ঢাকা ০৭:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধান নাজিরের বদলী নিয়ে চরম অসন্তোষ Logo মহম্মদপুরে বিএনপি’র নির্বাচনী পথ সভা অনুষ্ঠিত Logo পীরগঞ্জে বিএনপির উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo দেশের ধন্যাঢ্য ব্যক্তিরাও প্রতারণার শিকার অনিক ও সোহেলের ভুয়া “প্রাচীন পিলার ও কয়েন” চক্র Logo দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই প্রায় অর্ধশত বদলি বানিজ্য পিএইচডি জালিয়াতি-বদলি বানিজ্য-ঠিকাদারি সিন্ডিকেটের মূলহোতা খালেকুজ্জামান চৌধুরী Logo কাচিঘাটা রেঞ্জে গাছকাটা সিন্ডিকেটের তাণ্ডব রাতে চার–পাঁচশ গাছ উজাড়—বন রক্ষাকারীরাই অভিযুক্ত!** স্থানীয়দের অভিযোগ: “৫ আগস্টের পর এলাকা একেবারে মগের মুল্লুক—বন কেটে লুটে খাচ্ছে সবাই Logo চীনে ট্রেন দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত Logo ১২ ঘণ্টায় দ্বিতীয়বার ভূমিকম্পে কাঁপল ইন্দোনেশিয়া Logo প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলা জয় ও পুতুলের ৫ বছরের কারাদণ্ড Logo তিন মামলায় হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ড

ইলিশ রক্ষায় ব্যার্থ মৎস অধিদপ্তর সাংবাদিক দেখে দৌড়ে পালালেন ইলিশ বোঝায় ট্রলার

সারা দেশে মা ইলিশ নিধনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় দেদারছে চলছে মা ইলিশ নিধন।
গতকাল মঙ্গলবার মধুমতি নদীতে একঝাক সাংবাদিক গেলে প্রত্যক্ষভাবে মাছ ধরার দৃশ্য চোখে পড়ে । এসময় সাংবাদিকদের দেখে মাছ শিকারীরা তড়িঘড়ি করে নৌকা নিয়ে পালিয়ে যায় । এদিকে স্থানীয় প্রশাসন ও মৎস বিভাগ অনেকটা নাকে তেল দিয়ে ঘুমানোর মত অবস্থা পরিলক্ষিত হয়।
মহম্মদপুর উপজেলা মৎস অধিদপ্তর ও প্রশাসনের চরম অবহেলা আর গাফিলতির কারনে উল্লেখযোগ্য কোন অভিযান না থাকায় উপজেলার মধুমতি নদীর ঝামা, দেউলী, বাবুখালী, শিরগ্রাম, পাচুড়িয়া , দাতিয়াদহসহ বেশ কয়েকটি স্থানে দেদারছে চলছে মা ইলিশ নিধন। মধুমতি নদীর বুকে দিন-রাত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইলিশ ম্ছা ধরার নৌকা। সারারাত মাছ ধরার পর বাবুখালী সহ বেশ কয়েকটি স্থানে নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন ঘাটে মাছ বিক্রয়ের হাট বসেছে নিয়মিত । সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকটি ইলিশ বোঝাই ট্রলারকে দৌড়ে পালাতে দেখা যায়। এছাড়া মৎস বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের চরম গাফিলতির কারনে মহম্মদপুর বাজারেও প্রকাশ্যে ইলিশ বিক্রয় করতে দেখা যায় বলে জানান স্থানীয় সচেতন মহল।
রোববার , সোমবার ও মঙ্গলবার ভোর ৪ টার দিকে সরেজমিনে বাবুখালী শীরগ্রামসহ কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা যায় বেশ কয়েকটি নৌকা নিয়ে মধুমতি নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই মাছ ধরছেন মাঝিরা। এসময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে সারারাত ইলিশ মাছ ধরার ট্রলারগুলো দ্রæত পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, নিষেধাজ্ঞার বেশ কয়েকদিন পার হলেও মহম্মদপুর উপজেলা মৎস অধিদপ্তর ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে মধূমতি নদীতে কোন অভিযানই পরিচালনা করা হয়নি। মৎস অধিদপ্তর ও প্রশাসনের কোন লোকজনের উপস্থিতি না থাকায় বেপরোয়াভাবে দিনরাতে সমানে চলছে মা ইলিশ নিধন। এতে করে সরকারের মহৎ উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে ।
মহম্মদপুর উপজেলা মৎস কর্মকর্তা (অ: দা:) ফেরদৌসি আক্তার বলেন, আমরা ইতিমধ্যে কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করেছি এবং বিভিন্নভাবে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর পরেও যদি কেহ মাছ ধরে তাহলে তাকে আইনের আওত্য়া আনা হবে।
মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহীনুর আক্তারের সাথে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধান নাজিরের বদলী নিয়ে চরম অসন্তোষ

ইলিশ রক্ষায় ব্যার্থ মৎস অধিদপ্তর সাংবাদিক দেখে দৌড়ে পালালেন ইলিশ বোঝায় ট্রলার

আপডেট সময় ০২:৫৫:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

সারা দেশে মা ইলিশ নিধনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় দেদারছে চলছে মা ইলিশ নিধন।
গতকাল মঙ্গলবার মধুমতি নদীতে একঝাক সাংবাদিক গেলে প্রত্যক্ষভাবে মাছ ধরার দৃশ্য চোখে পড়ে । এসময় সাংবাদিকদের দেখে মাছ শিকারীরা তড়িঘড়ি করে নৌকা নিয়ে পালিয়ে যায় । এদিকে স্থানীয় প্রশাসন ও মৎস বিভাগ অনেকটা নাকে তেল দিয়ে ঘুমানোর মত অবস্থা পরিলক্ষিত হয়।
মহম্মদপুর উপজেলা মৎস অধিদপ্তর ও প্রশাসনের চরম অবহেলা আর গাফিলতির কারনে উল্লেখযোগ্য কোন অভিযান না থাকায় উপজেলার মধুমতি নদীর ঝামা, দেউলী, বাবুখালী, শিরগ্রাম, পাচুড়িয়া , দাতিয়াদহসহ বেশ কয়েকটি স্থানে দেদারছে চলছে মা ইলিশ নিধন। মধুমতি নদীর বুকে দিন-রাত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইলিশ ম্ছা ধরার নৌকা। সারারাত মাছ ধরার পর বাবুখালী সহ বেশ কয়েকটি স্থানে নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন ঘাটে মাছ বিক্রয়ের হাট বসেছে নিয়মিত । সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকটি ইলিশ বোঝাই ট্রলারকে দৌড়ে পালাতে দেখা যায়। এছাড়া মৎস বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের চরম গাফিলতির কারনে মহম্মদপুর বাজারেও প্রকাশ্যে ইলিশ বিক্রয় করতে দেখা যায় বলে জানান স্থানীয় সচেতন মহল।
রোববার , সোমবার ও মঙ্গলবার ভোর ৪ টার দিকে সরেজমিনে বাবুখালী শীরগ্রামসহ কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা যায় বেশ কয়েকটি নৌকা নিয়ে মধুমতি নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই মাছ ধরছেন মাঝিরা। এসময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে সারারাত ইলিশ মাছ ধরার ট্রলারগুলো দ্রæত পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, নিষেধাজ্ঞার বেশ কয়েকদিন পার হলেও মহম্মদপুর উপজেলা মৎস অধিদপ্তর ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে মধূমতি নদীতে কোন অভিযানই পরিচালনা করা হয়নি। মৎস অধিদপ্তর ও প্রশাসনের কোন লোকজনের উপস্থিতি না থাকায় বেপরোয়াভাবে দিনরাতে সমানে চলছে মা ইলিশ নিধন। এতে করে সরকারের মহৎ উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে ।
মহম্মদপুর উপজেলা মৎস কর্মকর্তা (অ: দা:) ফেরদৌসি আক্তার বলেন, আমরা ইতিমধ্যে কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করেছি এবং বিভিন্নভাবে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর পরেও যদি কেহ মাছ ধরে তাহলে তাকে আইনের আওত্য়া আনা হবে।
মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহীনুর আক্তারের সাথে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।


প্রিন্ট