টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের ক্ষুদিরামপুর বাইপাসে আব্দুর রহমান হোটেলে চাঁদা পেয়ে হোটেল ভাংচুর করে, অর্থ লুটসহ ম্যানেজার কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগে টাঙ্গাইল সদর থানায় এজাহার নামিয় ৪ জন ও ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত করে একটি মামলা দায়ের করেছেন হোটেলের ম্যানেজার মো: উজ্জ্বল।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর ৩ ঘটিকার সময় ক্ষুদিরামপুর বাইপাসে আব্দুর রহমান হোটেল ভাংচুর ও অর্থ লুটসহ মারধরের ঘটনা ঘটে।
মামলা সুত্রে জানাজায়, প্রায় ২/৩ মাস যাবৎ উক্ত বিবাদীগন আমাদের দোকানে আসিয়া চাঁদা দাবী করে। আমরা তাহাদের চাঁদা দিতে অস্বীকার করিলে তাহারা আমাদের দোকানের খাবার খেয়ে চলে যায়। টাকা চাইলে আমাকে সহ আমার দোকানের অন্যান্য কর্মচারীদেরকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও প্রান নাশের হুমকী প্রদান করে।এরই ধারাবাহিকতায় ১৭/১০/২০২৫ ইং তারিখ দুপুর অনুমান ০৩.০০ ঘটিকায় উল্লেখিত বিবাদীগন টাঙ্গাইল সদর থানাধীণ ক্ষুদিরামপুর বাইপাস সাকিনস্থ আব্দুর রহমান হোটেল” এর ভিতরে প্রবেশ করিয়া আমার নিকট ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা চাঁদা দাবী করে। আমি চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করিলে ১নং বিবাদী জানায় যে, এখানে ব্যবসা করতে হলে তাহাদেরকে চাঁদার টাকা দিতে হবে। তাহা না হলে দোকান বন্ধ করে চলে যাও বলিয়া হুমকী প্রদান করে। অতঃপর ২নং বিবাদী আমাদের দোকানের সাটার বন্ধ করার চেষ্টা করিলে আমি তাহাদের কাজে বাঁধা দেওয়া মাত্রই উল্লেখিত বিবাদীগন বে-আইনী জনতাবদ্ধে দেশীয় তৈরি অস্ত্র সস্ত্র দিয়া আমাকে এলোপাথারী ভাবে মারপিট করিতে থাকে। এসময় দোকানের ভিতরে থাকা অন্যান্য কর্মচারীগন আগাইয়া আসিলে তাহাদেরকে এলোপাথারী ভাবে কিল ঘুষি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। অতঃপর ১,২, ৩, ও ৪নং বিবাদীসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ বিবাদী লোহার রড ও হকিষ্টিক দিয়া আমাদের দোকানের সকল গ্লাস, চেয়ার, টেবিলসহ অন্যান্য আসবাবপত্র ভাংচুর করিয়া ক্ষতি সাধন করে। যাহার ক্ষতির পরিমান ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা এবং ১নং বিবাদী ক্যাশ বাক্সের তালা ভাঙ্গীয়া নগদ ১,৫৫,৪০০/- (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার চারশত) টাকা চুরি করিয়া নিয়া যায়।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি তানভির আহম্মেদ জানান করটিয়া ক্ষুদিরামপুর বাইপাসের আব্দুর রহমান হোটেলে যে চাঁদা না পেয়ে ভাংচুর ও অর্থলুটের ঘটনা ঘটেছে এ বিষয়ে একটা মামলা রুজু করা হয়েছে, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রিন্ট