ঢাকা ১২:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জুলাই যোদ্ধাদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা Logo সাড়ে ৪ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে বৃত্তি পরীক্ষা Logo মধুপুরে বন কর্মকর্তাকে টাকা এবং সুযোগ-সুবিধা দিলেই বন বিভাগের জায়গায় উঠানো যায় কয়েকতলা আলিশান ভবন! Logo কর্ণফুলী থানায় আইন শৃঙ্খলার অবনতি; বেড়েছে চুরি, ডাকাতি Logo রাকসু নির্বাচনের ২৩ পদের ২০টিতেই শিবিরের জয় Logo টেকনাফে হ্নীলা দুই পক্ষে দফায় দফায় গোলাগুলি, গ্রামজুড়ে আতঙ্ক Logo এনসিপির ‘বিচক্ষণতার অভাব’ আছে: মির্জা ফখরুল Logo চট্টগ্রাম সিইপিজেডে আল হামিদ টেক্সটাইল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড Logo পিআর নিয়ে গণভোটে অনড় জামায়াত, মানলেই জুলাই সনদে স্বাক্ষর Logo ৫ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও ইপিজেডের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি, ভেঙে পড়ছে দেয়াল

মধুপুরে বন কর্মকর্তাকে টাকা এবং সুযোগ-সুবিধা দিলেই বন বিভাগের জায়গায় উঠানো যায় কয়েকতলা আলিশান ভবন!

বন বিভাগের জায়গায় নতুন করে পাকা বাড়ি বা স্থাপনা উঠানো যাবে না তা কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা এবং নির্দেশনা দেওয়ার থাকলেও টাকা এবং বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিলে সব ধরনের কাজ করা সম্ভব বন বিভাগের জায়গায়।
এমনটাই করছে বন কর্মকর্তারা, সাইফুল ইসলাম তারই বাস্তব প্রমাণ মধুপুর উপজেলার ৩নং বেরিবাইদ ইউনিয়নের উত্তর জাঙ্গালিয়া গ্রামের লিলি মাংসাং উঠাচ্ছে ফাউন্ডেশন করে বহুতল আলিশান বাড়ি!

এ ব্যাপারে মধুপুরের চাড়ালজানীর বিট কর্মকর্তাকে ফোনে জানতে চাইলে বিট অফিসার মো: সাইফুল ইসলাম জানান – তারাতো আদিবাসী মানুষ কথাবার্তা শোনে না, ইত্যাদি বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

বিট অফিসারের সাথে কথা বলার পর পরই ঐই প্রান্ত থেকে মফিজ নামের সহকারী বন সংরক্ষক ফোনে সংবাদ কর্মীকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে বলেন – আপনি কোথায় আছেন, একটু যদি আসতেন চা খেতাম ইত্যাদি।
তার কিছুক্ষণ পরেই অবৈধভাবে বন বিভাগের জায়গায় ভবন নির্মাণকারী লিলি মাংসাং ফোন দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলেন এ প্রতিবেদককে !
এক্ষেত্রে বন কর্মকর্তার সাথে সখ্যতা বা যোগযোগ রয়েছে ভবন নির্মাণকারী লিলি মাংসাং এর।
এই বহুতল আলিশান বাড়ি নির্মাণে অবৈধ পন্থায় সরাসরি বিট কর্মকর্তার সাইফুলের যোগসাজশে হচ্ছে ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘরবাড়ি জায়গা জমির টাকাগুলো সংগ্রহ করে থাকে মো: আইনবী এবং হুমায়ুন গেন্দা নামের কমিউনিটি ফরেস্ট ওয়ার্কার (CFW)। আরো কয়েকজন তারা পূর্বে থেকেই কুখ্যাত বন খেকো ছিল আর এখন এইসব সহযোগিতা করে দেওয়ার কারণে তারাও শাল গজারি বন উজার করে বানিয়ে নিচ্ছে শত শত একর জমি!

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি জানান, এই আলিশান বাড়ি করতে কর্মকর্তা নিয়েছেন কয়েক লাখ টাকা, আর টাকা না দিলে সামান্য টিনের চালাও উঠানো যায় না, নতুন করে বারান্দা সংস্কার করলেও তাদেরকে টাকা দিতে হয় সেখানে বিলাসবহুল আলিশান বাড়ি উঠছে টাকা না দিলেই কি এইসব সম্ভব ?

