ঢাকা ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে ভৈরবে মানববন্ধন Logo নাসিরনগরে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু Logo তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা প্রচারে মাহবুবুর রহমান সরকার – গণসংযোগে মুখর জনপদ Logo রোববার খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে ইসি Logo মুজিববাদী সংবিধান বাতিল করতে হবে: নাহিদ Logo (মাইলস্টোন কলেজ ২য় পর্ব) ট্রমা ও শারীরিক সমস্যা দূর করার সহজ কিছু ধাপ Logo ব্রিটেনে দেউলিয়া হওয়ার পথে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের ৩ কোম্পানি Logo জুলাই আন্দোলন সফল করতে যে কৌশল নিয়েছিলেন, জানালেন আখতার Logo পলাশ উপজেলা শাখার উদ্যোগে নবাগত হাজীদের সন্মানে দোয়া মাহফিল ২০২৫ অনুষ্ঠিত Logo ৬ বছর পর ড্যাবের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হতে পারে যে ৫ উপায়ে

ছবি: সিএনএন

ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বৈঠকের প্রস্তাব কিছুদিন ধরেই দিয়ে যাচ্ছে দুই পক্ষই। কিন্তু উভয় পক্ষ কেন এখনই চাচ্ছে দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হোক?

মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করেন, তার ব্যক্তিগত প্রভাব কাজে লাগিয়ে যুদ্ধ বন্ধে মস্কোকে রাজি করানো সম্ভব। তিনি বিশ্বাস করেন, মুখোমুখি আলোচনার মাধ্যমে ছয় মাসের অনমনীয়তা ভেঙে যুদ্ধ থামাতে ক্রেমলিনকে রাজি করানো যাবে।

যদিও পুতিন সম্প্রতি দাবি করেছেন, রাশিয়ান ও ইউক্রেনীয়রা একই জাতি এবং যেখানে রাশিয়ান সেনারা পা রাখবে, সেটিই রাশিয়া।

একই সঙ্গে, পুতিন সময়ও নিতে চান। তিনি গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও ইউক্রেনের প্রস্তাবিত নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং পরিবর্তে ছোট ও গুরুত্বহীন দুটি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন।

তার বাহিনী এখন গ্রীষ্মকালীন আক্রমণে অগ্রগতি অর্জন করছে এবং শরতে আলোচনা হলে, তিনি চাইবেন সেই সময়ের বাস্তব পরিস্থিতিও যেন তার পক্ষে থাকে।

যদি ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক হয়, আমেরিকার লক্ষ্য হতে পারে ট্রাম্প–পুতিন–জেলেনস্কির ত্রিপাক্ষিক শীর্ষ বৈঠক, যা রাশিয়া গত মে মাসে ইস্তাম্বুলে প্রত্যাখ্যান করেছিল। পুতিনের লক্ষ্য হতে পারে ট্রাম্পকে মস্কোর বর্ণনা মতে, নিজেদের কক্ষপথে ফিরিয়ে আনা।

আরও পড়ুন
ভাড়া বাড়ানোর অভিযোগ, তোপের মুখে মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন রুশনারা
ভাড়া বাড়ানোর অভিযোগ, তোপের মুখে মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন রুশনারা
দুই শীর্ষ নেতার বৈঠক হবে কি না, তা এখনো অনিশ্চিত। তবে প্রশ্ন উঠেছে— প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধ কীভাবে শেষ হতে পারে? সিএনএনের বিশ্লেষণ অনুযায়ী এখানে পাঁচটি সম্ভাব্য দৃশ্যপট তুলে ধরা হলো:

১. পুতিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়া

এটি একেবারেই অসম্ভাব্য। চলতি বছরের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও ইউক্রেন এমনই একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল, যেখানে ফ্রন্টলাইন অপরিবর্তিত থাকবে। তবে রাশিয়া তা প্রত্যাখ্যান করে।

যুদ্ধে বর্তমানে ক্রেমলিন ধাপে ধাপে অগ্রগতি অর্জন করছে এবং এখন পর্যন্ত তারা থামার কোনো কারণ দেখছে না। অন্তত অক্টোবর পর্যন্ত পুতিন লড়াই চালিয়ে যেতে চাইবেন, কারণ তিনি মনে করছেন- তিনি জয়ের পথেই আছেন।

২. বাস্তবতা ও আলোচনা

আসন্ন শরতের আগে কিছু সাফল্য অর্জন করে পুতিন শীতকালে (অক্টোবর) যুদ্ধ থামিয়ে দিতে পারেন, যাতে তার সেনারা ‘কিছুটা বিশ্রাম’ নিতে পারে। এরপর ২০২৬ সালে আবার যুদ্ধ শুরু করতে পারেন, অথবা কূটনীতির মাধ্যমে দখলকৃত এলাকা স্থায়ী করার চেষ্টা করবেন।

আরও পড়ুন
গাজা শহর দখল ও হামাস নির্মূলে নেতানিয়াহুর ‘ভয়ংকর পরিকল্পনা’
গাজা শহর দখল ও হামাস নির্মূলে নেতানিয়াহুর ‘ভয়ংকর পরিকল্পনা’
তিনি ইউক্রেনে নির্বাচনের ইস্যু তুলতে পারেন, যা যুদ্ধের কারণে স্থগিত হয়েছে এবং জেলেনস্কির বৈধতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারেন।

৩. ইউক্রেনের টিকে থাকা

এদিকে মার্কিন ও ইউরোপীয় সামরিক সহায়তায় ইউক্রেন বড় কোনো ছাড় না দিয়েই যুদ্ধে তিন বছর ধরে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে পেরেছে। সেক্ষেত্রে সামনের দিনে রাশিয়ার অগ্রগতি ধীর হলে বা থেমে গেলে পুতিন আলোচনায় বসতে পারেন। ইউরোপীয় ন্যাটো বাহিনী কিয়েভসহ বড় শহরে অবস্থান নিয়ে সহায়তা দিতে পারে, যা মস্কোকে থামতে বাধ্য করতে পারে। আর এটিই ইউক্রেনের জন্য সবচেয়ে ভালো সম্ভাবনা।

৪. ইউক্রেন ও ন্যাটোর বিপর্যয়

আর যদি ট্রাম্প–পুতিন বৈঠকে মার্কিন-রাশিয়া সম্পর্ক উন্নত হয় এবং ইউক্রেন সমর্থন হারায়, তাহলে ইউরোপ একা ইউক্রেনকে সহায়তা দিয়ে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে নাও পারতে পারে। এক্ষেত্রে রাশিয়া পূর্ব ইউক্রেনে অর্জিত ছোট ছোট অগ্রগতিকে বড় সাফল্যে রূপান্তরিত করতে পারে এবং মধ্যাঞ্চলের শহরগুলোর দিকে অগ্রসর হতে পারে। ন্যাটো এককভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে ব্যর্থ হলে এমনকি ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বই শেষ হয়ে যেতে পারে।

৫. পুতিনের জন্য সোভিয়েত-আফগানিস্তানের পুনরাবৃত্তি

অন্যদিকে রাশিয়া তার সামান্য অগ্রগতির জন্য বিপুল প্রাণহানি ঘটাতে পারে। তবে এর উল্টোদিকে মার্কিন ও ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞা দেশটির অর্থনীতি ও চীন-ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ বাড়তে পারে।

অন্যদিকে, সোভিয়েত ইউনিয়নের আফগানিস্তান দখলের মতো এক পর্যায়ে পুতিনের শক্তিও হয়তো ভেঙে পড়তে পারে। ইতিহাসে যেমনটা হয়েছে, শক্তিশালী দেখানো রাশিয়ার নেতৃত্ব হঠাৎ দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।

