পাওয়ার হিটিংয়ের অনুশীলন। ছবি-বিসিবি
এশিয়া কাপের প্রস্তুতি শুরু হওয়ার পর থেকে কয়েকদিন ব্যাট-বলের ধারেকাছে যেতে পারেননি ক্রিকেটাররা। ফিটনেস ক্যাম্পেই ঘাম ঝরিয়েছেন তারা। শুক্রবার শুরু হলো পাওয়ার হিটিং। টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ক্রিকেটারদের চার-ছক্কা মারার প্রবণতা বাড়ানোর জন্য পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ন উডের ক্লাস শুরু হয়েছে।
উড বাংলাদেশে এসেছেন কয়েকদিন আগে। তিনি নারী ক্রিকেটারদের নিয়ে কয়েকটি সেশন করেছেন। কাল থেকে লিটন দাসদের নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। এতদিন ক্রিকেটাররা ছিলেন নাথান কেলির অধীনে। সামনে টানা সিরিজ খেলতে নামার আগে ক্রিকেটারদের ফিটনেসের শীর্ষ পর্যায়ে রাখার পরিকল্পনা টিম ম্যানেজমেন্টের। আজ স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ ও ফিল্ডিং কোচ ফিল প্যামেন্ট আসবেন।
কাল বেলা ২টায় শুরু হওয়া প্রস্তুতিতে সংবাদমাধ্যমের আগ্রহের কেন্দ্রে ছিলেন পাওয়ার হিটিং কোচ। বেশ কিছুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে, এ বছর সবচেয়ে বেশি ছক্কা হাঁকিয়েছে বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত তালিকায় ছক্কা মারায় এগিয়ে তানজিদ হাসান, শামীম হোসেন। তবে ম্যাচ জয়ের ক্ষেত্রে এর প্রভাব তেমন দেখা যায়নি।
বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা বরাবরই পাওয়ার হিটিংয়ে পিছিয়ে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাউন্ডারি হাঁকানো ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। জয়ের লক্ষ্য থাকলে পাওয়ার হিটিংয়ের কোনো বিকল্প নেই।
জুলিয়ান উডের অধীনে ভালো কিছু আশা করছে বিসিবি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুগান্তরকে এক ক্রিকেটার বলেন, ‘আমাদের জন্য এটা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। একটি সিরিজের আগে কয়েকদিনের অনুশীলনে কতটা কাজে লাগাতে পারবে ব্যাটাররা, সেটা ভাববার বিষয়। তবে কিছু বিষয় আছে টানা অনুশীলন করলে আমাদের উপকারে আসবে।’
এশিয়া কাপের আগে সিলেটে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে একটি তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল। ১৯ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকায় চলবে অনুশীলন। এরপর ক্যাম্প হবে সিলেটে। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজ শেষে উড ইংল্যান্ডে ফিরে যাবেন। এশিয়া কাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ১১ সেপ্টেম্বর।
প্রিন্ট