চারালজানি বিটের রেঞ্জার সাইফুল ইসলাম এর বিষয়ে
একাধিক ভুক্তভোগী জানান, বন বিভাগের জায়গায় টাকা পেলেই রেঞ্জার সাইফুল ঘর ও আলিসান ভবন নির্মাণ করতে মৌখিক অনুমতি দিয়ে দেয়।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই যোদ্ধাদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

মধুপুরে বন কর্মকর্তাকে টাকা এবং সুযোগ-সুবিধা দিলেই বন বিভাগের জায়গায় উঠানো যায় কয়েকতলা আলিশান ভবন!

আপডেট সময় ০৬:১৬:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

বন বিভাগের জায়গায় নতুন করে পাকা বাড়ি বা স্থাপনা উঠানো যাবে না তা কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা এবং নির্দেশনা দেওয়ার থাকলেও টাকা এবং বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিলে সব ধরনের কাজ করা সম্ভব বন বিভাগের জায়গায়।
এমনটাই করছে বন কর্মকর্তারা, সাইফুল ইসলাম তারই বাস্তব প্রমাণ মধুপুর উপজেলার ৩নং বেরিবাইদ ইউনিয়নের উত্তর জাঙ্গালিয়া গ্রামের লিলি মাংসাং উঠাচ্ছে ফাউন্ডেশন করে বহুতল আলিশান বাড়ি!

এ ব্যাপারে মধুপুরের চাড়ালজানীর বিট কর্মকর্তাকে ফোনে জানতে চাইলে বিট অফিসার মো: সাইফুল ইসলাম জানান – তারাতো আদিবাসী মানুষ কথাবার্তা শোনে না, ইত্যাদি বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

বিট অফিসারের সাথে কথা বলার পর পরই ঐই প্রান্ত থেকে মফিজ নামের সহকারী বন সংরক্ষক ফোনে সংবাদ কর্মীকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে বলেন – আপনি কোথায় আছেন, একটু যদি আসতেন চা খেতাম ইত্যাদি।
তার কিছুক্ষণ পরেই অবৈধভাবে বন বিভাগের জায়গায় ভবন নির্মাণকারী লিলি মাংসাং ফোন দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলেন এ প্রতিবেদককে !
এক্ষেত্রে বন কর্মকর্তার সাথে সখ্যতা বা যোগযোগ রয়েছে ভবন নির্মাণকারী লিলি মাংসাং এর।
এই বহুতল আলিশান বাড়ি নির্মাণে অবৈধ পন্থায় সরাসরি বিট কর্মকর্তার সাইফুলের যোগসাজশে হচ্ছে ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘরবাড়ি জায়গা জমির টাকাগুলো সংগ্রহ করে থাকে মো: আইনবী এবং হুমায়ুন গেন্দা নামের কমিউনিটি ফরেস্ট ওয়ার্কার (CFW)। আরো কয়েকজন তারা পূর্বে থেকেই কুখ্যাত বন খেকো ছিল আর এখন এইসব সহযোগিতা করে দেওয়ার কারণে তারাও শাল গজারি বন উজার করে বানিয়ে নিচ্ছে শত শত একর জমি!

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি জানান, এই আলিশান বাড়ি করতে কর্মকর্তা নিয়েছেন কয়েক লাখ টাকা, আর টাকা না দিলে সামান্য টিনের চালাও উঠানো যায় না, নতুন করে বারান্দা সংস্কার করলেও তাদেরকে টাকা দিতে হয় সেখানে বিলাসবহুল আলিশান বাড়ি উঠছে টাকা না দিলেই কি এইসব সম্ভব ?

চারালজানি বিটের রেঞ্জার সাইফুল ইসলাম এর বিষয়ে
একাধিক ভুক্তভোগী জানান, বন বিভাগের জায়গায় টাকা পেলেই রেঞ্জার সাইফুল ঘর ও আলিসান ভবন নির্মাণ করতে মৌখিক অনুমতি দিয়ে দেয়।


প্রিন্ট