ঢাকা ০৯:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সোনালী ব্যাংকের একাউন্ট হোল্ডসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে Logo রাজনৈতিক ঐক্য আরো সংহত করতে হবে সম্পাদকীয় Logo ক্রিকেটের উন্নতির চেয়ে ‘চেয়ার ধরে রাখায় ব্যস্ত ছিলেন’ ফারুক Logo কিশোরগঞ্জে জেলার ভৈরবে রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা Logo ছাড়া নির্বাচন হলে তা হবে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা: গোলাম পরওয়ার Logo আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর মামলা: চার্জ গঠন আদেশ ২১ আগস্ট Logo ২২ বছরে ১১ স্বামীকে খুন! Logo ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে : প্রধান উপদেষ্টা Logo আশুলিয়ায় একটি দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি: পুলিশ নিরব ভূমিকায় Logo একটি ব্যাংকের মোট ঋণের ৯৫ শতাংশই খেলাপি: অর্থ উপদেষ্টা

২২ বছরে ১১ স্বামীকে খুন!

ফলো করুন

সম্পত্তির লোভে একে একে ২২ বছরে অন্তত ১১ জন স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে ইরানের এক নারী সিরিয়াল কিলারের বিরুদ্ধে। কুলসুম আকবরি নামে ৫৬ বছর বয়সি এই নারীকে দ্রুত মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশটির জনতা।

অভিযোগ অনুযায়ী, কুলসুম ২০০০ সাল থেকে পরিকল্পিতভাবে বৃদ্ধ ও বিত্তশালী অবিবাহিত বা বিপত্নীক পুরুষদের খুঁজে বের করতেন। তাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে বিয়ে করে, ভুলিয়ে-ভালিয়ে সম্পত্তি নিজের নামে লিখিয়ে নিতেন। এরপর বিষ, মাদক বা ভুল ওষুধ খাইয়ে ধীরে ধীরে অথবা হঠাৎ করেই তাদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতেন। ইরানে তাকে এখন ডাকা হচ্ছে ‘ব্ল্যাক উইডো’ নামে।

পুলিশের ধারণা, দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি অন্তত ১১ জন স্বামীকে হত্যা করেছেন, যদিও প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। একেকজনের মৃত্যু হৃদরোগ বা শারীরিক জটিলতা হিসেবে ধরা পড়ায় পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয়নি। মৃত্যুর পর কুলসুম কৌশলে সম্পত্তি দখল করতেন এবং নতুন শিকারের খোঁজে বেরিয়ে পড়তেন।

২০২৩ সালে শেষ স্বামী গোলামরেজা বাবাইয়ের রহস্যজনক মৃত্যুর পর বিষয়টি ফাঁস হয়। বাবাইয়ের ছেলে পুলিশে অভিযোগ করলে তদন্তে বেরিয়ে আসে কুলসুমের অতীত কুকীর্তি। এমনকি ২০২০ সালে বিষ খাইয়ে হত্যাচেষ্টা ব্যর্থ হওয়া এক স্বামীও বেঁচে গিয়ে পুলিশের কাছে ঘটনার বর্ণনা দেন।

গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে কুলসুম অপরাধ স্বীকার করেন এবং ইঙ্গিত দেন, নিহত স্বামীর সংখ্যা ১১-এর চেয়েও বেশি হতে পারে। এ ঘটনার পর ইরানের জনতা ও নিহতদের পরিবার দ্রুত ফাঁসির দাবি জানায়।

তবে আদালতে কুলসুমের আইনজীবীরা তার মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার আবেদন জানিয়েছেন, যা নিহতদের পরিবার দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের দাবি, কুলসুম ঠান্ডা মাথায়, সম্পূর্ণ সচেতন অবস্থায় এসব হত্যা করেছেন। মামলার রায় এখনো ঘোষণা হয়নি, তবে শিগগিরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সোনালী ব্যাংকের একাউন্ট হোল্ডসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

২২ বছরে ১১ স্বামীকে খুন!

আপডেট সময় ০৫:৩৮:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫

ফলো করুন

সম্পত্তির লোভে একে একে ২২ বছরে অন্তত ১১ জন স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে ইরানের এক নারী সিরিয়াল কিলারের বিরুদ্ধে। কুলসুম আকবরি নামে ৫৬ বছর বয়সি এই নারীকে দ্রুত মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশটির জনতা।

অভিযোগ অনুযায়ী, কুলসুম ২০০০ সাল থেকে পরিকল্পিতভাবে বৃদ্ধ ও বিত্তশালী অবিবাহিত বা বিপত্নীক পুরুষদের খুঁজে বের করতেন। তাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে বিয়ে করে, ভুলিয়ে-ভালিয়ে সম্পত্তি নিজের নামে লিখিয়ে নিতেন। এরপর বিষ, মাদক বা ভুল ওষুধ খাইয়ে ধীরে ধীরে অথবা হঠাৎ করেই তাদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতেন। ইরানে তাকে এখন ডাকা হচ্ছে ‘ব্ল্যাক উইডো’ নামে।

পুলিশের ধারণা, দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি অন্তত ১১ জন স্বামীকে হত্যা করেছেন, যদিও প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। একেকজনের মৃত্যু হৃদরোগ বা শারীরিক জটিলতা হিসেবে ধরা পড়ায় পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয়নি। মৃত্যুর পর কুলসুম কৌশলে সম্পত্তি দখল করতেন এবং নতুন শিকারের খোঁজে বেরিয়ে পড়তেন।

২০২৩ সালে শেষ স্বামী গোলামরেজা বাবাইয়ের রহস্যজনক মৃত্যুর পর বিষয়টি ফাঁস হয়। বাবাইয়ের ছেলে পুলিশে অভিযোগ করলে তদন্তে বেরিয়ে আসে কুলসুমের অতীত কুকীর্তি। এমনকি ২০২০ সালে বিষ খাইয়ে হত্যাচেষ্টা ব্যর্থ হওয়া এক স্বামীও বেঁচে গিয়ে পুলিশের কাছে ঘটনার বর্ণনা দেন।

গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে কুলসুম অপরাধ স্বীকার করেন এবং ইঙ্গিত দেন, নিহত স্বামীর সংখ্যা ১১-এর চেয়েও বেশি হতে পারে। এ ঘটনার পর ইরানের জনতা ও নিহতদের পরিবার দ্রুত ফাঁসির দাবি জানায়।

তবে আদালতে কুলসুমের আইনজীবীরা তার মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার আবেদন জানিয়েছেন, যা নিহতদের পরিবার দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের দাবি, কুলসুম ঠান্ডা মাথায়, সম্পূর্ণ সচেতন অবস্থায় এসব হত্যা করেছেন। মামলার রায় এখনো ঘোষণা হয়নি, তবে শিগগিরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


প্রিন্ট