ঢাকা ০৩:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ভাঙ্গুড়ায় তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার প্রদর্শনী, নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস Logo ইলিশ রক্ষায় ব্যার্থ মৎস অধিদপ্তর সাংবাদিক দেখে দৌড়ে পালালেন ইলিশ বোঝায় ট্রলার Logo সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে নাগরিক প্লাটফর্ম ও যুব ফোরামের পরামর্শ সভা Logo মিরপুরে গার্মেন্টস ও কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন Logo মার্চ টু সচিবালয়’ এ অংশ নিতে শহীদ মিনারে শিক্ষকদের ঢল Logo রাজধানীতে জামায়াতসহ সাত দলের মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু Logo আমরা কারাগারে নয়, ছিলাম এক কসাইখানায় Logo হয়রানি নিরসনে চালু হচ্ছে অনলাইন জামিননামা: আইন উপদেষ্টা Logo আশুলিয়ায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা চেষ্টা মামলায় শ্রমিক নেতা গ্রেপ্তার Logo কালিয়াকৈরে প্রতারণা করে জমির মালিক হওয়ার চেষ্টা: প্রতারক থেকে জমি রক্ষা করতে ইউএনও’র নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের মালিকদের

কালিয়াকৈরে প্রতারণা করে জমির মালিক হওয়ার চেষ্টা: প্রতারক থেকে জমি রক্ষা করতে ইউএনও’র নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের মালিকদের

“জোর যার মুল্লুক তার” এমনই পরিস্থিতির স্বীকার হয়েছেন কালিয়াকৈর উপজেলার বড়ইতলী গ্রামের মৃত খালেক মিয়ার ৪ ছেলে ও ২ মেয়ে।
১৩ (অক্টোবর) সোমবার কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন উপজেলার শ্রীফলতলী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বরইতলী গ্রামের মৃত খালেক মিয়া ও মৃত ইয়াতন নেসার পুত্র মোঃ সাইফুল আলম।
তিনি ওই লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, আমার বাবা খালেক মিয়া আমাদের মা ও চার ভাই এবং দুই বোন ওয়ারিশান রাখিয়া মৃত্যুবরণ করেন। অতঃপর ২০১৯ সালে মোঃ তাইজুল ইসলাম, পিতাঃ মোঃ মবেদ আলী, সাং-ঢালজোড়া, থানা-কালিয়াকৈর জেলা-গাজীপুর তিনি আমাদের কাছ থেকে তিন মাস মেয়াদের মধ্যে আমাদের উপস্থিত রেখে জমি বিক্রি করে সর্বোচ্চ মূল্য আমাদের কাছে বুঝিয়ে দিবে, যদি তাহা না পারে তাহলে আমাদের জমি ফেরত দিয়ে দিবে বলে ৩৭ শতাংশ জমি কমিশনে গ্রহীতা ছাড়া পাওয়ার নেয়। আমরা জমি জমা ও দলিল সংক্রান্ত বিষয়ে না বুঝার কারণে উক্ত পাওয়ার সহি-সম্পাদন করি।
মৌখিক মেয়াদ তিন মাস চলিয়া যাওয়ার পরেও তাইজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করিলে জমি ফেরত দিয়ে দিচ্ছি বলে ঘুরাতে থাকে। এভাবেই ৪-৫ বছর অতিবাহিত হওয়ায় আমরা একাধিক আইনজীবী ও স্থানীয় দলিল লেখকদের সাথে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলে তারা জানান, পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি দলিল করতে গেলে ডাটা ও গ্রহীতা উভয় পক্ষগণ উপস্থিত থেকে সহি-সম্পাদন বাধ্যতামূলক করতে হয়। দাতাগন ও গ্রহীতা গন্ধের মধ্যে যদি কেউ অনুপস্থিত থাকে বা ওই পাওয়ার দলিলে সহি-সম্পাদন নিজ হাতে না করে, তাহলে ওই পাওয়ার জাল বলিয়া গণ্য হয়।