সিএনএনের বিশ্লেষণ মতে, কোনো বিকল্পই ইউক্রেনের জন্য ভালো নয়। এগুলো কেবলই এক একটি বিকল্প। মূলত, রাশিয়ার পরাজয়—ই ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য হুমকি দূর করবে।

এছাড়া এই পাঁচটির কোনোটিই কেবল ট্রাম্প–পুতিন বৈঠকের মাধ্যমেই বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, যদি না ইউক্রেনকে পরবর্তী সমঝোতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে ভৈরবে মানববন্ধন

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হতে পারে যে ৫ উপায়ে

আপডেট সময় ১২:৩৪:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫

ছবি: সিএনএন

ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বৈঠকের প্রস্তাব কিছুদিন ধরেই দিয়ে যাচ্ছে দুই পক্ষই। কিন্তু উভয় পক্ষ কেন এখনই চাচ্ছে দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হোক?

মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করেন, তার ব্যক্তিগত প্রভাব কাজে লাগিয়ে যুদ্ধ বন্ধে মস্কোকে রাজি করানো সম্ভব। তিনি বিশ্বাস করেন, মুখোমুখি আলোচনার মাধ্যমে ছয় মাসের অনমনীয়তা ভেঙে যুদ্ধ থামাতে ক্রেমলিনকে রাজি করানো যাবে।

যদিও পুতিন সম্প্রতি দাবি করেছেন, রাশিয়ান ও ইউক্রেনীয়রা একই জাতি এবং যেখানে রাশিয়ান সেনারা পা রাখবে, সেটিই রাশিয়া।

একই সঙ্গে, পুতিন সময়ও নিতে চান। তিনি গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও ইউক্রেনের প্রস্তাবিত নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং পরিবর্তে ছোট ও গুরুত্বহীন দুটি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন।

তার বাহিনী এখন গ্রীষ্মকালীন আক্রমণে অগ্রগতি অর্জন করছে এবং শরতে আলোচনা হলে, তিনি চাইবেন সেই সময়ের বাস্তব পরিস্থিতিও যেন তার পক্ষে থাকে।

যদি ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক হয়, আমেরিকার লক্ষ্য হতে পারে ট্রাম্প–পুতিন–জেলেনস্কির ত্রিপাক্ষিক শীর্ষ বৈঠক, যা রাশিয়া গত মে মাসে ইস্তাম্বুলে প্রত্যাখ্যান করেছিল। পুতিনের লক্ষ্য হতে পারে ট্রাম্পকে মস্কোর বর্ণনা মতে, নিজেদের কক্ষপথে ফিরিয়ে আনা।

আরও পড়ুন
ভাড়া বাড়ানোর অভিযোগ, তোপের মুখে মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন রুশনারা
ভাড়া বাড়ানোর অভিযোগ, তোপের মুখে মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন রুশনারা
দুই শীর্ষ নেতার বৈঠক হবে কি না, তা এখনো অনিশ্চিত। তবে প্রশ্ন উঠেছে— প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধ কীভাবে শেষ হতে পারে? সিএনএনের বিশ্লেষণ অনুযায়ী এখানে পাঁচটি সম্ভাব্য দৃশ্যপট তুলে ধরা হলো:

১. পুতিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়া

এটি একেবারেই অসম্ভাব্য। চলতি বছরের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও ইউক্রেন এমনই একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল, যেখানে ফ্রন্টলাইন অপরিবর্তিত থাকবে। তবে রাশিয়া তা প্রত্যাখ্যান করে।

যুদ্ধে বর্তমানে ক্রেমলিন ধাপে ধাপে অগ্রগতি অর্জন করছে এবং এখন পর্যন্ত তারা থামার কোনো কারণ দেখছে না। অন্তত অক্টোবর পর্যন্ত পুতিন লড়াই চালিয়ে যেতে চাইবেন, কারণ তিনি মনে করছেন- তিনি জয়ের পথেই আছেন।

