ঢাকা ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কালিয়াকৈরে জমির পাওয়ার অফ এ্যাটর্নি দলিল জাল জালিয়াতির অভিযোগ Logo ভৈরব জেলা বাস্তবায়নের দাবীতে মানব বন্ধন Logo আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ-আল্লামা মামুনুল হক। Logo ভাঙ্গুড়ায় তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার প্রদর্শনী, নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস Logo ইলিশ রক্ষায় ব্যার্থ মৎস অধিদপ্তর সাংবাদিক দেখে দৌড়ে পালালেন ইলিশ বোঝায় ট্রলার Logo সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে নাগরিক প্লাটফর্ম ও যুব ফোরামের পরামর্শ সভা Logo মিরপুরে গার্মেন্টস ও কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন Logo মার্চ টু সচিবালয়’ এ অংশ নিতে শহীদ মিনারে শিক্ষকদের ঢল Logo রাজধানীতে জামায়াতসহ সাত দলের মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু Logo আমরা কারাগারে নয়, ছিলাম এক কসাইখানায়

ভাঙ্গুড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শোকজে বিতর্ক

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় আরাজি পার-ভাঙ্গুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষককে শোকজ নোটিশ ঘিরে এলাকায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইফফাত মোকারমার সন্তান সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হলে তিনি ঢাকার টোমা হাসপাতালে ভর্তি করান। চিকিৎসকের পরামর্শে দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার জন্য তিনি নিয়মমাফিক ভাবে ৬ মাসের ছুটি নেন। পরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আলেয়া ফেরদৌস শিখার স্বাক্ষরে পুনরায় গত ৩০জুলাই পর্যন্ত তার ছুটি অনুমোদন করা হয়।

ছুটি শেষে ৩১ জুলাই বিদ্যালয়ে যোগ না দেওয়ায় প্রধান শিক্ষক মোছা. নিশাত রেহানা একই দিনে তাকে শোকজ করেন এবং ৩ কর্ম দিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন। তবে অভিযোগ উঠেছে, শোকজ নোটিশ ৩১ জুলাইয়ের হলেও তা সহকারী শিক্ষিকার ভাড়া বাসার মালিকের কাছে পৌঁছায় ৫ আগস্ট। এতে এলাকায় প্রধান শিক্ষকের সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয়রা।
ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে সমালোচনা চলছে। কেউ এটিকে নিয়মের অজ্ঞতা বলছেন, আবার কেউবা বলছেন সহকারী শিক্ষকের প্রতি প্রধান শিক্ষকের অনিচ্ছাকৃত হয়রানি।

এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক ইফফাত মোকাররমা বলেন,
আমার ছেলের চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের পরামর্শে ঢাকায় অবস্থান করছি, এবং প্রধান শিক্ষক ৩১ তারিখে শোকজ করলেও আমাকে চিঠি দিয়েছে ৭ তারিখে তাই আমি শোকজের জবাব দেয়নি। আমার ছুটি শেষে প্রতিষ্ঠানে যোগদান করার ইচ্ছা থাকলেও যোগদান করতে পারছিনা কারণ আমার বিরুদ্ধে আমার এক বান্ধবী ভাঙ্গুড়া থানায় একটি মিথ্যা মামলা করেছেন এবং ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার (ওসি) শফিকুল ইসলাম অভিযোগ তদন্ত ছাড়ায় রাজনৈতিক নেতার চাপে মামলা রুজু করেছে।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক নিশাত রেহানা বলেন,
“আমি নিয়মকানুন ভালোভাবে জানি না। ছুটি শেষের পরদিন ৩১ জুলাই তিনি বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হওয়ায় আমি শোকজ করেছি। পরে ৫ আগস্ট নিজে তার বাসায় গিয়ে চিঠি দিয়ে আসি এবং এক কপি এটিও স্যার আজিম হোসেনকে দিয়েছি।”

এদিকে সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার(এটিও)মো. আজিম হোসেন বলেন, “শোকজের চিঠি আমি পাইনি। তবে নিয়ম অনুযায়ী কোনো শিক্ষক তিন দিন বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হলে তাকে শোকজ করা যায়। সহকারী শিক্ষক ইফফাত মোকারমার ছেলে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছে বলে শুনেছি।”