মোঃ শাহফুল আলম আরও বলেন, আমি সহ অন্যান্য মালিকদের নামে নামজারি ও জমাভাগ খাজনা পরিশোধ করে সম্পূর্ণ নিষ্কণ্টক ভাবে উক্ত জমি দৈনিক সময়ের কণ্ঠ পত্রিকায় বিক্রয়ের জন্য প্রস্তাব করিলে লিয়াকত হোসেন নামের এক ব্যক্তি জমির মালিকদের সাথে যোগাযোগ করে জমির মূল্য যাচাই করে আলোচনা সাপেক্ষে একটি বায়না দলিল কালিয়াকৈর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে রেজিস্ট্রি করে দেন এবং জমির মালিকগণ বায়না গ্রহীতা লিয়াকত হোসেনের নামে একটি সাইনবোর্ড উক্ত জমিতে লাগিয়ে দিয়ে দখল বুঝিয়ে দেয়।
এর বেশ কিছুদিন পর ওই সাইনবোর্ড থেকে মোবাইল নাম্বার নিয়ে আমার জমির ক্রেতা লিয়াকত হোসেনকে প্রতারক তাইজুল ইসলাম ফোন দিয়ে সাইনবোর্ড সরিয়ে নিতে বলেন। পরে লিয়াকত হোসেন বিষয়টি আমাকে ফোনে জানালে আমি তাৎক্ষণিক তাইজুল ইসলামের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে ফোন দিলে তার অনেক ক্ষমতা আছে বলে হুমকি প্রদান করে।
তিনি আরও বলেন, আমরা জমির কাগজপত্র বিষয়ে কোন কিছুই বুঝিনা, তাই বলে আমাদের মালিকানা জমি জাল জালিয়াতি করে গ্রহীতা ছাড়া পাওয়ার দলিল করে হুমকি প্রদান করে মালিক হয়ে যাবে?! আমার বাবার রেখে যাওয়া এই জমি বিক্রি করে আমার এক ভাইয়ের চিকিৎসাসহ আমাদের নানা ধরনের বৈধ কাজের জন্য জরুরি টাকার প্রয়োজন। যে কারণে আমরা জমি বিক্রি করে দিবো। কিন্তু তাইজুল ইসলামের জাল জালিয়াতি ও মিথ্যাচারের কারণে আমাদের জমি বিক্রি করতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যে কারণে আমরা কালিয়াকৈর নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমরা যতটুকু জেনেছি, কালিয়াকৈর উপজেলার নির্বাহী অফিসার তিনি অত্যন্ত ভালো লোক এবং উপজেলার বিভিন্ন সমস্যার সমাধান তিনি সুষ্ঠুভাবে দিয়েছেন যে কারণে তার কাছে আমরা সুষ্ঠু সমাধানের জন্য লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেছি বলে জানিয়েছেন মোঃ শাহফুল আলম।

কালিয়াকৈর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কাউসার আহমেদ অভিযোগটি আমলে নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযোগে উল্লেখিত বিবাদীগণকে উপজেলায় ১৪(অক্টোবর) মঙ্গলবার উপস্থিত হতে বলেন।

উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাস আগে রফিক ও জুলহাস নামের দুই ব্যক্তি উক্ত জমি দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে গেছেন বলে তথ্য রয়েছে।

অনুসন্ধান চলছে –
আরও জানতে চোখ রাখুন দৈনিক সময়ের কণ্ঠ পত্রিকায়


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভাঙ্গুড়ায় তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার প্রদর্শনী, নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস

কালিয়াকৈরে প্রতারণা করে জমির মালিক হওয়ার চেষ্টা: প্রতারক থেকে জমি রক্ষা করতে ইউএনও’র নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের মালিকদের

আপডেট সময় ১১:৪৯:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

“জোর যার মুল্লুক তার” এমনই পরিস্থিতির স্বীকার হয়েছেন কালিয়াকৈর উপজেলার বড়ইতলী গ্রামের মৃত খালেক মিয়ার ৪ ছেলে ও ২ মেয়ে।
১৩ (অক্টোবর) সোমবার কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন উপজেলার শ্রীফলতলী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বরইতলী গ্রামের মৃত খালেক মিয়া ও মৃত ইয়াতন নেসার পুত্র মোঃ সাইফুল আলম।
তিনি ওই লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, আমার বাবা খালেক মিয়া আমাদের মা ও চার ভাই এবং দুই বোন ওয়ারিশান রাখিয়া মৃত্যুবরণ করেন। অতঃপর ২০১৯ সালে মোঃ তাইজুল ইসলাম, পিতাঃ মোঃ মবেদ আলী, সাং-ঢালজোড়া, থানা-কালিয়াকৈর জেলা-গাজীপুর তিনি আমাদের কাছ থেকে তিন মাস মেয়াদের মধ্যে আমাদের উপস্থিত রেখে জমি বিক্রি করে সর্বোচ্চ মূল্য আমাদের কাছে বুঝিয়ে দিবে, যদি তাহা না পারে তাহলে আমাদের জমি ফেরত দিয়ে দিবে বলে ৩৭ শতাংশ জমি কমিশনে গ্রহীতা ছাড়া পাওয়ার নেয়। আমরা জমি জমা ও দলিল সংক্রান্ত বিষয়ে না বুঝার কারণে উক্ত পাওয়ার সহি-সম্পাদন করি।
মৌখিক মেয়াদ তিন মাস চলিয়া যাওয়ার পরেও তাইজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করিলে জমি ফেরত দিয়ে দিচ্ছি বলে ঘুরাতে থাকে। এভাবেই ৪-৫ বছর অতিবাহিত হওয়ায় আমরা একাধিক আইনজীবী ও স্থানীয় দলিল লেখকদের সাথে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলে তারা জানান, পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি দলিল করতে গেলে ডাটা ও গ্রহীতা উভয় পক্ষগণ উপস্থিত থেকে সহি-সম্পাদন বাধ্যতামূলক করতে হয়। দাতাগন ও গ্রহীতা গন্ধের মধ্যে যদি কেউ অনুপস্থিত থাকে বা ওই পাওয়ার দলিলে সহি-সম্পাদন নিজ হাতে না করে, তাহলে ওই পাওয়ার জাল বলিয়া গণ্য হয়।

