ঢাকা ০৩:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ Logo কিশোরগঞ্জে জেলার ভৈরবে একাধিক মাদক ও অস্ত্র মামলার জেল পলাতক আসামি গ্রেফতার Logo গাজায় ৩৫ দিনের শিশুর অনাহারে মৃত্যু, ইসরাইলি হামলায় নিহত আরও ১১৬ Logo ব্রিটেনে সম্পত্তির মালিকানা ছাড়ছেন হাসিনা-ঘনিষ্ঠ বাংলাদেশিরা Logo ভাঙ্গুড়ায় তিন বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা মধ্যরাতে সালিশি বৈঠকে অভিযুক্তকে চড়-থাপ্পড়ে ‘রফা’ Logo জামায়াত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির অসুস্থ, হাসপাতালে দেখতে গেলেন বিএনপি মহাসচিব Logo জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় নিয়ে উদ্বেগ, অন্তর্বর্তী সরকারের বার্তা Logo ২০১৬ নির্বাচনে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ওবামার বিচার দাবি তুলসির Logo জামায়াতের জাতীয় সমাবেশ শুরু Logo তিল ধারণের ঠাঁই নেই সোহরাওয়ার্দীতে, সমাবেশস্থলে পৌঁছেছেন জামায়াত আমির

এনবিআরের আরও ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের দুর্নীতির অনুসন্ধান

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৫৫:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
  • ৪৮ ১০.০০০ বার পড়া হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আরও পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এদের মধ্যে তিনজন এনবিআরের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন বলে জানা গেছে।

দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন মঙ্গলবার (১ জুলাই) সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে, গত রোববার এনবিআরের আরও ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একই ধরনের অনুসন্ধান শুরু করার কথা জানায় দুদক। তাদের মধ্যেও পাঁচজন ছিলেন ‘শাটডাউন’ কর্মসূচির মূল নেতৃত্বে।

নতুন করে দুর্নীতির তথ্যানুসন্ধানের মুখে পড়া পাঁচ কর্মকর্তা হলেন— এনবিআরের অতিরিক্ত কমিশনার ও এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সদস্য আব্দুল রশীদ মিয়া, এনবিআর সদস্য লুৎফুল আজীম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, উপ কর কমিশনার ও এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলাম, যুগ্ম কমিশনার ও এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সদস্য মো. তারেক হাছান।

দুদকে জমা দেওয়া একাধিক অভিযোগে বলা হয়েছে, এসব কর্মকর্তা কর ও শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রে বড় অঙ্কের ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে করদাতাদের কর ফাঁকির সুযোগ করে দিয়েছেন। অভিযোগে আরও বলা হয়, অনেক সময় ঘুষ না পেলে কর ফাঁকির মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিষ্ঠান মালিকদের হয়রানি করা হয়।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, কেউ কেউ নির্ধারিত করের চেয়ে বেশি অর্থ আগাম পরিশোধ করলেও তা ফেরত পেতে হয়রানির শিকার হন। কর ফেরতের প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ঘুষ বা উপহারের মাধ্যমে প্রভাবিত করতে হয়, যা একটি সুগঠিত দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে।

এছাড়া, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন স্টেশনে কর্মরত অবস্থায় এ কর্মকর্তারা ভ্যাট, আয়কর ও শুল্ক ফাঁকির সুযোগ দিয়ে, স্বজনপ্রীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে নিজেদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদও গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

দুদক জানিয়েছে, প্রাথমিক তথ্য যাচাই শেষে প্রয়োজনীয় প্রমাণ পাওয়া গেলে এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ

এনবিআরের আরও ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের দুর্নীতির অনুসন্ধান

আপডেট সময় ০৯:৫৫:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আরও পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এদের মধ্যে তিনজন এনবিআরের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন বলে জানা গেছে।

দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন মঙ্গলবার (১ জুলাই) সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে, গত রোববার এনবিআরের আরও ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একই ধরনের অনুসন্ধান শুরু করার কথা জানায় দুদক। তাদের মধ্যেও পাঁচজন ছিলেন ‘শাটডাউন’ কর্মসূচির মূল নেতৃত্বে।

নতুন করে দুর্নীতির তথ্যানুসন্ধানের মুখে পড়া পাঁচ কর্মকর্তা হলেন— এনবিআরের অতিরিক্ত কমিশনার ও এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সদস্য আব্দুল রশীদ মিয়া, এনবিআর সদস্য লুৎফুল আজীম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, উপ কর কমিশনার ও এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলাম, যুগ্ম কমিশনার ও এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সদস্য মো. তারেক হাছান।

দুদকে জমা দেওয়া একাধিক অভিযোগে বলা হয়েছে, এসব কর্মকর্তা কর ও শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রে বড় অঙ্কের ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে করদাতাদের কর ফাঁকির সুযোগ করে দিয়েছেন। অভিযোগে আরও বলা হয়, অনেক সময় ঘুষ না পেলে কর ফাঁকির মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিষ্ঠান মালিকদের হয়রানি করা হয়।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, কেউ কেউ নির্ধারিত করের চেয়ে বেশি অর্থ আগাম পরিশোধ করলেও তা ফেরত পেতে হয়রানির শিকার হন। কর ফেরতের প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ঘুষ বা উপহারের মাধ্যমে প্রভাবিত করতে হয়, যা একটি সুগঠিত দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে।

এছাড়া, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন স্টেশনে কর্মরত অবস্থায় এ কর্মকর্তারা ভ্যাট, আয়কর ও শুল্ক ফাঁকির সুযোগ দিয়ে, স্বজনপ্রীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে নিজেদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদও গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

দুদক জানিয়েছে, প্রাথমিক তথ্য যাচাই শেষে প্রয়োজনীয় প্রমাণ পাওয়া গেলে এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট