পরিবারের দাবি, প্রেম সংক্রান্ত ঘটনার জেরে হত্যা করা হয়েছে তাকে। যদিও বিষয়টি এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। তবে ঘটনার পর থেকেই তরুণীর পরিবারের লোকজন পলাতক থাকায় সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের দীঘল বাড়ি এলাকার সুকুমার দাসের মালিকানাধীন পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত কামদেব দাস আজমিরীগঞ্জ উপজেলার বদলপুর স্কুল হাটি গ্রামের অশ্বিনী দাসের ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি পুকুরে মরদেহ ভাসতে দেখে বিষয়টি থানায় অবহিত করেন। খবর পেয়ে আজমিরীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের বড় ভাই যুবরাজ দাস জানান, একই এলাকার শংকর দাসের মেয়ের সঙ্গে কামদেব দাসের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি নিয়ে গত রোববার সন্ধ্যায় দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরপর ওই রাত থেকেই কামদেব দাস নিখোঁজ ছিলেন। আত্মীয় স্বজনসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। এমনকি তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ পাল জানান, মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। পুলিশ মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত অব্যাহত রেখেছে। তবে ঘটনার পর থেকেই তরুণীর পরিবারের লোকজন পলাতক থাকায় সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়েছে।
প্রিন্ট
নিজস্ব সংবাদ : 



