মোঃ শাহফুল আলম আরও বলেন, আমি সহ অন্যান্য মালিকদের নামে নামজারি ও জমাভাগ খাজনা পরিশোধ করে সম্পূর্ণ নিষ্কণ্টক ভাবে উক্ত জমি দৈনিক সময়ের কণ্ঠ পত্রিকায় বিক্রয়ের জন্য প্রস্তাব করিলে লিয়াকত হোসেন নামের এক ব্যক্তি জমির মালিকদের সাথে যোগাযোগ করে জমির মূল্য যাচাই করে আলোচনা সাপেক্ষে একটি বায়না দলিল কালিয়াকৈর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে রেজিস্ট্রি করে দেন এবং জমির মালিকগণ বায়না গ্রহীতা লিয়াকত হোসেনের নামে একটি সাইনবোর্ড উক্ত জমিতে লাগিয়ে দিয়ে দখল বুঝিয়ে দেয়।
এর বেশ কিছুদিন পর ওই সাইনবোর্ড থেকে মোবাইল নাম্বার নিয়ে আমার জমির ক্রেতা লিয়াকত হোসেনকে প্রতারক তাইজুল ইসলাম ফোন দিয়ে সাইনবোর্ড সরিয়ে নিতে বলেন। পরে লিয়াকত হোসেন বিষয়টি আমাকে ফোনে জানালে আমি তাৎক্ষণিক তাইজুল ইসলামের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে ফোন দিলে তার অনেক ক্ষমতা আছে বলে হুমকি প্রদান করে।
তিনি আরও বলেন, আমরা জমির কাগজপত্র বিষয়ে কোন কিছুই বুঝিনা, তাই বলে আমাদের মালিকানা জমি জাল জালিয়াতি করে গ্রহীতা ছাড়া পাওয়ার দলিল করে হুমকি প্রদান করে মালিক হয়ে যাবে?! আমার বাবার রেখে যাওয়া এই জমি বিক্রি করে আমার এক ভাইয়ের চিকিৎসাসহ আমাদের নানা ধরনের বৈধ কাজের জন্য জরুরি টাকার প্রয়োজন। যে কারণে আমরা জমি বিক্রি করে দিবো। কিন্তু তাইজুল ইসলামের জাল জালিয়াতি ও মিথ্যাচারের কারণে আমাদের জমি বিক্রি করতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যে কারণে আমরা কালিয়াকৈর নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমরা যতটুকু জেনেছি, কালিয়াকৈর উপজেলার নির্বাহী অফিসার তিনি অত্যন্ত ভালো লোক এবং উপজেলার বিভিন্ন সমস্যার সমাধান তিনি সুষ্ঠুভাবে দিয়েছেন যে কারণে তার কাছে আমরা সুষ্ঠু সমাধানের জন্য লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেছি বলে জানিয়েছেন মোঃ শাহফুল আলম।

কালিয়াকৈর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কাউসার আহমেদ অভিযোগটি আমলে নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযোগে উল্লেখিত বিবাদীগণকে উপজেলায় ১৪(অক্টোবর) মঙ্গলবার উপস্থিত হতে বলেন।

উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাস আগে রফিক ও জুলহাস নামের দুই ব্যক্তি উক্ত জমি দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে গেছেন বলে তথ্য রয়েছে।

অনুসন্ধান চলছে –
আরও জানতে চোখ রাখুন দৈনিক সময়ের কণ্ঠ পত্রিকায়


প্রিন্ট