ঢাকা ১১:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জুলাই যোদ্ধাদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা Logo সাড়ে ৪ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে বৃত্তি পরীক্ষা Logo মধুপুরে বন কর্মকর্তাকে টাকা এবং সুযোগ-সুবিধা দিলেই বন বিভাগের জায়গায় উঠানো যায় কয়েকতলা আলিশান ভবন! Logo কর্ণফুলী থানায় আইন শৃঙ্খলার অবনতি; বেড়েছে চুরি, ডাকাতি Logo রাকসু নির্বাচনের ২৩ পদের ২০টিতেই শিবিরের জয় Logo টেকনাফে হ্নীলা দুই পক্ষে দফায় দফায় গোলাগুলি, গ্রামজুড়ে আতঙ্ক Logo এনসিপির ‘বিচক্ষণতার অভাব’ আছে: মির্জা ফখরুল Logo চট্টগ্রাম সিইপিজেডে আল হামিদ টেক্সটাইল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড Logo পিআর নিয়ে গণভোটে অনড় জামায়াত, মানলেই জুলাই সনদে স্বাক্ষর Logo ৫ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও ইপিজেডের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি, ভেঙে পড়ছে দেয়াল

টেকনাফে হ্নীলা দুই পক্ষে দফায় দফায় গোলাগুলি, গ্রামজুড়ে আতঙ্ক

কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ি সংলগ্ন এলাকা রঙিখালীতে কোনাপাড়া ও উলুচামারি দুই অস্ত্রধারী গ্রুপের মধ্যে আধিপত্যে বিস্তারের দ্বন্দ্বে দফায় দফায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে রাতভর থেমে থেমে গুলির শব্দে গ্রামজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বুধবার ( ১৫ অক্টোবর) রাত ১১ টার দিকে থেমে থেমে টানা ৩ ঘণ্টা টেকনাফের হ্নীলা রঙ্গিখালী কোনাপাড়া  উলুচামারি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা পাহাড়ি সংলগ্ন এলাকা রঙ্গিখালি, কোনাপাড়া ও উলুচামারিতে আধিপত্যের দ্বন্দ্বে নিয়ে সেখানকার একাধিক বন্দুকধারী, ডাকাত, মাদক কারবারি, অপহরণকারী বাহিনীরসহ দুর্বৃত্তদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এসব বিরোধকে কেন্দ্র করে এর আগে দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গ্রামবাসির মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। উলুচামারি বাসিন্দা মৃত কালা মিয়ার ছেলে লাশ জালালের নেতৃত্ব একটি গ্রুপ এবং একই গ্রামের হাজি রুহুল আমিনের ছেলে আনোয়ার হোসেন( ল্যাড়াইয়া ডাকাত)  ও তার বাহিনীর অন্যতম সদস্য আবুল কালামের ছেলে মিজানের  (ডাকাত) হাজি রুহুল আমিনের ছেলে টেংকু মিজান, দালাল( ডাকাত)  নেতৃত্বাধীন গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে।
আনুমানিক গোলাগুলি চলে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। লাশ জালাল ও আনোয়ার এবং মিজানদের এই অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে মাদক, অপহরণ, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে।
উলুচামারির বাসিন্দা রহমত উল্লাহ বলেন, বুধবার রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়লে হঠাৎ গুলির শব্দে রাত ১১ টার দিকে ঘুম ভেঙে যায়। মনে করছিলাম মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলি হচ্ছে। পরে খোঁজ নিয়ে দেখি, এলাকার দুই বন্দুকধারী বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি চলছে। রাতভর আনুমানিক উভয়ের মধ্যে ৩-৪ শতাধিক রাউন্ড গুলির ফায়ার হয়েছে। মানুষ খুব আতঙ্কে আছে।
উলুচামারির বাসিন্দা রহিমা খাতুন জানান, বুধবার রাতভর গোলাগুলির বিকট শব্দে ঘুমাতে পারেনি। ছেলে-মেয়েরা ভয়ে কাঁপছে। এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আমরা আতঙ্কে আছি।
উলুচামারির বাসিন্দা আবুল কালাম জানান, পাহাড় লাগোয়া হওয়ায় রঙিখালি ও উলুচামারি গ্রাম অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে। পাহাড়ি ডাকাত, অপহরণকারী ও মাদক কারবারিরা অপরাধের পর সহজেই পালিয়ে পাহাড়ে লুকিয়ে থাকে।
উখিয়া টেকনাফে সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাকিবুল হাসান বলেন, গোলাগুলির ঘটনাটা জেনেছি। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ। 


