বাংলাদেশে আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়ে সরকার ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, এই নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ এবং এর মাধ্যমে ক্ষমতা সঠিকভাবে আসল প্রতিনিধিদের হাতে হস্তান্তর করা হবে। সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের গণতন্ত্রকে আরো শক্তিশালী করা এবং জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া। বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল মালয়েশিয়ায় এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশবাসীর ভোটাধিকার নিশ্চিত করা এবং শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। এই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও স্বচ্ছ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে, যাতে দেশের ক্ষমতা জনগণের হাতে সুষ্ঠুভাবে পৌঁছায়। এই প্রস্তুতির কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে এবং সরকার এই উদ্যোগে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মালয়েশিয়ায় এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ আগস্ট বলেন, “আমরা ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি; যাতে ক্ষমতা আসল প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তরিত হয়।” তিনি আরও জানান, “আমরা গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে ও ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের সরকার শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে মনোযোগী।”
এর আগে ১২ আগস্ট মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীমের সঙ্গে বৈঠক শেষে যৌথ ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে জাতীয় নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে।” এই বৈঠকের পর বাংলাদেশের সঙ্গে মালয়েশিয়ার মধ্যে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয় এবং তিনটি নোট বিনিময় হয়। প্রধান উপদেষ্টা সোমবার (১১ আগস্ট) মালয়েশিয়ায় তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গিয়েছিলেন।
এই সফর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। বিশেষ করে নির্বাচনের প্রস্তুতি ও উন্নয়নমূলক কাজের প্রসারে সরকারের অঙ্গীকার দৃঢ় হয়েছে। এই ধরনের কূটনৈতিক সংযোগ দেশের স্থিতিশীলতা এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
প্রিন্ট