ঢাকা ০৭:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ভাঙ্গুড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শোকজে বিতর্ক Logo নুরের শর্টটাইম মেমোরি লস হচ্ছে: রাশেদ খাঁন Logo অননুমোদিত সিসা বার পরিচালনা ‘ক্যাসিনো ডন’ সেলিম প্রধানসহ গ্রেফতার ৯ Logo ভাঙ্গুড়া ইউএনও নাজমুন নাহারের স্বেচ্ছাচারিতা ও কোটি টাকার অনিয়ম: রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় অদৃশ্য প্রভাব Logo মোংলা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মানিকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল Logo লক্ষীপুরের গ্রামগঞ্জে পারিবারিক বিরোধে চাচার হাতে বাতিজা খুন Logo জাতীয় পার্টির অফিস ভাঙচুর নিয়ে যা বলল বিএনপি Logo নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার আগ পর্যন্ত আমরা থামবো না: সাদিক কায়েম Logo দাবি মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রীর ‘ভারত দুই মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ক্ষমা চাইবে’ Logo শিল্পা–রাজের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা, পুলিশের লুকআউট নোটিশ

মাইলস্টোন কলেজ — ৩য় পর্ব) মাইলস্টোন ট্রাজেডির পর গবেষণার মাধ্যমে থেরাপির নতুন দিগন্ত উন্মোচন

  • ✍️ শোয়েব হোসেন
  • আপডেট সময় ০২:৫১:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫
  • ৪৭ ১০.০০০ বার পড়া হয়েছে

উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান আছড়ে পড়ার মর্মান্তিক দুর্ঘটনা শুধু তাৎক্ষণিক প্রাণহানি ও শারীরিক ক্ষতির কারণ নয়—এটি দীর্ঘমেয়াদে মানসিক আঘাত ও শারীরিক জটিলতার ঝুঁকিও সৃষ্টি করতে পারে।
অনেক শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও স্থানীয় বাসিন্দা এখনো মানসিকভাবে আতঙ্কিত। যারা সরাসরি ঘটনাটি দেখেছেন বা সেখানে উপস্থিত ছিলেন, তাদের অনেকেই ঘুমের সমস্যা, দুঃস্বপ্ন, মানসিক অস্থিরতা, ক্ষুধাহীনতা ও উদ্বেগের মতো উপসর্গে ভুগছেন।

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রচলিত চিকিৎসার পাশাপাশি সহায়ক ও বিকল্প থেরাপি হিসেবে কিছু প্রাকৃতিক, বিজ্ঞানসম্মত ও কার্যকর পদ্ধতি প্রয়োগ করলে ভবিষ্যতের স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।

🎵 গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক ও বিকল্প থেরাপি

১. রিদম থেরাপি (Rhythmic Therapy)

কি: কাঠ, বাঁশ, ধাতব থালা, ঘুঙ্গুর, একতারা, দফ, তবলা, ঢোল ইত্যাদি যন্ত্রে থেরাপিউটিক ছন্দে সুর বাজিয়ে শরীরের ভেতরে ইতিবাচক কম্পন তৈরি করা।

উৎপত্তি ও স্বীকৃতি: আফ্রিকা ও প্রাচীন এশিয়ার সংস্কৃতিতে প্রচলিত; বর্তমানে ইউরোপের কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও সংগীত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান স্বীকৃতি দিয়েছে।

ব্যবহার: দিনে ১৫–৩০ মিনিট, সপ্তাহে ৩–৫ দিন।

উপকার: ট্রমা, ঘুমের সমস্যা, স্নায়বিক দুর্বলতা, ADHD, PTSD-তে কার্যকর।

২. সাউন্ড বাথ থেরাপি (Sound Bath Therapy)

কি: বড় স্পিকার বা বিশেষ বোল (Singing Bowl, Crystal Bowl) দিয়ে নির্দিষ্ট কম্পাঙ্কের শব্দে শরীর-মনকে ‘ঢেকে’ দেওয়া।

উৎপত্তি ও স্বীকৃতি: তিব্বত, নেপাল ও পশ্চিমা দেশে প্রচলিত; Mindfulness Institute ও NIH এর গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত।

ব্যবহার: দিনে ২০ মিনিট, সপ্তাহে ৩–৪ দিন।

উপকার: মনোসংযোগ বৃদ্ধি, মানসিক প্রশান্তি, আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি, শারীরিক ভারসাম্য রক্ষা।

৩. ফ্রিকোয়েন্সি থেরাপি (Frequency Therapy)

কি: নির্দিষ্ট Hz-এর শব্দ ব্যবহার করে নিরাময় প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা। যেমন—528 Hz ডিএনএ রিপেয়ার, 432 Hz মানসিক শান্তি।

সরঞ্জাম/অ্যাপ: Solfeggio Frequencies, VAT apps, Soaak, Free Frequency Generator।

ব্যবহার: দিনে ১৫–২০ মিনিট; ইয়ারফোন ছাড়া বড় স্পিকারে শোনা উত্তম।

স্বীকৃতি: ইউরোপের কয়েকটি মিউজিক থেরাপি ইনস্টিটিউট ও গবেষণা প্রকল্পে অনুমোদিত।

৪. সিঙ্গিং বোল থেরাপি (Tibetan Singing Bowl Therapy)

কি: তিব্বতি ধাতব বাটি ঘষা বা আঘাতে তৈরি সুর মস্তিষ্কে নিরাময় তরঙ্গ তৈরি করে।

উৎপত্তি: প্রাচীন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের মধ্যে প্রচলিত।

ব্যবহার: দিনে ১০–১৫ মিনিট; একক বা গ্রুপ সেশনে।

উপকার: মাইগ্রেন, ইনসমনিয়া, বিষণ্ণতা নিরাময়ে সহায়ক।

৫. মিউজিক হিলিং (Healing Through Music)

কি: নির্দিষ্ট ধরনের গান বা সুর নিয়মিত শোনা—যেমন শান্ত সুর, ভজন, মন্ত্র, আবৃত্তি বা বাদ্যযন্ত্রের সুর।

উপকারী ধরন: ধ্রুপদি সংগীত, রাগভিত্তিক গান, ওম ধ্বনি, সুফি সংগীত, থেরাপিউটিক সুর।

ব্যবহার: দিনে ৩০ মিনিট, পড়াশোনার আগে বা পরে।

উপকার: স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি, মনোসংযোগ ও মানসিক প্রশান্তি।

অতিরিক্ত সহায়ক উপায়: টিউনিং ফর্ক, মিউজিক্যাল কালার লাইট ইত্যাদির ব্যবহার।

🧘‍♂️ সহায়ক পরিবেশ তৈরির উপায়

ব্যক্তিগত সুরক্ষা: পরিবারের মধ্যে শান্তিপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: গ্রুপ সেশন, থেরাপি রুম স্থাপন, শিক্ষক-অভিভাবক সচেতনতা কর্মশালা।

প্রযুক্তি ব্যবহার: “Soaak”, “Solfeggio Frequencies”, “Brain FM”, “VAT Therapy” এর মতো অ্যাপ ব্যবহার।

⚠️ সতর্কতা

এই থেরাপিগুলো বিজ্ঞানসম্মত ও ঝুঁকিমুক্ত হলেও, বাংলাদেশে এখনো তুলনামূলক নতুন। তাই অভিজ্ঞ থেরাপিস্টের তত্ত্বাবধানে সহজ ও সুন্দরভাবে উপস্থাপন করলে গ্রহণযোগ্যতা ও কার্যকারিতা অনেক বাড়বে।

🇧🇩 বাংলাদেশে সহজলভ্য করার উপায়

প্রশিক্ষক, গবেষক, কণ্ঠশিল্পী ও যন্ত্রশিল্পীদের সহায়তা নেওয়া।

এনজিও, CSR বা স্কুলের সহযোগিতায় গণসেশন চালু।

স্থানীয় ও নিজস্ব তৈরি তালযন্ত্র দিয়ে প্রাকৃতিক রিদম থেরাপি প্রচলন।

সরকারি-বেসরকারি ফান্ড ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্তকরণ।