উপজেলা শিক্ষা অফিসার(টিও)বলেন, শোকজ চিঠি আমি পাইনি। তবে গত ৭ আগস্ট প্রধান শিক্ষক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেদন দিয়েছেন, যা আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। এবং ওই সহকারী শিক্ষক বিনা বেতনে অর্জিত ছুটি নিয়েছে।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কালিয়াকৈরে জমির পাওয়ার অফ এ্যাটর্নি দলিল জাল জালিয়াতির অভিযোগ

ভাঙ্গুড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শোকজে বিতর্ক

আপডেট সময় ১০:৫১:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় আরাজি পার-ভাঙ্গুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষককে শোকজ নোটিশ ঘিরে এলাকায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইফফাত মোকারমার সন্তান সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হলে তিনি ঢাকার টোমা হাসপাতালে ভর্তি করান। চিকিৎসকের পরামর্শে দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার জন্য তিনি নিয়মমাফিক ভাবে ৬ মাসের ছুটি নেন। পরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আলেয়া ফেরদৌস শিখার স্বাক্ষরে পুনরায় গত ৩০জুলাই পর্যন্ত তার ছুটি অনুমোদন করা হয়।

ছুটি শেষে ৩১ জুলাই বিদ্যালয়ে যোগ না দেওয়ায় প্রধান শিক্ষক মোছা. নিশাত রেহানা একই দিনে তাকে শোকজ করেন এবং ৩ কর্ম দিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন। তবে অভিযোগ উঠেছে, শোকজ নোটিশ ৩১ জুলাইয়ের হলেও তা সহকারী শিক্ষিকার ভাড়া বাসার মালিকের কাছে পৌঁছায় ৫ আগস্ট। এতে এলাকায় প্রধান শিক্ষকের সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয়রা।
ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে সমালোচনা চলছে। কেউ এটিকে নিয়মের অজ্ঞতা বলছেন, আবার কেউবা বলছেন সহকারী শিক্ষকের প্রতি প্রধান শিক্ষকের অনিচ্ছাকৃত হয়রানি।

এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক ইফফাত মোকাররমা বলেন,
আমার ছেলের চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের পরামর্শে ঢাকায় অবস্থান করছি, এবং প্রধান শিক্ষক ৩১ তারিখে শোকজ করলেও আমাকে চিঠি দিয়েছে ৭ তারিখে তাই আমি শোকজের জবাব দেয়নি। আমার ছুটি শেষে প্রতিষ্ঠানে যোগদান করার ইচ্ছা থাকলেও যোগদান করতে পারছিনা কারণ আমার বিরুদ্ধে আমার এক বান্ধবী ভাঙ্গুড়া থানায় একটি মিথ্যা মামলা করেছেন এবং ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার (ওসি) শফিকুল ইসলাম অভিযোগ তদন্ত ছাড়ায় রাজনৈতিক নেতার চাপে মামলা রুজু করেছে।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক নিশাত রেহানা বলেন,
“আমি নিয়মকানুন ভালোভাবে জানি না। ছুটি শেষের পরদিন ৩১ জুলাই তিনি বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হওয়ায় আমি শোকজ করেছি। পরে ৫ আগস্ট নিজে তার বাসায় গিয়ে চিঠি দিয়ে আসি এবং এক কপি এটিও স্যার আজিম হোসেনকে দিয়েছি।”

এদিকে সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার(এটিও)মো. আজিম হোসেন বলেন, “শোকজের চিঠি আমি পাইনি। তবে নিয়ম অনুযায়ী কোনো শিক্ষক তিন দিন বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হলে তাকে শোকজ করা যায়। সহকারী শিক্ষক ইফফাত মোকারমার ছেলে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছে বলে শুনেছি।”

উপজেলা শিক্ষা অফিসার(টিও)বলেন, শোকজ চিঠি আমি পাইনি। তবে গত ৭ আগস্ট প্রধান শিক্ষক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেদন দিয়েছেন, যা আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। এবং ওই সহকারী শিক্ষক বিনা বেতনে অর্জিত ছুটি নিয়েছে।


প্রিন্ট