ঢাকা ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কালিয়াকৈরে জমির পাওয়ার অফ এ্যাটর্নি দলিল জাল জালিয়াতির অভিযোগ Logo ভৈরব জেলা বাস্তবায়নের দাবীতে মানব বন্ধন Logo আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ-আল্লামা মামুনুল হক। Logo ভাঙ্গুড়ায় তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার প্রদর্শনী, নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস Logo ইলিশ রক্ষায় ব্যার্থ মৎস অধিদপ্তর সাংবাদিক দেখে দৌড়ে পালালেন ইলিশ বোঝায় ট্রলার Logo সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে নাগরিক প্লাটফর্ম ও যুব ফোরামের পরামর্শ সভা Logo মিরপুরে গার্মেন্টস ও কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন Logo মার্চ টু সচিবালয়’ এ অংশ নিতে শহীদ মিনারে শিক্ষকদের ঢল Logo রাজধানীতে জামায়াতসহ সাত দলের মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু Logo আমরা কারাগারে নয়, ছিলাম এক কসাইখানায়

কালিয়াকৈরে জমির পাওয়ার অফ এ্যাটর্নি দলিল জাল জালিয়াতির অভিযোগ

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার ঢালজোড়া এলাকার মবেদ আলীর ছেলে তাইজুল ইসলামের বিরুদ্ধে। বড়ইতলী এলাকার মৃত আব্দুল খালেক মিয়ার ছেলে শাহফুল আলম( ৪১) কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমার পিতা আব্দুল খালেক মৃত্যুকালে এক স্ত্রী, চার ছেলে ও দুই মেয়ে ওয়ারিশাণ রাখিয়া মৃত্যুবরণ করিলে তাহার ত্যাজ্যবৃত্ত সম্পত্তি আমরা পিতার ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হয়ে ভোগ দখল করিয়া আসিতেছে। আমার নিকটতম পরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমে তাইজুল ইসলাম পিতা-মবেদ আলী, সাং-ঢালজোড়া, কালিয়াকৈর, গাজীপুর, বিগত ২১/০৪/২০১৯ ইং তারিখে তিন মাস মেয়াদের মধ্যে আমাদের জমির সর্বোচ্চ বিক্রিত মূল্য আমাদের হাতে বুঝিয়া দিবে এবং তিন মাসের মধ্যে বিক্রি করিতে না পারিলে, জমি আমাদের নামে ফেরত দিবে, এই মর্মে মৌখিক অঙ্গীকার করিয়া ২১/০৪/২০১৯ইং তারিখে পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি দলিল গ্রহীতা আমিনুল ইসলামের সহী সম্পাদন ছাড়াই কমিশনে দলিল সম্পন্ন করে। যাহা পাওয়ার অফ এ্যাটর্নির ক্ষেত্রে দাতা ও গ্রহীতা উভয় পক্ষগণের উপস্থিত হয়ে ওই দলিলে ও সাব রেজিস্ট্রার অফিসের সাক্ষরিত বহিতে স্বাক্ষর ও টিপ সহি বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছেন, যদি দাতাগণ অথবা গ্রহীতাদের কেউ এই সময় নিজ হাতে সাক্ষর/টিপ সহি না দেই তাহলে জালিয়াতি বলে গণ্য হবে এবং ওই দাতা অথবা গ্রহীতার অংশ দলিলে বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে বলে স্থানীয় একাধিক দলিল লেখক ও আইনজীবী।
আমরা জমিজমা ও দলিল সংক্রান্ত বিষয়ে না বুঝার কারণে উক্ত পাওয়ার অফ অ্যাটর্নিতে সহি সম্পন্ন করি। মৌখিক মেয়াদ তিন মাস চলিয়া যাওয়ার পরেও তাহার সাথে যোগাযোগ করিলে বিভিন্ন রকমের তালবাহানা করে। এভাবেই ৪-৫ বছর অতিবাহিত হয়। আমরা একপর্যায়ে একাধিক আইনজীবী ও দলিল লেখকদের সাথে পরামর্শ করে জানতে পারি পাওয়ার অফ এ্যাটর্নি দলিল করতে গেলে দাতা গ্রহিতা উভয় উপস্থিত থাকিয়া সহি সম্পন্ন করতে হয়। উভয় পক্ষের কেহ অনুপস্থিত থাকলে তা জালিয়াতি বলে গণ্য হয় । এরই মধ্যে আমার মা বার্ধক্য জনিত কারণে মারা যান ।আইন অনুযায়ী মৃত ব্যক্তির পাওয়ার বাতিল হয়।

এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, তাইজুল ইসলাম একজন প্রতারক, ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজ সে দীর্ঘদিন ধরে অনেকের সাথে এই প্রতারণা করিয়া আসিতেছে। ইতিমধ্যে তাইজুল ইসলামের এলাকার একটি মসজিদের কমিটি নিয়ে ব্যাপক ক্ষমতা দেখিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করে রেখেছেন। কিন্তু ভয়ে মানুষ কিছু বলতে সাহস পায় না।

মোঃ শাহফুল আলম আবারো বলেন, প্রতারক তাইজুল ও তার সঙ্গীদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমি ১৩/১০/২০২৫ইং তারিখে কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটা লিখিত অভিযোগ করি । উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ১৪/১০/২০২৫ইং তারিখে আলোচনায় বসলে তাইজুল ইসলাম ও তাদের চক্রের যে প্রতারণা সেটা প্রমাণ হয়। এও প্রমাণ হয় যে জালিয়াতি করে পাওয়ার অফ এ্যাটর্নি করে, যাহা আইন অনুযায়ী বাতিল বলিয়া গণ্য। পরে ইউএনও মহোদয় ওই জালিয়াতি প্রমাণ হওয়া পাওয়ার অফ এ্যাটর্নি আইন অনুযায়ী সাব রেজিস্ট্রার অফিসে দাতাদের গিয়ে বাতিল করার জন্য বলে দেন। এতে আমরা জমির মালিকরা অনেকটাই স্বস্তি বোধ করি।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কালিয়াকৈরে জমির পাওয়ার অফ এ্যাটর্নি দলিল জাল জালিয়াতির অভিযোগ