উপসংহার

দুর্ঘটনার শোক ও ট্রমা কাটাতে কেবল চিকিৎসা নয়, সচেতনতা ও সহায়ক থেরাপিও অপরিহার্য। উল্লেখিত পদ্ধতিগুলো জনপ্রিয় করতে পারলে ভবিষ্যতে বহু মানুষ অদৃশ্য বা অনাগত বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে পারেন।

প্রতিবেদন:
মো: শোয়েব হোসেন
মিউজিক, সাউন্ড, রিদম ও ফ্রিকোয়েন্সি থেরাপি গবেষক, সংগীত প্রশিক্ষক, মানবাধিকার কর্মী
📱 01912241933
📧 [email protected]


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভাঙ্গুড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শোকজে বিতর্ক

মাইলস্টোন কলেজ — ৩য় পর্ব) মাইলস্টোন ট্রাজেডির পর গবেষণার মাধ্যমে থেরাপির নতুন দিগন্ত উন্মোচন

আপডেট সময় ০২:৫১:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫

উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান আছড়ে পড়ার মর্মান্তিক দুর্ঘটনা শুধু তাৎক্ষণিক প্রাণহানি ও শারীরিক ক্ষতির কারণ নয়—এটি দীর্ঘমেয়াদে মানসিক আঘাত ও শারীরিক জটিলতার ঝুঁকিও সৃষ্টি করতে পারে।
অনেক শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও স্থানীয় বাসিন্দা এখনো মানসিকভাবে আতঙ্কিত। যারা সরাসরি ঘটনাটি দেখেছেন বা সেখানে উপস্থিত ছিলেন, তাদের অনেকেই ঘুমের সমস্যা, দুঃস্বপ্ন, মানসিক অস্থিরতা, ক্ষুধাহীনতা ও উদ্বেগের মতো উপসর্গে ভুগছেন।

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রচলিত চিকিৎসার পাশাপাশি সহায়ক ও বিকল্প থেরাপি হিসেবে কিছু প্রাকৃতিক, বিজ্ঞানসম্মত ও কার্যকর পদ্ধতি প্রয়োগ করলে ভবিষ্যতের স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।

🎵 গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক ও বিকল্প থেরাপি

১. রিদম থেরাপি (Rhythmic Therapy)

কি: কাঠ, বাঁশ, ধাতব থালা, ঘুঙ্গুর, একতারা, দফ, তবলা, ঢোল ইত্যাদি যন্ত্রে থেরাপিউটিক ছন্দে সুর বাজিয়ে শরীরের ভেতরে ইতিবাচক কম্পন তৈরি করা।

উৎপত্তি ও স্বীকৃতি: আফ্রিকা ও প্রাচীন এশিয়ার সংস্কৃতিতে প্রচলিত; বর্তমানে ইউরোপের কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও সংগীত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান স্বীকৃতি দিয়েছে।

ব্যবহার: দিনে ১৫–৩০ মিনিট, সপ্তাহে ৩–৫ দিন।

উপকার: ট্রমা, ঘুমের সমস্যা, স্নায়বিক দুর্বলতা, ADHD, PTSD-তে কার্যকর।

২. সাউন্ড বাথ থেরাপি (Sound Bath Therapy)

কি: বড় স্পিকার বা বিশেষ বোল (Singing Bowl, Crystal Bowl) দিয়ে নির্দিষ্ট কম্পাঙ্কের শব্দে শরীর-মনকে ‘ঢেকে’ দেওয়া।

উৎপত্তি ও স্বীকৃতি: তিব্বত, নেপাল ও পশ্চিমা দেশে প্রচলিত; Mindfulness Institute ও NIH এর গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত।

ব্যবহার: দিনে ২০ মিনিট, সপ্তাহে ৩–৪ দিন।

উপকার: মনোসংযোগ বৃদ্ধি, মানসিক প্রশান্তি, আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি, শারীরিক ভারসাম্য রক্ষা।

৩. ফ্রিকোয়েন্সি থেরাপি (Frequency Therapy)

কি: নির্দিষ্ট Hz-এর শব্দ ব্যবহার করে নিরাময় প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা। যেমন—528 Hz ডিএনএ রিপেয়ার, 432 Hz মানসিক শান্তি।

