ঢাকা ০৮:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo টাঙ্গাইলে এসআইয়ের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ Logo টাঙ্গাইলে চাঁদা না পেয়ে হোটেল ভাংচুর ও অর্থ লুটের অভিযোগে মামলা Logo মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার জামাতা জারেড কুশনার Logo জুলাই সনদ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলের মাইলফলক: ইইউ রাষ্ট্রদূত Logo বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে Logo সাংবাদিকদের সঙ্গে মনোনয়ন প্রত্যাশী শফিকুল ইসলামের মতবিনিময় Logo জুলাই সনদকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে সংঘর্ষে চার মামলা, আসামি ৯০০ জন Logo প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন ছাড়াই গভর্নরসহ ৬ পদে নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি Logo জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করলেই ১৯ অক্টোবর থেকে সাইট ব্লক Logo যে কারণে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যায়নি এসসিপি, জানালেন আখতার

টাঙ্গাইলে এসআইয়ের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

টাঙ্গাইলে পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করে জোরপূর্বক টাকা আদায় এবং সেই টাকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অসংখ্য ভুক্তভোগীর মধ্যে টাঙ্গাইলের কালিহাতীর এক সিএনজি চালক ও তার পরিবার এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হলেও ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার শঙ্কায় মুখ খুলতে চাননি। ঘটনার সূত্রপাত গত ৯ই সেপ্টেম্বর। সেদিন সন্ধ্যায় দেউপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের হাফেজ জোনায়েদ আল হাবিব যমুনা সেতু সংযোগ সড়কে একটি ট্রাকের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে পরে হাসপাতালে মারা যান। নিহতের পরিবার এ ঘটনায় ট্রাক বা সিএনজি চালক কারও বিরুদ্ধেই কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। নিহতের ভাইয়ের দাবি, ‘জানাযায় ট্রাকটির মালিকপক্ষ উপস্থিত থেকে ক্ষতিপূরণ দিতে চাইলেও আমরা তা নেইনি এবং থানায় কোনো অভিযোগ করিনি। এরপরও পুলিশ ট্রাকের মালিকের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে চাপ দিচ্ছে বলে আমরা শুনেছি। শুধু তাই নয়, ওই ঘটনায় সিএনজি চালকের কোনো দায় না থাকলেও তার কাছ থেকে পুলিশ দুই সর্বনিম্ন ক্যাশ আউট চার্জ এক্স
দফায় ৬৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছে!’ ভুক্তভোগী সিএনজি চালক, তার পরিবার ও এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, হাবিবের মৃত্যুর তিন দিন পর ১২ই সেপ্টেম্বর রাতে যমুনা সেতু পূর্ব থানার এসআই রাসেল মিয়া আরও দুই পুলিশ সদস্যসহ ওই চালকের বাড়িতে উপস্থিত হন। তারা সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ মারার ভয় দেখিয়ে চরম হুমকি, গালিগালাজ ও মারধরের চেষ্টা করেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘রাতে এসআই রাসেল আমাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায়। এসময় তিনি চালককে বের করে দেওয়ার জন্য নারী সদস্যদেরও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে নিরুপায় হয়েই আমরা পুলিশের সাথে ৭০ হাজার টাকায় চুক্তি করতে বাধ্য হয়েছি।’ তিনি জানান, পুলিশ প্রথমে নগদ ২৫ হাজার টাকাসহ অটোরিকশাটি থানায় নিয়ে যায়। পরের রাতে চালকের বাবা ও স্থানীয় একজন থানায় উপস্থিত হয়ে বাকি ৪৫ হাজার টাকা জমা দিলে, এসআই রাসেল ৫ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে অটোরিকশাটি ছাড়েন। ওই ইউপি সদস্য আরও বলেন, ‘হাসিনার আমলের সর্বনিম্ন ক্যাশ আউট চার্জ নগদ এক্স
বিস্তারিত আরো খবর


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

টাঙ্গাইলে এসআইয়ের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

টাঙ্গাইলে এসআইয়ের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৭:৪৬:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

টাঙ্গাইলে পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করে জোরপূর্বক টাকা আদায় এবং সেই টাকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অসংখ্য ভুক্তভোগীর মধ্যে টাঙ্গাইলের কালিহাতীর এক সিএনজি চালক ও তার পরিবার এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হলেও ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার শঙ্কায় মুখ খুলতে চাননি। ঘটনার সূত্রপাত গত ৯ই সেপ্টেম্বর। সেদিন সন্ধ্যায় দেউপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের হাফেজ জোনায়েদ আল হাবিব যমুনা সেতু সংযোগ সড়কে একটি ট্রাকের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে পরে হাসপাতালে মারা যান। নিহতের পরিবার এ ঘটনায় ট্রাক বা সিএনজি চালক কারও বিরুদ্ধেই কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। নিহতের ভাইয়ের দাবি, ‘জানাযায় ট্রাকটির মালিকপক্ষ উপস্থিত থেকে ক্ষতিপূরণ দিতে চাইলেও আমরা তা নেইনি এবং থানায় কোনো অভিযোগ করিনি। এরপরও পুলিশ ট্রাকের মালিকের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে চাপ দিচ্ছে বলে আমরা শুনেছি। শুধু তাই নয়, ওই ঘটনায় সিএনজি চালকের কোনো দায় না থাকলেও তার কাছ থেকে পুলিশ দুই সর্বনিম্ন ক্যাশ আউট চার্জ এক্স
দফায় ৬৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছে!’ ভুক্তভোগী সিএনজি চালক, তার পরিবার ও এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, হাবিবের মৃত্যুর তিন দিন পর ১২ই সেপ্টেম্বর রাতে যমুনা সেতু পূর্ব থানার এসআই রাসেল মিয়া আরও দুই পুলিশ সদস্যসহ ওই চালকের বাড়িতে উপস্থিত হন। তারা সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ মারার ভয় দেখিয়ে চরম হুমকি, গালিগালাজ ও মারধরের চেষ্টা করেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘রাতে এসআই রাসেল আমাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায়। এসময় তিনি চালককে বের করে দেওয়ার জন্য নারী সদস্যদেরও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে নিরুপায় হয়েই আমরা পুলিশের সাথে ৭০ হাজার টাকায় চুক্তি করতে বাধ্য হয়েছি।’ তিনি জানান, পুলিশ প্রথমে নগদ ২৫ হাজার টাকাসহ অটোরিকশাটি থানায় নিয়ে যায়। পরের রাতে চালকের বাবা ও স্থানীয় একজন থানায় উপস্থিত হয়ে বাকি ৪৫ হাজার টাকা জমা দিলে, এসআই রাসেল ৫ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে অটোরিকশাটি ছাড়েন। ওই ইউপি সদস্য আরও বলেন, ‘হাসিনার আমলের সর্বনিম্ন ক্যাশ আউট চার্জ নগদ এক্স
বিস্তারিত আরো খবর


প্রিন্ট