কালিয়াকৈরে জমির পাওয়ার অফ এ্যাটর্নি দলিল জাল জালিয়াতির অভিযোগ

আপডেট সময় ১২:৩১:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার ঢালজোড়া এলাকার মবেদ আলীর ছেলে তাইজুল ইসলামের বিরুদ্ধে। বড়ইতলী এলাকার মৃত আব্দুল খালেক মিয়ার ছেলে শাহফুল আলম( ৪১) কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমার পিতা আব্দুল খালেক মৃত্যুকালে এক স্ত্রী, চার ছেলে ও দুই মেয়ে ওয়ারিশাণ রাখিয়া মৃত্যুবরণ করিলে তাহার ত্যাজ্যবৃত্ত সম্পত্তি আমরা পিতার ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হয়ে ভোগ দখল করিয়া আসিতেছে। আমার নিকটতম পরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমে তাইজুল ইসলাম পিতা-মবেদ আলী, সাং-ঢালজোড়া, কালিয়াকৈর, গাজীপুর, বিগত ২১/০৪/২০১৯ ইং তারিখে তিন মাস মেয়াদের মধ্যে আমাদের জমির সর্বোচ্চ বিক্রিত মূল্য আমাদের হাতে বুঝিয়া দিবে এবং তিন মাসের মধ্যে বিক্রি করিতে না পারিলে, জমি আমাদের নামে ফেরত দিবে, এই মর্মে মৌখিক অঙ্গীকার করিয়া ২১/০৪/২০১৯ইং তারিখে পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি দলিল গ্রহীতা আমিনুল ইসলামের সহী সম্পাদন ছাড়াই কমিশনে দলিল সম্পন্ন করে। যাহা পাওয়ার অফ এ্যাটর্নির ক্ষেত্রে দাতা ও গ্রহীতা উভয় পক্ষগণের উপস্থিত হয়ে ওই দলিলে ও সাব রেজিস্ট্রার অফিসের সাক্ষরিত বহিতে স্বাক্ষর ও টিপ সহি বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছেন, যদি দাতাগণ অথবা গ্রহীতাদের কেউ এই সময় নিজ হাতে সাক্ষর/টিপ সহি না দেই তাহলে জালিয়াতি বলে গণ্য হবে এবং ওই দাতা অথবা গ্রহীতার অংশ দলিলে বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে বলে স্থানীয় একাধিক দলিল লেখক ও আইনজীবী।
আমরা জমিজমা ও দলিল সংক্রান্ত বিষয়ে না বুঝার কারণে উক্ত পাওয়ার অফ অ্যাটর্নিতে সহি সম্পন্ন করি। মৌখিক মেয়াদ তিন মাস চলিয়া যাওয়ার পরেও তাহার সাথে যোগাযোগ করিলে বিভিন্ন রকমের তালবাহানা করে। এভাবেই ৪-৫ বছর অতিবাহিত হয়। আমরা একপর্যায়ে একাধিক আইনজীবী ও দলিল লেখকদের সাথে পরামর্শ করে জানতে পারি পাওয়ার অফ এ্যাটর্নি দলিল করতে গেলে দাতা গ্রহিতা উভয় উপস্থিত থাকিয়া সহি সম্পন্ন করতে হয়। উভয় পক্ষের কেহ অনুপস্থিত থাকলে তা জালিয়াতি বলে গণ্য হয় । এরই মধ্যে আমার মা বার্ধক্য জনিত কারণে মারা যান ।আইন অনুযায়ী মৃত ব্যক্তির পাওয়ার বাতিল হয়।

এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, তাইজুল ইসলাম একজন প্রতারক, ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজ সে দীর্ঘদিন ধরে অনেকের সাথে এই প্রতারণা করিয়া আসিতেছে। ইতিমধ্যে তাইজুল ইসলামের এলাকার একটি মসজিদের কমিটি নিয়ে ব্যাপক ক্ষমতা দেখিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করে রেখেছেন। কিন্তু ভয়ে মানুষ কিছু বলতে সাহস পায় না।

মোঃ শাহফুল আলম আবারো বলেন, প্রতারক তাইজুল ও তার সঙ্গীদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমি ১৩/১০/২০২৫ইং তারিখে কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটা লিখিত অভিযোগ করি । উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ১৪/১০/২০২৫ইং তারিখে আলোচনায় বসলে তাইজুল ইসলাম ও তাদের চক্রের যে প্রতারণা সেটা প্রমাণ হয়। এও প্রমাণ হয় যে জালিয়াতি করে পাওয়ার অফ এ্যাটর্নি করে, যাহা আইন অনুযায়ী বাতিল বলিয়া গণ্য। পরে ইউএনও মহোদয় ওই জালিয়াতি প্রমাণ হওয়া পাওয়ার অফ এ্যাটর্নি আইন অনুযায়ী সাব রেজিস্ট্রার অফিসে দাতাদের গিয়ে বাতিল করার জন্য বলে দেন। এতে আমরা জমির মালিকরা অনেকটাই স্বস্তি বোধ করি।


প্রিন্ট