সরঞ্জাম/অ্যাপ: Solfeggio Frequencies, VAT apps, Soaak, Free Frequency Generator।

ব্যবহার: দিনে ১৫–২০ মিনিট; ইয়ারফোন ছাড়া বড় স্পিকারে শোনা উত্তম।

স্বীকৃতি: ইউরোপের কয়েকটি মিউজিক থেরাপি ইনস্টিটিউট ও গবেষণা প্রকল্পে অনুমোদিত।

৪. সিঙ্গিং বোল থেরাপি (Tibetan Singing Bowl Therapy)

কি: তিব্বতি ধাতব বাটি ঘষা বা আঘাতে তৈরি সুর মস্তিষ্কে নিরাময় তরঙ্গ তৈরি করে।

উৎপত্তি: প্রাচীন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের মধ্যে প্রচলিত।

ব্যবহার: দিনে ১০–১৫ মিনিট; একক বা গ্রুপ সেশনে।

উপকার: মাইগ্রেন, ইনসমনিয়া, বিষণ্ণতা নিরাময়ে সহায়ক।

৫. মিউজিক হিলিং (Healing Through Music)

কি: নির্দিষ্ট ধরনের গান বা সুর নিয়মিত শোনা—যেমন শান্ত সুর, ভজন, মন্ত্র, আবৃত্তি বা বাদ্যযন্ত্রের সুর।

উপকারী ধরন: ধ্রুপদি সংগীত, রাগভিত্তিক গান, ওম ধ্বনি, সুফি সংগীত, থেরাপিউটিক সুর।

ব্যবহার: দিনে ৩০ মিনিট, পড়াশোনার আগে বা পরে।

উপকার: স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি, মনোসংযোগ ও মানসিক প্রশান্তি।

অতিরিক্ত সহায়ক উপায়: টিউনিং ফর্ক, মিউজিক্যাল কালার লাইট ইত্যাদির ব্যবহার।

🧘‍♂️ সহায়ক পরিবেশ তৈরির উপায়

ব্যক্তিগত সুরক্ষা: পরিবারের মধ্যে শান্তিপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: গ্রুপ সেশন, থেরাপি রুম স্থাপন, শিক্ষক-অভিভাবক সচেতনতা কর্মশালা।

প্রযুক্তি ব্যবহার: “Soaak”, “Solfeggio Frequencies”, “Brain FM”, “VAT Therapy” এর মতো অ্যাপ ব্যবহার।

⚠️ সতর্কতা

এই থেরাপিগুলো বিজ্ঞানসম্মত ও ঝুঁকিমুক্ত হলেও, বাংলাদেশে এখনো তুলনামূলক নতুন। তাই অভিজ্ঞ থেরাপিস্টের তত্ত্বাবধানে সহজ ও সুন্দরভাবে উপস্থাপন করলে গ্রহণযোগ্যতা ও কার্যকারিতা অনেক বাড়বে।

🇧🇩 বাংলাদেশে সহজলভ্য করার উপায়

প্রশিক্ষক, গবেষক, কণ্ঠশিল্পী ও যন্ত্রশিল্পীদের সহায়তা নেওয়া।

এনজিও, CSR বা স্কুলের সহযোগিতায় গণসেশন চালু।

স্থানীয় ও নিজস্ব তৈরি তালযন্ত্র দিয়ে প্রাকৃতিক রিদম থেরাপি প্রচলন।

সরকারি-বেসরকারি ফান্ড ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্তকরণ।

উপসংহার

দুর্ঘটনার শোক ও ট্রমা কাটাতে কেবল চিকিৎসা নয়, সচেতনতা ও সহায়ক থেরাপিও অপরিহার্য। উল্লেখিত পদ্ধতিগুলো জনপ্রিয় করতে পারলে ভবিষ্যতে বহু মানুষ অদৃশ্য বা অনাগত বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে পারেন।

প্রতিবেদন:
মো: শোয়েব হোসেন
মিউজিক, সাউন্ড, রিদম ও ফ্রিকোয়েন্সি থেরাপি গবেষক, সংগীত প্রশিক্ষক, মানবাধিকার কর্মী
📱 01912241933
📧 [email protected]


প্রিন্ট