ঢাকা ০৩:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কালিয়াকৈরে জমির পাওয়ার অফ এ্যাটর্নি দলিল জাল জালিয়াতির অভিযোগ Logo ভৈরব জেলা বাস্তবায়নের দাবীতে মানব বন্ধন Logo আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ-আল্লামা মামুনুল হক। Logo ভাঙ্গুড়ায় তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার প্রদর্শনী, নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস Logo ইলিশ রক্ষায় ব্যার্থ মৎস অধিদপ্তর সাংবাদিক দেখে দৌড়ে পালালেন ইলিশ বোঝায় ট্রলার Logo সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে নাগরিক প্লাটফর্ম ও যুব ফোরামের পরামর্শ সভা Logo মিরপুরে গার্মেন্টস ও কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন Logo মার্চ টু সচিবালয়’ এ অংশ নিতে শহীদ মিনারে শিক্ষকদের ঢল Logo রাজধানীতে জামায়াতসহ সাত দলের মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু Logo আমরা কারাগারে নয়, ছিলাম এক কসাইখানায়

ডা. নিতাই হত্যা: ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:৩০:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
  • ১১৬ ১০.০০০ বার পড়া হয়েছে

আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

তের বছর আগে রাজধানীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. নারায়ণ চন্দ্র দত্ত নিতাই হত্যা মামলায় পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে চার আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৭ আগস্ট) ঢাকার দশম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক রেজাউল করিম এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় ১০ আসামিকেই কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের আবার কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর মোয়াজ্জেম হোসেন।

রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—কামরুল হাসান অরুণ, মাসুম মিন্টু, সাইদ ব্যাপারী, বকুল মিয়া এবং সাইদ মিজি। এছাড়া আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আবুল কালাম, সাইদুল, ফয়সাল ও পেদা মাসুম। আর রফিকুল ইসলামকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
নিহত ডা. নিতাই। ছবি: সংগৃহীত
নিহত ডা. নিতাই। ছবি: সংগৃহীত

২০১২ সালের ২৩ অগাস্ট রাতে মহাখালীতে হাসপাতালের আবাসিক এলাকায় নিজ বাসায় খুন হন আওয়ামী লীগ সমর্থিত স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের নেতা ও বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. নিতাই। ঘটনার সময় বাসায় ছিলেন তার বৃদ্ধা মা। স্ত্রী লাকী চৌধুরী ছিলেন চট্টগ্রামে।

হত্যাকাণ্ডের পরদিন নিতাইয়ের বাবা বনানী থানায় মামলা করেন। ছয় মাসের তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক গাজী আতাউর রহমান ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। তদন্তে উঠে আসে, চুরির সময় ঘটনাটি দেখে ফেলায় নিতাইকে হত্যা করা হয়। এরপর আসামিরা বাসা থেকে পাঁচ লাখ টাকা ও দুটি স্বর্ণের বালা নিয়ে যায়।

পুলিশ জানায়, আসামিরা ‘পেশাদার চোর’। তাদের মধ্যে নিহত চিকিৎসকের গাড়িচালক অরুণও ছিল। এ মামলার আসামিদের মধ্যে পাঁচজনকে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলাতেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল। তবে ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সংঘটিত ওই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত এখনও শেষ হয়নি।

২০১৩ সালের ২২ জুলাই অভিযোগ গঠন হয় এবং ২০১৪ সালের ২৮ জানুয়ারি ডা. নিতাইয়ের বাবা তড়িৎ কান্তির সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে বিচার শুরু করে আদালত। দীর্ঘ শুনানি ও বিচারক পরিবর্তনের পর অবশেষে রোববার বিচারক রেজাউল করিম দশ আসামির সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কালিয়াকৈরে জমির পাওয়ার অফ এ্যাটর্নি দলিল জাল জালিয়াতির অভিযোগ

ডা. নিতাই হত্যা: ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

আপডেট সময় ০২:৩০:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

তের বছর আগে রাজধানীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. নারায়ণ চন্দ্র দত্ত নিতাই হত্যা মামলায় পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে চার আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৭ আগস্ট) ঢাকার দশম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক রেজাউল করিম এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় ১০ আসামিকেই কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের আবার কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর মোয়াজ্জেম হোসেন।

রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—কামরুল হাসান অরুণ, মাসুম মিন্টু, সাইদ ব্যাপারী, বকুল মিয়া এবং সাইদ মিজি। এছাড়া আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আবুল কালাম, সাইদুল, ফয়সাল ও পেদা মাসুম। আর রফিকুল ইসলামকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
নিহত ডা. নিতাই। ছবি: সংগৃহীত
নিহত ডা. নিতাই। ছবি: সংগৃহীত

২০১২ সালের ২৩ অগাস্ট রাতে মহাখালীতে হাসপাতালের আবাসিক এলাকায় নিজ বাসায় খুন হন আওয়ামী লীগ সমর্থিত স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের নেতা ও বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. নিতাই। ঘটনার সময় বাসায় ছিলেন তার বৃদ্ধা মা। স্ত্রী লাকী চৌধুরী ছিলেন চট্টগ্রামে।

হত্যাকাণ্ডের পরদিন নিতাইয়ের বাবা বনানী থানায় মামলা করেন। ছয় মাসের তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক গাজী আতাউর রহমান ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। তদন্তে উঠে আসে, চুরির সময় ঘটনাটি দেখে ফেলায় নিতাইকে হত্যা করা হয়। এরপর আসামিরা বাসা থেকে পাঁচ লাখ টাকা ও দুটি স্বর্ণের বালা নিয়ে যায়।

পুলিশ জানায়, আসামিরা ‘পেশাদার চোর’। তাদের মধ্যে নিহত চিকিৎসকের গাড়িচালক অরুণও ছিল। এ মামলার আসামিদের মধ্যে পাঁচজনকে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলাতেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল। তবে ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সংঘটিত ওই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত এখনও শেষ হয়নি।

২০১৩ সালের ২২ জুলাই অভিযোগ গঠন হয় এবং ২০১৪ সালের ২৮ জানুয়ারি ডা. নিতাইয়ের বাবা তড়িৎ কান্তির সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে বিচার শুরু করে আদালত। দীর্ঘ শুনানি ও বিচারক পরিবর্তনের পর অবশেষে রোববার বিচারক রেজাউল করিম দশ আসামির সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন।


প্রিন্ট