২. বাস্তবতা ও আলোচনা

আসন্ন শরতের আগে কিছু সাফল্য অর্জন করে পুতিন শীতকালে (অক্টোবর) যুদ্ধ থামিয়ে দিতে পারেন, যাতে তার সেনারা ‘কিছুটা বিশ্রাম’ নিতে পারে। এরপর ২০২৬ সালে আবার যুদ্ধ শুরু করতে পারেন, অথবা কূটনীতির মাধ্যমে দখলকৃত এলাকা স্থায়ী করার চেষ্টা করবেন।

আরও পড়ুন
গাজা শহর দখল ও হামাস নির্মূলে নেতানিয়াহুর ‘ভয়ংকর পরিকল্পনা’
গাজা শহর দখল ও হামাস নির্মূলে নেতানিয়াহুর ‘ভয়ংকর পরিকল্পনা’
তিনি ইউক্রেনে নির্বাচনের ইস্যু তুলতে পারেন, যা যুদ্ধের কারণে স্থগিত হয়েছে এবং জেলেনস্কির বৈধতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারেন।

৩. ইউক্রেনের টিকে থাকা

এদিকে মার্কিন ও ইউরোপীয় সামরিক সহায়তায় ইউক্রেন বড় কোনো ছাড় না দিয়েই যুদ্ধে তিন বছর ধরে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে পেরেছে। সেক্ষেত্রে সামনের দিনে রাশিয়ার অগ্রগতি ধীর হলে বা থেমে গেলে পুতিন আলোচনায় বসতে পারেন। ইউরোপীয় ন্যাটো বাহিনী কিয়েভসহ বড় শহরে অবস্থান নিয়ে সহায়তা দিতে পারে, যা মস্কোকে থামতে বাধ্য করতে পারে। আর এটিই ইউক্রেনের জন্য সবচেয়ে ভালো সম্ভাবনা।

৪. ইউক্রেন ও ন্যাটোর বিপর্যয়

আর যদি ট্রাম্প–পুতিন বৈঠকে মার্কিন-রাশিয়া সম্পর্ক উন্নত হয় এবং ইউক্রেন সমর্থন হারায়, তাহলে ইউরোপ একা ইউক্রেনকে সহায়তা দিয়ে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে নাও পারতে পারে। এক্ষেত্রে রাশিয়া পূর্ব ইউক্রেনে অর্জিত ছোট ছোট অগ্রগতিকে বড় সাফল্যে রূপান্তরিত করতে পারে এবং মধ্যাঞ্চলের শহরগুলোর দিকে অগ্রসর হতে পারে। ন্যাটো এককভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে ব্যর্থ হলে এমনকি ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বই শেষ হয়ে যেতে পারে।

৫. পুতিনের জন্য সোভিয়েত-আফগানিস্তানের পুনরাবৃত্তি

অন্যদিকে রাশিয়া তার সামান্য অগ্রগতির জন্য বিপুল প্রাণহানি ঘটাতে পারে। তবে এর উল্টোদিকে মার্কিন ও ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞা দেশটির অর্থনীতি ও চীন-ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ বাড়তে পারে।

অন্যদিকে, সোভিয়েত ইউনিয়নের আফগানিস্তান দখলের মতো এক পর্যায়ে পুতিনের শক্তিও হয়তো ভেঙে পড়তে পারে। ইতিহাসে যেমনটা হয়েছে, শক্তিশালী দেখানো রাশিয়ার নেতৃত্ব হঠাৎ দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।

সিএনএনের বিশ্লেষণ মতে, কোনো বিকল্পই ইউক্রেনের জন্য ভালো নয়। এগুলো কেবলই এক একটি বিকল্প। মূলত, রাশিয়ার পরাজয়—ই ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য হুমকি দূর করবে।

এছাড়া এই পাঁচটির কোনোটিই কেবল ট্রাম্প–পুতিন বৈঠকের মাধ্যমেই বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, যদি না ইউক্রেনকে পরবর্তী সমঝোতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।


প্রিন্ট