ঢাকা ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ভাঙ্গুড়ায় তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার প্রদর্শনী, নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস Logo ইলিশ রক্ষায় ব্যার্থ মৎস অধিদপ্তর সাংবাদিক দেখে দৌড়ে পালালেন ইলিশ বোঝায় ট্রলার Logo সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে নাগরিক প্লাটফর্ম ও যুব ফোরামের পরামর্শ সভা Logo মিরপুরে গার্মেন্টস ও কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন Logo মার্চ টু সচিবালয়’ এ অংশ নিতে শহীদ মিনারে শিক্ষকদের ঢল Logo রাজধানীতে জামায়াতসহ সাত দলের মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু Logo আমরা কারাগারে নয়, ছিলাম এক কসাইখানায় Logo হয়রানি নিরসনে চালু হচ্ছে অনলাইন জামিননামা: আইন উপদেষ্টা Logo আশুলিয়ায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা চেষ্টা মামলায় শ্রমিক নেতা গ্রেপ্তার Logo কালিয়াকৈরে প্রতারণা করে জমির মালিক হওয়ার চেষ্টা: প্রতারক থেকে জমি রক্ষা করতে ইউএনও’র নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের মালিকদের

ইলিশ রক্ষায় ব্যার্থ মৎস অধিদপ্তর সাংবাদিক দেখে দৌড়ে পালালেন ইলিশ বোঝায় ট্রলার

সারা দেশে মা ইলিশ নিধনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় দেদারছে চলছে মা ইলিশ নিধন।
গতকাল মঙ্গলবার মধুমতি নদীতে একঝাক সাংবাদিক গেলে প্রত্যক্ষভাবে মাছ ধরার দৃশ্য চোখে পড়ে । এসময় সাংবাদিকদের দেখে মাছ শিকারীরা তড়িঘড়ি করে নৌকা নিয়ে পালিয়ে যায় । এদিকে স্থানীয় প্রশাসন ও মৎস বিভাগ অনেকটা নাকে তেল দিয়ে ঘুমানোর মত অবস্থা পরিলক্ষিত হয়।
মহম্মদপুর উপজেলা মৎস অধিদপ্তর ও প্রশাসনের চরম অবহেলা আর গাফিলতির কারনে উল্লেখযোগ্য কোন অভিযান না থাকায় উপজেলার মধুমতি নদীর ঝামা, দেউলী, বাবুখালী, শিরগ্রাম, পাচুড়িয়া , দাতিয়াদহসহ বেশ কয়েকটি স্থানে দেদারছে চলছে মা ইলিশ নিধন। মধুমতি নদীর বুকে দিন-রাত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইলিশ ম্ছা ধরার নৌকা। সারারাত মাছ ধরার পর বাবুখালী সহ বেশ কয়েকটি স্থানে নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন ঘাটে মাছ বিক্রয়ের হাট বসেছে নিয়মিত । সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকটি ইলিশ বোঝাই ট্রলারকে দৌড়ে পালাতে দেখা যায়। এছাড়া মৎস বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের চরম গাফিলতির কারনে মহম্মদপুর বাজারেও প্রকাশ্যে ইলিশ বিক্রয় করতে দেখা যায় বলে জানান স্থানীয় সচেতন মহল।
রোববার , সোমবার ও মঙ্গলবার ভোর ৪ টার দিকে সরেজমিনে বাবুখালী শীরগ্রামসহ কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা যায় বেশ কয়েকটি নৌকা নিয়ে মধুমতি নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই মাছ ধরছেন মাঝিরা। এসময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে সারারাত ইলিশ মাছ ধরার ট্রলারগুলো দ্রæত পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, নিষেধাজ্ঞার বেশ কয়েকদিন পার হলেও মহম্মদপুর উপজেলা মৎস অধিদপ্তর ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে মধূমতি নদীতে কোন অভিযানই পরিচালনা করা হয়নি। মৎস অধিদপ্তর ও প্রশাসনের কোন লোকজনের উপস্থিতি না থাকায় বেপরোয়াভাবে দিনরাতে সমানে চলছে মা ইলিশ নিধন। এতে করে সরকারের মহৎ উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে ।
মহম্মদপুর উপজেলা মৎস কর্মকর্তা (অ: দা:) ফেরদৌসি আক্তার বলেন, আমরা ইতিমধ্যে কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করেছি এবং বিভিন্নভাবে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর পরেও যদি কেহ মাছ ধরে তাহলে তাকে আইনের আওত্য়া আনা হবে।
মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহীনুর আক্তারের সাথে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভাঙ্গুড়ায় তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার প্রদর্শনী, নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস

ইলিশ রক্ষায় ব্যার্থ মৎস অধিদপ্তর সাংবাদিক দেখে দৌড়ে পালালেন ইলিশ বোঝায় ট্রলার

আপডেট সময় ০২:৫৫:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

সারা দেশে মা ইলিশ নিধনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় দেদারছে চলছে মা ইলিশ নিধন।
গতকাল মঙ্গলবার মধুমতি নদীতে একঝাক সাংবাদিক গেলে প্রত্যক্ষভাবে মাছ ধরার দৃশ্য চোখে পড়ে । এসময় সাংবাদিকদের দেখে মাছ শিকারীরা তড়িঘড়ি করে নৌকা নিয়ে পালিয়ে যায় । এদিকে স্থানীয় প্রশাসন ও মৎস বিভাগ অনেকটা নাকে তেল দিয়ে ঘুমানোর মত অবস্থা পরিলক্ষিত হয়।
মহম্মদপুর উপজেলা মৎস অধিদপ্তর ও প্রশাসনের চরম অবহেলা আর গাফিলতির কারনে উল্লেখযোগ্য কোন অভিযান না থাকায় উপজেলার মধুমতি নদীর ঝামা, দেউলী, বাবুখালী, শিরগ্রাম, পাচুড়িয়া , দাতিয়াদহসহ বেশ কয়েকটি স্থানে দেদারছে চলছে মা ইলিশ নিধন। মধুমতি নদীর বুকে দিন-রাত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইলিশ ম্ছা ধরার নৌকা। সারারাত মাছ ধরার পর বাবুখালী সহ বেশ কয়েকটি স্থানে নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন ঘাটে মাছ বিক্রয়ের হাট বসেছে নিয়মিত । সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকটি ইলিশ বোঝাই ট্রলারকে দৌড়ে পালাতে দেখা যায়। এছাড়া মৎস বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের চরম গাফিলতির কারনে মহম্মদপুর বাজারেও প্রকাশ্যে ইলিশ বিক্রয় করতে দেখা যায় বলে জানান স্থানীয় সচেতন মহল।
রোববার , সোমবার ও মঙ্গলবার ভোর ৪ টার দিকে সরেজমিনে বাবুখালী শীরগ্রামসহ কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা যায় বেশ কয়েকটি নৌকা নিয়ে মধুমতি নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই মাছ ধরছেন মাঝিরা। এসময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে সারারাত ইলিশ মাছ ধরার ট্রলারগুলো দ্রæত পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, নিষেধাজ্ঞার বেশ কয়েকদিন পার হলেও মহম্মদপুর উপজেলা মৎস অধিদপ্তর ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে মধূমতি নদীতে কোন অভিযানই পরিচালনা করা হয়নি। মৎস অধিদপ্তর ও প্রশাসনের কোন লোকজনের উপস্থিতি না থাকায় বেপরোয়াভাবে দিনরাতে সমানে চলছে মা ইলিশ নিধন। এতে করে সরকারের মহৎ উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে ।
মহম্মদপুর উপজেলা মৎস কর্মকর্তা (অ: দা:) ফেরদৌসি আক্তার বলেন, আমরা ইতিমধ্যে কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করেছি এবং বিভিন্নভাবে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর পরেও যদি কেহ মাছ ধরে তাহলে তাকে আইনের আওত্য়া আনা হবে।
মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহীনুর আক্তারের সাথে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।


প্রিন্ট