ঢাকা ১১:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও গণঅধিকার পরিষদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির বিপরীতে একজন রিক্সাচালক রিক্সার মধ্যে বসে থাকা অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন Logo এনবিআরের আরও ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের দুর্নীতির অনুসন্ধান Logo আগামী সপ্তাহের যেকোনো দিন গাজায় যুদ্ধবিরতি হতে পারে: ট্রাম্প Logo শরণখোলার ১২ কিমি সড়ক পথ আটকে রেখেছে সম্ভাবনা Logo শাকিব খানকে ‘মেগাস্টার’ বলতে আপত্তি জাহিদ হাসানের Logo ফেব্রুয়ারি-এপ্রিলকে লক্ষ্য রেখে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন: সিইসি Logo ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ডের আইন পাস Logo রাতের ভোটের দায় স্বীকার করে নুরুল হুদার জবানবন্দি আদালতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদা Logo এভসেকের নতুন ইউনিফর্ম উদ্বোধন করলেন বেবিচক চেয়ারম্যান

ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ডের আইন পাস

দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক থাকলেই পেতে হবে মৃত্যুদণ্ড। ইসরাইল ছাড়াও অন্য ‘শত্রু’ দেশগুলোর সঙ্গেও ইরানের কোনো মানুষ যোগাযোগ রাখতে পারবে না। মঙ্গলবার (১ জুলাই) ইরানের সংসদে নতুন এ আইন পাস হয়েছে।

নতুন আইনে বলা হয়েছে, ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে গোয়েন্দা কার্যক্রম চালানো, গুপ্তচরগিরি, ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য শত্রু দেশের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক ‘পৃথিবীতে দুর্নীতির’ অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। যার শাস্তি হলো মৃত্যুদণ্ড। খবর ইরান ইন্টারন্যাশনালের।

বিশেষভাবে ইসরাইলের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, যারা ইসরাইলকে সামরিক, আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি ভোগ করতে হবে।

অপরদিকে স্টারলিংকসহ অন্যান্য অননুমোদিত ইন্টারনেট সেবার সরঞ্জাম ক্রয়, বিক্রি ও কাছে রাখা গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। কেউ এ অপরাধে অভিযুক্ত হলে তাকে ছয় মাস থেকে দুই বছরের কারাদণ্ড পেতে হবে।

আর যারা এসব নিষিদ্ধ যন্ত্রাংশ ১০টির বেশি উৎপাদন বা আমদানি করবে তাদের ৫ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে।

এছাড়া কেউ যদি সামরিক ড্রোন তৈরি করে, সাইবার হামলা করে অথবা শত্রুদের জন্য ইরানি অবকাঠামোয় কোনো নাশকতামূলক কাজ করে তাকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। এমনকি যদি শুধুমাত্র কেউ এ ধরনের কোনো চেষ্টা চালায়, তাকেই মৃত্যুদণ্ড পেতে হবে।

এরসঙ্গে কেউ যদি মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ ও এ ধরনের কনটেন্ট তৈরি করে যেগুলো মানুষের মধ্যে ‘বিভক্তি, ভয়’ তৈরি করে এবং ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়’ তাদের ১০ থেকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

এছাড়া বিদেশি গণমাধ্যমকে কোনো ছবি বা ভিডিও পাঠালে সেগুলো যদি ইরানি জনগণের ‘মনোবল ক্ষতিগ্রস্ত করে’ তাহলে দুই থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে একটি ধর্মীয় আদেশ বা ফতোয়া জারি করেছেন ইরানের শীর্ষ শিয়া ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ নাসের মাকারেম শিরাজি।

এই ফতোয়ায় তিনি ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুকে ‘আল্লাহর শত্রু’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি বা শাসক ইসলামের নেতা বা শীর্ষ ধর্মীয় ব্যক্তিত্বকে হুমকি দেয়, সে ‘যুদ্ধপিপাসু’ বা ‘সৃষ্টিকর্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত ব্যক্তি’ হিসেবে বিবেচিত হবে।

আয়াতুল্লাহ নাসের মাকারেম শিরাজি এই ফতোয়ায় বিশ্বের সব মুসলমানের প্রতি আহ্বান জানান, যেন তারা ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে। কারণ তারা ইসলামী প্রজাতন্ত্রের নেতৃত্বকে হুমকি দিয়েছে।

ফতোয়ায় বলেন, যে ব্যক্তি বা শাসক ইসলামের নেতা বা শীর্ষ ধর্মীয় ব্যক্তিত্বকে হুমকি দেয়, সে ‘যুদ্ধপিপাসু’ বা ‘সৃষ্টিকর্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত ব্যক্তি’ হিসেবে বিবেচিত হবে।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও গণঅধিকার পরিষদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ডের আইন পাস

আপডেট সময় ০৬:৫২:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক থাকলেই পেতে হবে মৃত্যুদণ্ড। ইসরাইল ছাড়াও অন্য ‘শত্রু’ দেশগুলোর সঙ্গেও ইরানের কোনো মানুষ যোগাযোগ রাখতে পারবে না। মঙ্গলবার (১ জুলাই) ইরানের সংসদে নতুন এ আইন পাস হয়েছে।

নতুন আইনে বলা হয়েছে, ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে গোয়েন্দা কার্যক্রম চালানো, গুপ্তচরগিরি, ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য শত্রু দেশের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক ‘পৃথিবীতে দুর্নীতির’ অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। যার শাস্তি হলো মৃত্যুদণ্ড। খবর ইরান ইন্টারন্যাশনালের।

বিশেষভাবে ইসরাইলের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, যারা ইসরাইলকে সামরিক, আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি ভোগ করতে হবে।

অপরদিকে স্টারলিংকসহ অন্যান্য অননুমোদিত ইন্টারনেট সেবার সরঞ্জাম ক্রয়, বিক্রি ও কাছে রাখা গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। কেউ এ অপরাধে অভিযুক্ত হলে তাকে ছয় মাস থেকে দুই বছরের কারাদণ্ড পেতে হবে।

আর যারা এসব নিষিদ্ধ যন্ত্রাংশ ১০টির বেশি উৎপাদন বা আমদানি করবে তাদের ৫ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে।

এছাড়া কেউ যদি সামরিক ড্রোন তৈরি করে, সাইবার হামলা করে অথবা শত্রুদের জন্য ইরানি অবকাঠামোয় কোনো নাশকতামূলক কাজ করে তাকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। এমনকি যদি শুধুমাত্র কেউ এ ধরনের কোনো চেষ্টা চালায়, তাকেই মৃত্যুদণ্ড পেতে হবে।

এরসঙ্গে কেউ যদি মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ ও এ ধরনের কনটেন্ট তৈরি করে যেগুলো মানুষের মধ্যে ‘বিভক্তি, ভয়’ তৈরি করে এবং ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়’ তাদের ১০ থেকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

এছাড়া বিদেশি গণমাধ্যমকে কোনো ছবি বা ভিডিও পাঠালে সেগুলো যদি ইরানি জনগণের ‘মনোবল ক্ষতিগ্রস্ত করে’ তাহলে দুই থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে একটি ধর্মীয় আদেশ বা ফতোয়া জারি করেছেন ইরানের শীর্ষ শিয়া ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ নাসের মাকারেম শিরাজি।

এই ফতোয়ায় তিনি ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুকে ‘আল্লাহর শত্রু’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি বা শাসক ইসলামের নেতা বা শীর্ষ ধর্মীয় ব্যক্তিত্বকে হুমকি দেয়, সে ‘যুদ্ধপিপাসু’ বা ‘সৃষ্টিকর্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত ব্যক্তি’ হিসেবে বিবেচিত হবে।

আয়াতুল্লাহ নাসের মাকারেম শিরাজি এই ফতোয়ায় বিশ্বের সব মুসলমানের প্রতি আহ্বান জানান, যেন তারা ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে। কারণ তারা ইসলামী প্রজাতন্ত্রের নেতৃত্বকে হুমকি দিয়েছে।

ফতোয়ায় বলেন, যে ব্যক্তি বা শাসক ইসলামের নেতা বা শীর্ষ ধর্মীয় ব্যক্তিত্বকে হুমকি দেয়, সে ‘যুদ্ধপিপাসু’ বা ‘সৃষ্টিকর্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত ব্যক্তি’ হিসেবে বিবেচিত হবে।


প্রিন্ট