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই যোদ্ধাদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

টেকনাফে হ্নীলা দুই পক্ষে দফায় দফায় গোলাগুলি, গ্রামজুড়ে আতঙ্ক

আপডেট সময় ০৯:৪৮:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ি সংলগ্ন এলাকা রঙিখালীতে কোনাপাড়া ও উলুচামারি দুই অস্ত্রধারী গ্রুপের মধ্যে আধিপত্যে বিস্তারের দ্বন্দ্বে দফায় দফায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে রাতভর থেমে থেমে গুলির শব্দে গ্রামজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বুধবার ( ১৫ অক্টোবর) রাত ১১ টার দিকে থেমে থেমে টানা ৩ ঘণ্টা টেকনাফের হ্নীলা রঙ্গিখালী কোনাপাড়া  উলুচামারি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা পাহাড়ি সংলগ্ন এলাকা রঙ্গিখালি, কোনাপাড়া ও উলুচামারিতে আধিপত্যের দ্বন্দ্বে নিয়ে সেখানকার একাধিক বন্দুকধারী, ডাকাত, মাদক কারবারি, অপহরণকারী বাহিনীরসহ দুর্বৃত্তদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এসব বিরোধকে কেন্দ্র করে এর আগে দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গ্রামবাসির মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। উলুচামারি বাসিন্দা মৃত কালা মিয়ার ছেলে লাশ জালালের নেতৃত্ব একটি গ্রুপ এবং একই গ্রামের হাজি রুহুল আমিনের ছেলে আনোয়ার হোসেন( ল্যাড়াইয়া ডাকাত)  ও তার বাহিনীর অন্যতম সদস্য আবুল কালামের ছেলে মিজানের  (ডাকাত) হাজি রুহুল আমিনের ছেলে টেংকু মিজান, দালাল( ডাকাত)  নেতৃত্বাধীন গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে।
আনুমানিক গোলাগুলি চলে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। লাশ জালাল ও আনোয়ার এবং মিজানদের এই অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে মাদক, অপহরণ, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে।
উলুচামারির বাসিন্দা রহমত উল্লাহ বলেন, বুধবার রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়লে হঠাৎ গুলির শব্দে রাত ১১ টার দিকে ঘুম ভেঙে যায়। মনে করছিলাম মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলি হচ্ছে। পরে খোঁজ নিয়ে দেখি, এলাকার দুই বন্দুকধারী বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি চলছে। রাতভর আনুমানিক উভয়ের মধ্যে ৩-৪ শতাধিক রাউন্ড গুলির ফায়ার হয়েছে। মানুষ খুব আতঙ্কে আছে।
উলুচামারির বাসিন্দা রহিমা খাতুন জানান, বুধবার রাতভর গোলাগুলির বিকট শব্দে ঘুমাতে পারেনি। ছেলে-মেয়েরা ভয়ে কাঁপছে। এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আমরা আতঙ্কে আছি।
উলুচামারির বাসিন্দা আবুল কালাম জানান, পাহাড় লাগোয়া হওয়ায় রঙিখালি ও উলুচামারি গ্রাম অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে। পাহাড়ি ডাকাত, অপহরণকারী ও মাদক কারবারিরা অপরাধের পর সহজেই পালিয়ে পাহাড়ে লুকিয়ে থাকে।
উখিয়া টেকনাফে সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাকিবুল হাসান বলেন, গোলাগুলির ঘটনাটা জেনেছি। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ। 


প্রিন্ট