ঢাকা ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধান নাজিরের বদলী নিয়ে চরম অসন্তোষ Logo মহম্মদপুরে বিএনপি’র নির্বাচনী পথ সভা অনুষ্ঠিত Logo পীরগঞ্জে বিএনপির উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo দেশের ধন্যাঢ্য ব্যক্তিরাও প্রতারণার শিকার অনিক ও সোহেলের ভুয়া “প্রাচীন পিলার ও কয়েন” চক্র Logo দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই প্রায় অর্ধশত বদলি বানিজ্য পিএইচডি জালিয়াতি-বদলি বানিজ্য-ঠিকাদারি সিন্ডিকেটের মূলহোতা খালেকুজ্জামান চৌধুরী Logo কাচিঘাটা রেঞ্জে গাছকাটা সিন্ডিকেটের তাণ্ডব রাতে চার–পাঁচশ গাছ উজাড়—বন রক্ষাকারীরাই অভিযুক্ত!** স্থানীয়দের অভিযোগ: “৫ আগস্টের পর এলাকা একেবারে মগের মুল্লুক—বন কেটে লুটে খাচ্ছে সবাই Logo চীনে ট্রেন দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত Logo ১২ ঘণ্টায় দ্বিতীয়বার ভূমিকম্পে কাঁপল ইন্দোনেশিয়া Logo প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলা জয় ও পুতুলের ৫ বছরের কারাদণ্ড Logo তিন মামলায় হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ড

এনবিআরের আরও ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের দুর্নীতির অনুসন্ধান

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৫৫:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
  • ১৭১ ১৮৪৪.০০০ বার পড়া হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আরও পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এদের মধ্যে তিনজন এনবিআরের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন বলে জানা গেছে।

দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন মঙ্গলবার (১ জুলাই) সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে, গত রোববার এনবিআরের আরও ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একই ধরনের অনুসন্ধান শুরু করার কথা জানায় দুদক। তাদের মধ্যেও পাঁচজন ছিলেন ‘শাটডাউন’ কর্মসূচির মূল নেতৃত্বে।

নতুন করে দুর্নীতির তথ্যানুসন্ধানের মুখে পড়া পাঁচ কর্মকর্তা হলেন— এনবিআরের অতিরিক্ত কমিশনার ও এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সদস্য আব্দুল রশীদ মিয়া, এনবিআর সদস্য লুৎফুল আজীম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, উপ কর কমিশনার ও এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলাম, যুগ্ম কমিশনার ও এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সদস্য মো. তারেক হাছান।

দুদকে জমা দেওয়া একাধিক অভিযোগে বলা হয়েছে, এসব কর্মকর্তা কর ও শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রে বড় অঙ্কের ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে করদাতাদের কর ফাঁকির সুযোগ করে দিয়েছেন। অভিযোগে আরও বলা হয়, অনেক সময় ঘুষ না পেলে কর ফাঁকির মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিষ্ঠান মালিকদের হয়রানি করা হয়।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, কেউ কেউ নির্ধারিত করের চেয়ে বেশি অর্থ আগাম পরিশোধ করলেও তা ফেরত পেতে হয়রানির শিকার হন। কর ফেরতের প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ঘুষ বা উপহারের মাধ্যমে প্রভাবিত করতে হয়, যা একটি সুগঠিত দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে।

এছাড়া, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন স্টেশনে কর্মরত অবস্থায় এ কর্মকর্তারা ভ্যাট, আয়কর ও শুল্ক ফাঁকির সুযোগ দিয়ে, স্বজনপ্রীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে নিজেদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদও গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

দুদক জানিয়েছে, প্রাথমিক তথ্য যাচাই শেষে প্রয়োজনীয় প্রমাণ পাওয়া গেলে এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধান নাজিরের বদলী নিয়ে চরম অসন্তোষ

এনবিআরের আরও ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের দুর্নীতির অনুসন্ধান

আপডেট সময় ০৯:৫৫:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আরও পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এদের মধ্যে তিনজন এনবিআরের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন বলে জানা গেছে।

দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন মঙ্গলবার (১ জুলাই) সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে, গত রোববার এনবিআরের আরও ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একই ধরনের অনুসন্ধান শুরু করার কথা জানায় দুদক। তাদের মধ্যেও পাঁচজন ছিলেন ‘শাটডাউন’ কর্মসূচির মূল নেতৃত্বে।

নতুন করে দুর্নীতির তথ্যানুসন্ধানের মুখে পড়া পাঁচ কর্মকর্তা হলেন— এনবিআরের অতিরিক্ত কমিশনার ও এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সদস্য আব্দুল রশীদ মিয়া, এনবিআর সদস্য লুৎফুল আজীম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, উপ কর কমিশনার ও এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলাম, যুগ্ম কমিশনার ও এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সদস্য মো. তারেক হাছান।

দুদকে জমা দেওয়া একাধিক অভিযোগে বলা হয়েছে, এসব কর্মকর্তা কর ও শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রে বড় অঙ্কের ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে করদাতাদের কর ফাঁকির সুযোগ করে দিয়েছেন। অভিযোগে আরও বলা হয়, অনেক সময় ঘুষ না পেলে কর ফাঁকির মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিষ্ঠান মালিকদের হয়রানি করা হয়।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, কেউ কেউ নির্ধারিত করের চেয়ে বেশি অর্থ আগাম পরিশোধ করলেও তা ফেরত পেতে হয়রানির শিকার হন। কর ফেরতের প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ঘুষ বা উপহারের মাধ্যমে প্রভাবিত করতে হয়, যা একটি সুগঠিত দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে।

এছাড়া, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন স্টেশনে কর্মরত অবস্থায় এ কর্মকর্তারা ভ্যাট, আয়কর ও শুল্ক ফাঁকির সুযোগ দিয়ে, স্বজনপ্রীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে নিজেদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদও গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

দুদক জানিয়েছে, প্রাথমিক তথ্য যাচাই শেষে প্রয়োজনীয় প্রমাণ পাওয়া গেলে এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট