ঢাকা ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নাসিরনগরে পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস স্কিমের আওতায় কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ Logo রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান’ কোটায় প্লট নেন শেখ হাসিনার দপ্তরের ১৫ ড্রাইভার Logo ১৫ বছরে আওয়ামী সন্ত্রাসে নিহতদের তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার Logo জন অংশগ্রহণ ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতে মোংলায় ‘সামাজিক জবাবদিহিতা’ কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo সাংবাদিকের মৃত্যুতে সাভার প্রেসক্লাবের শোক Logo বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় ঢাকায় আসছে চীনের বিশেষজ্ঞ দল Logo সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক গ্রেপ্তার Logo বাংলাদেশ ব্যাংকে নির্ধারিত পোশাক ব্যবহারে নতুন নির্দেশনা জারি Logo ২৮৭ যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রামে ফিরে এলো বিমান ফলো করুন Logo নাসিরনগরে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান

শরণখোলার ১২ কিমি সড়ক পথ আটকে রেখেছে সম্ভাবনা

সুন্দরবনের পূর্বাঞ্চলে একের পর এক প্রাণবন্ত ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার গড়ে উঠলেও, এসব কেন্দ্রের প্রবেশদ্বার হয়ে ওঠা সড়কটি এখন দুর্ভোগের নাম। বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার আমরাগাছিয়া থেকে দক্ষিণ তালতলাবাড়ি পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার রাস্তা বছরের পর বছর ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এই সড়ক ঝুঁকিতে ফেলেছে হাজারো মানুষের জীবন ও জীবিকা—এবং আটকে দিয়েছে এখানকার পর্যটনের সম্ভাবনাও।

এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি স্থানীয় একাধিক গ্রামকে উপজেলা সদর রায়েন্দা এবং জেলা শহর বাগেরহাট ও বিভাগীয় শহর খুলনার সঙ্গে যুক্ত করেছে। এছাড়া, সুন্দরবনের আলীবান্দা ইকো ট্যুরিজম পার্ক, শরণখোলা রিভারভিউ পার্ক, এবং চাঁদপাই রেঞ্জের কটকা ও আন্দারমানিকের মতো বন বিভাগের জনপ্রিয় পর্যটন পয়েন্টগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র প্রধান সড়ক এটিই।

কিন্তু এই সড়কজুড়ে বড় বড় গর্ত, ডুবে থাকা কালভার্ট, ভেঙে পড়া পিচ, গাছ-লতায় আচ্ছাদিত পথ বর্ষায় কাদা আর পানিতে ডুবে যায়, আর শুকনো মৌসুমে ধুলোর ঝড় ওঠে। বছর বছর ধরে অবহেলিত এই রাস্তাটি এখন অনেক স্থানে চলাচলের অযোগ্য।

এলাকাবাসী, বন কর্মকর্তাসহ পর্যটক, জেলে, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী ও রোগীরা প্রতিদিন এই বিপজ্জনক পথ পাড়ি দিতে বাধ্য হচ্ছেন। যানবাহন মাঝপথে আটকে যায়, বিকল হয়। ফলে অনেকে কাঁধে করে মালামাল বহন করছেন, কেউবা হেঁটে চলেছেন কাদা ও পানির ভেতর দিয়ে।

দক্ষিণ তালতলাবাড়ি, বনসংলগ্ন ভোলা, আমরাগাছিয়া, মধ্য ও উত্তর সাউথখালী, গাবতলা, তালতলা ও রাজাপুর গ্রামের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এই সড়কের ওপর নির্ভর করেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ী হাসান আলী বলেন, “এই রাস্তায় একবার গাড়ি ঢুকলে আর বের হতে চায় না।” ব্যবসায়ী কামাল হোসেন জানান, “চাল, মাছ, তেল, চিংড়ি—সব এই সড়ক দিয়ে আনি। কিন্তু এত খারাপ রাস্তা যে কেউ মাল আনতেও চায় না।”

স্থানীয় জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “অনেক সময় গাড়ি ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকে। মাঝপথে জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যায়।”

বসবাসকারী আমেনা খাতুন বলেন, “স্কুলে পাঠানোই ভয় লাগে। রিকশা উল্টে গেলে বাচ্চারা ভিজে যায়, জামাকাপড় নষ্ট হয়, এমনকি আহতও হয়।”

তাঁরা বলেন, শুধু সাধারণ মানুষ নয়, এই রাস্তায় সুন্দরবনের পর্যটকরাও যাতায়াত করেন। আলীবান্দা, রিভারভিউ পার্ক, কটকা, আন্দারমানিক—এসব জায়গা এখন পর


প্রিন্ট
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নাসিরনগরে পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস স্কিমের আওতায় কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ

শরণখোলার ১২ কিমি সড়ক পথ আটকে রেখেছে সম্ভাবনা

আপডেট সময় ০৮:৫৮:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

সুন্দরবনের পূর্বাঞ্চলে একের পর এক প্রাণবন্ত ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার গড়ে উঠলেও, এসব কেন্দ্রের প্রবেশদ্বার হয়ে ওঠা সড়কটি এখন দুর্ভোগের নাম। বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার আমরাগাছিয়া থেকে দক্ষিণ তালতলাবাড়ি পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার রাস্তা বছরের পর বছর ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এই সড়ক ঝুঁকিতে ফেলেছে হাজারো মানুষের জীবন ও জীবিকা—এবং আটকে দিয়েছে এখানকার পর্যটনের সম্ভাবনাও।

এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি স্থানীয় একাধিক গ্রামকে উপজেলা সদর রায়েন্দা এবং জেলা শহর বাগেরহাট ও বিভাগীয় শহর খুলনার সঙ্গে যুক্ত করেছে। এছাড়া, সুন্দরবনের আলীবান্দা ইকো ট্যুরিজম পার্ক, শরণখোলা রিভারভিউ পার্ক, এবং চাঁদপাই রেঞ্জের কটকা ও আন্দারমানিকের মতো বন বিভাগের জনপ্রিয় পর্যটন পয়েন্টগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র প্রধান সড়ক এটিই।

কিন্তু এই সড়কজুড়ে বড় বড় গর্ত, ডুবে থাকা কালভার্ট, ভেঙে পড়া পিচ, গাছ-লতায় আচ্ছাদিত পথ বর্ষায় কাদা আর পানিতে ডুবে যায়, আর শুকনো মৌসুমে ধুলোর ঝড় ওঠে। বছর বছর ধরে অবহেলিত এই রাস্তাটি এখন অনেক স্থানে চলাচলের অযোগ্য।

এলাকাবাসী, বন কর্মকর্তাসহ পর্যটক, জেলে, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী ও রোগীরা প্রতিদিন এই বিপজ্জনক পথ পাড়ি দিতে বাধ্য হচ্ছেন। যানবাহন মাঝপথে আটকে যায়, বিকল হয়। ফলে অনেকে কাঁধে করে মালামাল বহন করছেন, কেউবা হেঁটে চলেছেন কাদা ও পানির ভেতর দিয়ে।

দক্ষিণ তালতলাবাড়ি, বনসংলগ্ন ভোলা, আমরাগাছিয়া, মধ্য ও উত্তর সাউথখালী, গাবতলা, তালতলা ও রাজাপুর গ্রামের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এই সড়কের ওপর নির্ভর করেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ী হাসান আলী বলেন, “এই রাস্তায় একবার গাড়ি ঢুকলে আর বের হতে চায় না।” ব্যবসায়ী কামাল হোসেন জানান, “চাল, মাছ, তেল, চিংড়ি—সব এই সড়ক দিয়ে আনি। কিন্তু এত খারাপ রাস্তা যে কেউ মাল আনতেও চায় না।”

স্থানীয় জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “অনেক সময় গাড়ি ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকে। মাঝপথে জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যায়।”

বসবাসকারী আমেনা খাতুন বলেন, “স্কুলে পাঠানোই ভয় লাগে। রিকশা উল্টে গেলে বাচ্চারা ভিজে যায়, জামাকাপড় নষ্ট হয়, এমনকি আহতও হয়।”

তাঁরা বলেন, শুধু সাধারণ মানুষ নয়, এই রাস্তায় সুন্দরবনের পর্যটকরাও যাতায়াত করেন। আলীবান্দা, রিভারভিউ পার্ক, কটকা, আন্দারমানিক—এসব জায়গা এখন পর


প্রিন্ট