!

অনিশ্চিত আলোছায়ায় অবরুদ্ধ জীবনের ওপার থেকে ফিরলেন সে যুবক। কিন্তু প্রায়বৃদ্ধ হয়ে। জীবনের সোনালি সময়কে হারিয়ে। দুঃসহ বন্দিজীবনের নির্বাক বেদনার স্মৃতি নিয়ে…

সেই নির্বাক বেদনাকে বহন করতে রাজি হলো কিছু সাদাকালো পৃষ্ঠা। আসছে আয়নাঘরের বন্দিজীবনের উপাখ্যান নিয়ে মীর আহমাদ বিন কাসেম আরমানের বই…

আয়নাঘরে অবরুদ্ধ জীবন।।


প্রিন্ট