ঢাকা ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo হবিগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ডা: শাখায়াত হাসান জীবন আজমিরীগঞ্জ বানিয়াচংয়ে উচ্ছ্বাস Logo পটুয়াখালী-২ আসনে এনসিপি-জামায়াতে উচ্ছ্বাস, বিএনপিতে বিষাদ Logo ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন মাগুরা-২ আসনে ধানের শীষের কান্ডারী এ্যাড. নিতাই রায় চৌধুরী Logo ফরিদপুরে চেয়ারম্যানের শেল্টারে চায়না দুয়ারি জালের কারখানার রমরমা ব্যবসা, প্রশাসনের অভিযানে নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থা Logo রয়টার্সের প্রতিবেদন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সালিশের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে আদানি গ্রুপ Logo টানা কমছে দেশের রপ্তানি আয়, সামনে আরও কমার আশঙ্কা Logo বিএনপির ফাঁকা রাখা ৬৩ আসনে অগ্রাধিকার পাবেন যারা Logo আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারি জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে Logo আশুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ৬ দলিল লেখক বরখাস্ত Logo সাভারে ট্রলি ভ্যানের ব্রেক ফেল আয়ারল্যান্ডের ওপরে এসে গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ

২২ বছরে ১১ স্বামীকে খুন!

ফলো করুন

সম্পত্তির লোভে একে একে ২২ বছরে অন্তত ১১ জন স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে ইরানের এক নারী সিরিয়াল কিলারের বিরুদ্ধে। কুলসুম আকবরি নামে ৫৬ বছর বয়সি এই নারীকে দ্রুত মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশটির জনতা।

অভিযোগ অনুযায়ী, কুলসুম ২০০০ সাল থেকে পরিকল্পিতভাবে বৃদ্ধ ও বিত্তশালী অবিবাহিত বা বিপত্নীক পুরুষদের খুঁজে বের করতেন। তাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে বিয়ে করে, ভুলিয়ে-ভালিয়ে সম্পত্তি নিজের নামে লিখিয়ে নিতেন। এরপর বিষ, মাদক বা ভুল ওষুধ খাইয়ে ধীরে ধীরে অথবা হঠাৎ করেই তাদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতেন। ইরানে তাকে এখন ডাকা হচ্ছে ‘ব্ল্যাক উইডো’ নামে।

পুলিশের ধারণা, দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি অন্তত ১১ জন স্বামীকে হত্যা করেছেন, যদিও প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। একেকজনের মৃত্যু হৃদরোগ বা শারীরিক জটিলতা হিসেবে ধরা পড়ায় পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয়নি। মৃত্যুর পর কুলসুম কৌশলে সম্পত্তি দখল করতেন এবং নতুন শিকারের খোঁজে বেরিয়ে পড়তেন।

২০২৩ সালে শেষ স্বামী গোলামরেজা বাবাইয়ের রহস্যজনক মৃত্যুর পর বিষয়টি ফাঁস হয়। বাবাইয়ের ছেলে পুলিশে অভিযোগ করলে তদন্তে বেরিয়ে আসে কুলসুমের অতীত কুকীর্তি। এমনকি ২০২০ সালে বিষ খাইয়ে হত্যাচেষ্টা ব্যর্থ হওয়া এক স্বামীও বেঁচে গিয়ে পুলিশের কাছে ঘটনার বর্ণনা দেন।

গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে কুলসুম অপরাধ স্বীকার করেন এবং ইঙ্গিত দেন, নিহত স্বামীর সংখ্যা ১১-এর চেয়েও বেশি হতে পারে। এ ঘটনার পর ইরানের জনতা ও নিহতদের পরিবার দ্রুত ফাঁসির দাবি জানায়।

তবে আদালতে কুলসুমের আইনজীবীরা তার মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার আবেদন জানিয়েছেন, যা নিহতদের পরিবার দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের দাবি, কুলসুম ঠান্ডা মাথায়, সম্পূর্ণ সচেতন অবস্থায় এসব হত্যা করেছেন। মামলার রায় এখনো ঘোষণা হয়নি, তবে শিগগিরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হবিগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ডা: শাখায়াত হাসান জীবন আজমিরীগঞ্জ বানিয়াচংয়ে উচ্ছ্বাস

২২ বছরে ১১ স্বামীকে খুন!

আপডেট সময় ০৫:৩৮:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫

ফলো করুন

সম্পত্তির লোভে একে একে ২২ বছরে অন্তত ১১ জন স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে ইরানের এক নারী সিরিয়াল কিলারের বিরুদ্ধে। কুলসুম আকবরি নামে ৫৬ বছর বয়সি এই নারীকে দ্রুত মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশটির জনতা।

অভিযোগ অনুযায়ী, কুলসুম ২০০০ সাল থেকে পরিকল্পিতভাবে বৃদ্ধ ও বিত্তশালী অবিবাহিত বা বিপত্নীক পুরুষদের খুঁজে বের করতেন। তাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে বিয়ে করে, ভুলিয়ে-ভালিয়ে সম্পত্তি নিজের নামে লিখিয়ে নিতেন। এরপর বিষ, মাদক বা ভুল ওষুধ খাইয়ে ধীরে ধীরে অথবা হঠাৎ করেই তাদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতেন। ইরানে তাকে এখন ডাকা হচ্ছে ‘ব্ল্যাক উইডো’ নামে।

পুলিশের ধারণা, দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি অন্তত ১১ জন স্বামীকে হত্যা করেছেন, যদিও প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। একেকজনের মৃত্যু হৃদরোগ বা শারীরিক জটিলতা হিসেবে ধরা পড়ায় পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয়নি। মৃত্যুর পর কুলসুম কৌশলে সম্পত্তি দখল করতেন এবং নতুন শিকারের খোঁজে বেরিয়ে পড়তেন।

২০২৩ সালে শেষ স্বামী গোলামরেজা বাবাইয়ের রহস্যজনক মৃত্যুর পর বিষয়টি ফাঁস হয়। বাবাইয়ের ছেলে পুলিশে অভিযোগ করলে তদন্তে বেরিয়ে আসে কুলসুমের অতীত কুকীর্তি। এমনকি ২০২০ সালে বিষ খাইয়ে হত্যাচেষ্টা ব্যর্থ হওয়া এক স্বামীও বেঁচে গিয়ে পুলিশের কাছে ঘটনার বর্ণনা দেন।

গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে কুলসুম অপরাধ স্বীকার করেন এবং ইঙ্গিত দেন, নিহত স্বামীর সংখ্যা ১১-এর চেয়েও বেশি হতে পারে। এ ঘটনার পর ইরানের জনতা ও নিহতদের পরিবার দ্রুত ফাঁসির দাবি জানায়।

তবে আদালতে কুলসুমের আইনজীবীরা তার মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার আবেদন জানিয়েছেন, যা নিহতদের পরিবার দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের দাবি, কুলসুম ঠান্ডা মাথায়, সম্পূর্ণ সচেতন অবস্থায় এসব হত্যা করেছেন। মামলার রায় এখনো ঘোষণা হয়নি, তবে শিগগিরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


প্রিন্ট