ঢাকা ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধান নাজিরের বদলী নিয়ে চরম অসন্তোষ Logo মহম্মদপুরে বিএনপি’র নির্বাচনী পথ সভা অনুষ্ঠিত Logo পীরগঞ্জে বিএনপির উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo দেশের ধন্যাঢ্য ব্যক্তিরাও প্রতারণার শিকার অনিক ও সোহেলের ভুয়া “প্রাচীন পিলার ও কয়েন” চক্র Logo দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই প্রায় অর্ধশত বদলি বানিজ্য পিএইচডি জালিয়াতি-বদলি বানিজ্য-ঠিকাদারি সিন্ডিকেটের মূলহোতা খালেকুজ্জামান চৌধুরী Logo কাচিঘাটা রেঞ্জে গাছকাটা সিন্ডিকেটের তাণ্ডব রাতে চার–পাঁচশ গাছ উজাড়—বন রক্ষাকারীরাই অভিযুক্ত!** স্থানীয়দের অভিযোগ: “৫ আগস্টের পর এলাকা একেবারে মগের মুল্লুক—বন কেটে লুটে খাচ্ছে সবাই Logo চীনে ট্রেন দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত Logo ১২ ঘণ্টায় দ্বিতীয়বার ভূমিকম্পে কাঁপল ইন্দোনেশিয়া Logo প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলা জয় ও পুতুলের ৫ বছরের কারাদণ্ড Logo তিন মামলায় হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ড

টাঙ্গাইলে এসআইয়ের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

টাঙ্গাইলে পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করে জোরপূর্বক টাকা আদায় এবং সেই টাকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অসংখ্য ভুক্তভোগীর মধ্যে টাঙ্গাইলের কালিহাতীর এক সিএনজি চালক ও তার পরিবার এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হলেও ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার শঙ্কায় মুখ খুলতে চাননি। ঘটনার সূত্রপাত গত ৯ই সেপ্টেম্বর। সেদিন সন্ধ্যায় দেউপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের হাফেজ জোনায়েদ আল হাবিব যমুনা সেতু সংযোগ সড়কে একটি ট্রাকের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে পরে হাসপাতালে মারা যান। নিহতের পরিবার এ ঘটনায় ট্রাক বা সিএনজি চালক কারও বিরুদ্ধেই কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। নিহতের ভাইয়ের দাবি, ‘জানাযায় ট্রাকটির মালিকপক্ষ উপস্থিত থেকে ক্ষতিপূরণ দিতে চাইলেও আমরা তা নেইনি এবং থানায় কোনো অভিযোগ করিনি। এরপরও পুলিশ ট্রাকের মালিকের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে চাপ দিচ্ছে বলে আমরা শুনেছি। শুধু তাই নয়, ওই ঘটনায় সিএনজি চালকের কোনো দায় না থাকলেও তার কাছ থেকে পুলিশ দুই সর্বনিম্ন ক্যাশ আউট চার্জ এক্স
দফায় ৬৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছে!’ ভুক্তভোগী সিএনজি চালক, তার পরিবার ও এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, হাবিবের মৃত্যুর তিন দিন পর ১২ই সেপ্টেম্বর রাতে যমুনা সেতু পূর্ব থানার এসআই রাসেল মিয়া আরও দুই পুলিশ সদস্যসহ ওই চালকের বাড়িতে উপস্থিত হন। তারা সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ মারার ভয় দেখিয়ে চরম হুমকি, গালিগালাজ ও মারধরের চেষ্টা করেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘রাতে এসআই রাসেল আমাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায়। এসময় তিনি চালককে বের করে দেওয়ার জন্য নারী সদস্যদেরও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে নিরুপায় হয়েই আমরা পুলিশের সাথে ৭০ হাজার টাকায় চুক্তি করতে বাধ্য হয়েছি।’ তিনি জানান, পুলিশ প্রথমে নগদ ২৫ হাজার টাকাসহ অটোরিকশাটি থানায় নিয়ে যায়। পরের রাতে চালকের বাবা ও স্থানীয় একজন থানায় উপস্থিত হয়ে বাকি ৪৫ হাজার টাকা জমা দিলে, এসআই রাসেল ৫ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে অটোরিকশাটি ছাড়েন। ওই ইউপি সদস্য আরও বলেন, ‘হাসিনার আমলের সর্বনিম্ন ক্যাশ আউট চার্জ নগদ এক্স
বিস্তারিত আরো খবর


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধান নাজিরের বদলী নিয়ে চরম অসন্তোষ

টাঙ্গাইলে এসআইয়ের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৭:৪৬:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

টাঙ্গাইলে পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করে জোরপূর্বক টাকা আদায় এবং সেই টাকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অসংখ্য ভুক্তভোগীর মধ্যে টাঙ্গাইলের কালিহাতীর এক সিএনজি চালক ও তার পরিবার এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হলেও ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার শঙ্কায় মুখ খুলতে চাননি। ঘটনার সূত্রপাত গত ৯ই সেপ্টেম্বর। সেদিন সন্ধ্যায় দেউপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের হাফেজ জোনায়েদ আল হাবিব যমুনা সেতু সংযোগ সড়কে একটি ট্রাকের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে পরে হাসপাতালে মারা যান। নিহতের পরিবার এ ঘটনায় ট্রাক বা সিএনজি চালক কারও বিরুদ্ধেই কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। নিহতের ভাইয়ের দাবি, ‘জানাযায় ট্রাকটির মালিকপক্ষ উপস্থিত থেকে ক্ষতিপূরণ দিতে চাইলেও আমরা তা নেইনি এবং থানায় কোনো অভিযোগ করিনি। এরপরও পুলিশ ট্রাকের মালিকের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে চাপ দিচ্ছে বলে আমরা শুনেছি। শুধু তাই নয়, ওই ঘটনায় সিএনজি চালকের কোনো দায় না থাকলেও তার কাছ থেকে পুলিশ দুই সর্বনিম্ন ক্যাশ আউট চার্জ এক্স
দফায় ৬৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছে!’ ভুক্তভোগী সিএনজি চালক, তার পরিবার ও এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, হাবিবের মৃত্যুর তিন দিন পর ১২ই সেপ্টেম্বর রাতে যমুনা সেতু পূর্ব থানার এসআই রাসেল মিয়া আরও দুই পুলিশ সদস্যসহ ওই চালকের বাড়িতে উপস্থিত হন। তারা সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ মারার ভয় দেখিয়ে চরম হুমকি, গালিগালাজ ও মারধরের চেষ্টা করেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘রাতে এসআই রাসেল আমাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায়। এসময় তিনি চালককে বের করে দেওয়ার জন্য নারী সদস্যদেরও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে নিরুপায় হয়েই আমরা পুলিশের সাথে ৭০ হাজার টাকায় চুক্তি করতে বাধ্য হয়েছি।’ তিনি জানান, পুলিশ প্রথমে নগদ ২৫ হাজার টাকাসহ অটোরিকশাটি থানায় নিয়ে যায়। পরের রাতে চালকের বাবা ও স্থানীয় একজন থানায় উপস্থিত হয়ে বাকি ৪৫ হাজার টাকা জমা দিলে, এসআই রাসেল ৫ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে অটোরিকশাটি ছাড়েন। ওই ইউপি সদস্য আরও বলেন, ‘হাসিনার আমলের সর্বনিম্ন ক্যাশ আউট চার্জ নগদ এক্স
বিস্তারিত আরো খবর


প্রিন্ট